কোচবিহার, 14 অক্টোবর: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (India-Bangladesh Border) বৈদেশিক বাণিজ্যের স্থলবন্দরে রাজ্য সরকার সুবিধা ভেহিকেল ফেসিলিয়েশন সিস্টেম চালু করেছে। কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা (Changrabandha Border) বাণিজ্য কেন্দ্রে সেই সিস্টেম চালু হয় গত 26 সেপ্টেম্বর । এবার রাজ্য সরকারের চালু করা সেই নতুন সিস্টেমের বিরোধিতা করে বাতিলের দাবিতে সোচ্চার হলেন কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তের ট্রাক মালিকরা।
ট্রাক মালিকদের তরফে অভিযোগ, নতুন এই সিস্টেমে তাঁদের চরম বিপাকে পড়তে হবে। যে ব্যাবসায়ীরা পণ্য বাংলাদেশে পাঠাবেন তাঁরা নিজেদের গাড়ি বা পছন্দমতো গাড়ি দেশের যেকোনও এলাকা থেকে নিয়ে আসবেন । এতে স্থানীয় ট্রাক মালিক যারা রয়েছেন তাঁদের গাড়ি নেওয়া হবে না, ফলে তাঁদের চরম বিপদে পড়তে হবে।
তাঁদের দাবি, পূর্বের নিয়মে এখানে বাণিজ্য করতে দিতে হবে। রাজ্য সরকার গত 26 সেপ্টেম্বর থেকে এই স্থলবন্দরে 'সুবিধা পোর্টাল' চালু করে। চ্যাংরাবান্ধা ট্রাক মালিক সমিতির 7 হাজার ট্রাক রয়েছে। মূলত বাংলাদেশে পণ্য পরিবহণের ওপর ভরসা করে চ্যাংরাবান্ধা-সহ সংলগ্ন এলাকার বহু মানুষ ট্রাক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। অনেকে জমি, সম্পত্তি বিক্রি করেও ট্রাক কিনে ভাড়া খাটিয়ে আয় করার চেষ্টা করছেন। এই অবস্থায় সরকারের নতুন সিস্টেমে স্থানীয় ট্রাকের আগের মতো ভাড়া হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই তাঁদের আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই চালু সুবিধা ভেহিকল ফেসিলিয়েশন
এমনটা হলে বহু মানুষের রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে। শুক্রবার , নিজেদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে এদিন চ্যাংরাবান্ধা হাইস্কুল ময়দানে স্থানীয় ট্রাক মালিক সমিতির তরফে একটি আলোচনাসভা ডাকা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন সমিতির সম্পাদক আব্দুল সামাদ, সভাপতি মজিদ ইসলাম, রাজ্য সরকারের সুবিধা ভেহিকেল ফেসিলিয়েশন সিস্টেমের বিরুদ্ধে এদিন ট্রাক মালিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
একটি দাবি জানিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল চ্যাংরাবান্ধা বাণিজ্য কেন্দ্রে করা হয় । তাঁদের দাবি, পূরণ না হলে বৃহত্তর অন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। চ্যাংরাবান্ধা ট্রাক মালিক সমিতির সম্পাদক আব্দুল সামাদ জনিয়েছেন, নতুন যে সিস্টেম চালু হয়েছে তাতে এই এলাকার ট্রাক মালিকদের পথে বসতে হবে। ট্রাক মালিক মৃদুল সাহা জনিয়েছেন, তাঁরা দাবির কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন। তাঁরা চান, পুরোনো নিয়মে ট্রাকগুলি চলুক। নতুন নিয়ম বাতিল করা হউক, তা না হলে আমাদেরকে আত্মহত্যা করতে হবে (Truck Owners give Suicide Threat)।