কোচবিহার, 23 নভেম্বর: কোচবিহার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নুর আলম হুসেনের (Nur Alam Hossain) বহিষ্কার ইস্যুতে এবার জেলা সভাপতিকে তোপ দাগলেন সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া (Jagadish Chandra Barma Basunia)। সোমবার তিনি বলেন, "নুর আলম হোসেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। তাঁকে জেলা সভাপতি বহিষ্কার করতে পারবে না। আমরা গত কয়েক বছরে দেখেছি জেলায় একাধিকবার জেলা সভাপতি বদল হয়েছে। কাজেই নুর আলম হোসেন যেভাবে কাজ করছে সেভাবেই দলের কাজ করবে।" তৃণমূল বিধায়কের এই বক্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলা রাজনীতিতে। রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মনকে।
পাল্টা জেলা তৃণমূল সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, "দলে যে যত বড়ই নেতাই হোক না কেন দল বিরোধী কাজ করলে কাউকে রেয়াত করা হবে না।" দীর্ঘদিন ধরেই কোচবিহারে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে। আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা আসছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদে বসে গিরীন্দ্রনাথ বর্মন জেলার অন্যত্র অনাস্থা ঠেকাতে সমর্থ হলেও দিনহাটা-1 ব্লকে কোন্দল মেটাতে পারেননি। যার ফলে একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা আসছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দিন কয়েক আগে কোচবিহার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি নুর আলম হোসেনকে বহিষ্কার করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি।
আরও পড়ুন: কর্মাধ্যক্ষ বহিষ্কার ইস্যুতে জেলা সভাপতিকে চ্যালেঞ্জ তৃণমূল বিধায়কের
কোচবিহার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি নুর আলম হোসেনকে বহিষ্কার ইস্যুতে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। সোমবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের এক কর্মীসভায় বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া বলেন, "নুর আলম হোসেন 2023 সাল পর্যন্ত জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ থাকবে। তাঁকে কেউ বের করতে পারবে না। " এর আগেও কোচবিহার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নুর আলম হোসেনের বহিষ্কার ইস্যুতে দলের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মনকে (Girindranath Barman) চ্যালেঞ্জ করছিলেন তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া ৷