ঝাড়গ্রাম, 15 ডিসেম্বর: ঝাড়গ্রাম থেকে তিনটি পুরুষ চিতাবাঘ পাড়ি দিল উত্তরবঙ্গে । জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে চিতাবাঘের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার এই তিনটি চিতাবাঘকে কোচবিহারের রসিকবিল মিনি জু’তে পাঠনো হয়েছে বলে খবর ৷ সোহেল, সুলতান ও শাহজাদ নামের এই তিনটি চিতাবাঘ আপাতত থাকবে উত্তরবঙ্গের এই মিনি চিড়িয়াখানায়।
জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন আগে উত্তরবঙ্গ থেকে সোহেল নামে এক পুরুষ ও হর্ষিণী নাম একটি স্ত্রী চিতাবাঘ নিয়ে আসা হয়েছিল ঝাড়গ্রামে। তাদের প্রজননের কারণে ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানায় চিতাবাঘের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় 7টি। পর্যাপ্ত এনক্লোজার না থাকায় সমস্যায় পড়েছিলেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ৷ এরপরই তিনটি চিতাবাঘকে কোচবিহারের রসিকবিলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয় ৷ তিনটি পিকআপ ভ্যানে করে উত্তরবঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সোহেল, সুলতান ও শাহজাদকে ৷
জানা গিয়েছে, 2020 সালে হর্ষিণী নামে একটি স্ত্রী চিতাবাঘ প্রথম শাবক প্রসব করেছিল । প্রসবের পরেই নিজের শাবকদের খেয়ে ফেলে সে ৷ ওই বছরই সেপ্টেম্বর মাসে ফের দু'টি পুরুষ শাবকের জন্ম দেয় হর্ষিণী । যাদের নাম দেওয়া হয় সুলতান ও শাহজাদ । সুলতান ও শাহজাদ এই দু’টি পুরুষ চিতাবাঘ এখন পূর্ণবয়স্ক। চলতি বছরের মার্চ মাসে তৃতীয় বার সন্তান প্রসব করে হর্ষিণী । একটি পুরুষ শাবক ও দু'টি স্ত্রী শাবকের জন্ম দেয়।
হর্ষিণীর সন্তান প্রসবের পর তিনটি শাবককেই বিশেষ নজরদারির মাধ্যমে রাখে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তিনটি চিতাবাঘকে মায়ের সঙ্গে এনক্লোজারে ছেড়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে এনক্লোজারে 7টি চিতাবাঘ রাখা যাচ্ছিল না ৷ সেই বিষয়টি রাজ্য জু অথরিটিকে জানানো হয়। এরপরই উত্তরবঙ্গে পাঠানোর নির্দেশ দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ । এখন চিড়িয়াখানায় হর্ষিণী ও তার তিন সন্তান আছে ।
বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, "শাল জঙ্গলে ঘেরা মনোরম পরিবেশ রয়েছে জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে । তাই এখানে জঙ্গলের মতোই স্বাভাবিক মিলন হচ্ছে চিতাবাঘের। আগামিদিনে এখান থেকে আমরা আরও বেশি সংখ্যক চিতাবাঘ পাব।" চিড়িয়াখানার রেঞ্জ অফিসার অতুলপ্রসাদ দে বলেন, "তিনটি চিতাবাঘকে সমস্ত নিয়ম মেনে পৃথক তিনটি পিকআপ ভ্যানে করে কোচবিহারে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।"
আরও পড়ুন: