ভাঙড়, 7 নভেম্বর : ভাঙড়ে আব্বাস সিদ্দিকির সভা ঘিরে রবিবার পুলিশ-আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ । পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-বৃষ্টি আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সভা বাতিল করে এদিন কলকাতা প্রেস ক্লাবে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি।
গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এদিন বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন আব্বাস সিদ্দিকি ৷ তাঁর অভিযোগ, তাঁকে প্রাণে মারার পরিকল্পনা করছে শাসকদল। আব্বাস সিদ্দিকি বলেন, "নবি দিবস উপলক্ষে এদিন একটি ধর্মীয় সভা ছিল আমার ৷ সেই ধর্মীয় সভায় যোগদান করতে যাওয়ার পথে তৃণমূল ও পুলিশ একজোট হয়ে আমাদের মারধর করে। আমায় ধর্মীয় সভা বাতিল করতে বলে। আমি কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচার করতে যায়নি ভাঙড়ে। ধর্মীয় সভা করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হচ্ছে আমাদের। রাজ্যের গণতন্ত্র আজ লুণ্ঠিত। সংবিধান রক্ষার দায়িত্ব যাদের তারাই সংবিধানের অমর্যাদা করছে।"
আব্বাস আরও জানান, তৃণমূলের মদতেই এই সুপরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে তাদের উপর। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই আইনমন্ত্রী, সেই রাজ্যের আইন এর বেহাল দশা নিয়ে এদিন সরব হন তিনি। এদিকে পুলিশের তরফ থেকে লাঠিচার্জের ঘটনাকে অস্বীকার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, ওই ধর্মীয় সভার কোনও অনুমতিই ছিল না।
আরও পড়ুন : পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ আইএসএফ-এর, আব্বাসের সভা ঘিরে ধুন্ধুমার ভাঙড়
ঘটনায় আব্বাসের সুরে সুর মিলিয়েছেল সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। সুজন বলেন, "এরাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা এখন এ রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন ও তৃণমূলের প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আব্বাসের সভা পূর্বপরিকল্পিত ছিল ৷ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আব্বাস সভায় যোগদান করতে গিয়েছিল। সেই সময় পুলিশি বাধার সম্মুখীন হতে হয় আব্বাসকে। তারপরে দু'পক্ষের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ লেগে যায়। এ রাজ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক সভা করার অনুমতি দেয় না প্রশাসন। রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াই আমরা চালিয়ে যাব।"
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবে জড়িত নয়। জমায়েত সরাতে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাঁধে আব্বাস অনুগামীদের। পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা ইটবৃষ্টি করে। আইন আইনের পথে চলছে। তৃণমূল হিংসার রাজনীতি বিশ্বাস করে না।