কোচবিহার, 10 ডিসেম্বর: 'প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা'র (Pradhan Mantri Awas Yojana) যোগ্য উপভোক্তাদের তালিকা তৈরি নিয়ে বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের ৷ এবার কেন্দ্রীয় সরকারি এই প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে হতদরিদ্য় সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল ! কাঠগড়ায় এলাকারই এক পঞ্চায়েত সদস্য তথা তৃণমূল নেতা ৷ ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামলেন ভুক্তভোগীরা ৷ জমা পড়ল অভিযোগপত্র ৷ কোচবিহারের গোসানিমারি-1 গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা ৷
এই বিষয়ে ইতিমধ্য়েই স্থানীয় বিডিওর লিখিত অভিযোগ করেছেন দুই ব্যক্তি ৷ তাঁরা দু'জনই পূর্ব ফুলবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ৷ অভিযোগকারী দুই ব্যক্তি হলেন যতীন বর্মন ও পরিমল দেবনাথ ৷ এঁদের দাবি, এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য বিনোদচন্দ্র বর্মন তাঁদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় আওতায় দু'টি পরিবারকেই ঘর পাইয়ে দেবেন ৷ এর জন্য কয়েক বছর আগে যতীন ও পরিমলের কাছে থেকে 10 হাজার করে মোট 20 হাজার টাকা নিয়েছিলেন বিনোদ ৷ কিন্তু, তারপর বছরের পর বছর কেটে গেলেও ঘর পাননি ওই দুই বাসিন্দা ৷ উপরন্তু, দেওয়া টাকা ফেরত চাইতে গেলে ওই তৃণমূল নেতা তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করেন বলে জানিয়েছেন যতীন ও পরিমল ৷ এরই জেরে বিডিওর কাছে পঞ্চায়েত সদস্য়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান তাঁরা ৷
আরও পড়ুন: আদৌ বাড়ি পাওয়ার যোগ্য তো ? আবাস যোজনার উপভোক্তাদের দুয়ারে মহকুমাশাসক
সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের প্রশ্নের উত্তরে দুই অভিযোগকারী বলেন, "আমাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ ৷ সেই কারণেই আবাস যোজনায় বাড়ি পেতে আবেদন করেছিলাম ৷ এরপর পঞ্চায়েত সদস্য বিনোদচন্দ্র বর্মন ঘর দেওয়ার নাম করে এক-একজনের কাছ থেকে 10 হাজার টাকা করে আদায় করেন ৷ কিন্তু, আমরা কেউ ঘর পাইনি ৷ উলটে টাকা ফেরত চাইতে গেলে অপমান করে আমাদের তাড়িয়ে দিতেন ৷ এখন যে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেও আমাদের নাম নেই ৷ পঞ্চায়েত আমাদের ঘর যদি নাই দেয়, তাহলে আমাদের টাকা ফেরত দিক ৷"
যদিও অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য বিনোদচন্দ্র বর্মন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগই অস্বীকার করেছেন ৷ পালটা তিনি বলেন, "এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ৷ আসলে আমার নামে কুৎসা রটাতেই এমন মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে ৷"