সুন্দরবন, 8 ফেব্রুয়ারি: ব়্যয়াল বেঙ্গল টাইগারের পাশাপাশি সুন্দরবনের মধুও বিখ্যাত (Bee Farming Project)৷ তবে এই মধু সংগ্রহ করা যে মুখের কথা নয় তা সকলেই কমবেশি জানে । প্রায়শই বাঘের হানায় মউলে মৃত্যুর ঘটনা সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত হয় ৷ এক কথায় বলা যায় প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে মধু সংগ্রহ করেন মউলেরা ৷ তাদের কথা ভেবে নয়া উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বন দফতরের পক্ষ থেকে (bee farming project running successfully ) ৷
আর প্রাণ হাতে করে যেতে হবে না জঙ্গলে ৷ সুন্দরবনের যুবকদের মৌমাছি পালনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে । নিজের বাড়িতেই চাষ করে যাবে ৷ এইভাবেই উপার্জনের নতুন দিশা দেখাচ্ছে বন দফতর । সরকারি উদ্যোগে মধু চাষ করে হাসি ফুটছে সুন্দরবনের গরিব মউলেদের মুখে । জঙ্গলে মাছ-কাঁকড়া ধরে বা মধু সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন সুন্দরবনের বহু মানুষ । কিন্তু সেই কাজে প্রতি পদে রয়েছে ঝুঁকি । জঙ্গলে গিয়ে বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের । সুন্দরবনবাসীর জঙ্গল নির্ভরতা কমাতে দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন । স্থানীয়দের বিকল্প পেশার সন্ধান দিতে। কুলতলির মৈপিঠ এলাকায় যেমন মৌমাছি পালনের মাধ্যমে গ্রামের মানুষকে স্বনির্ভর করে তোলা হয়েছে ।
আরও পড়ুন: ম্যানগ্রোভ বাঁচানোর বার্তা নিয়ে সুন্দরবনে আয়ারল্যান্ডের সিনেট ফিক্স
সুন্দরবনের এই মৈপীঠ এলাকা থেকে বহু মানুষ একসময় জঙ্গলে যেতেন মধু সংগ্রহ করতে । সেই কাজ করতে গিয়ে বিপদেও পড়তে হয়েছে একাধিকবার । বাঘ-কুমিরের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে অনেকের । তবে বর্তমানে বন দফতরের সহায়তায় ঋণ নিয়ে মৌমাছি পালন করে স্বনির্ভর হয়ে উঠেছেন অনেকে । তাঁদের দাবি, আগের থেকে নতুন পদ্ধতিতে চাষ করে আয় হচ্ছে বেশি । এই প্রসঙ্গেই স্থানীয় বাসিন্দা দীপক মণ্ডল বলেন, " 40 জন মিলে এই কাজ শুরু করেছিলাম । এখন 100র বেশি মানুষ কাজ করছি । আমরা চেষ্টা করছি, যারা ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গলে যান, তাঁদের সকলকে নিয়ে এসে এই কাজে যুক্ত করতে। ইতিমধ্যে বাঘে আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরাও আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন।” তিনি জানান, আগে জঙ্গল থেকে মধু এনে স্থানীয় ভাবে বিক্রি করা হত । তাতে আয় ছিল কম । অনলাইনেও মধু বিক্রির ফলে আয়ের পরিমাণ বেড়েছে অনেকটাই ।