কোচবিহার, 27 জুলাই : যুপছেদন পুজোর মধ্য দিয়ে বড়দেবীর পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ল কোচবিহারে । সোমবার কোচবিহার ডাঙরাই মন্দিরে ময়নাকাঠ অর্থাৎ যুপের পুজো অনুষ্ঠিত হয়। পুজোর পর এই ময়নাকাঠের উপরেই তৈরি হবে বড়দেবীর মূর্তি। গত 500 বছরের বেশি সময় ধরেই এই প্রথা চলে আসছে কোচবিহারে।
কোচবিহারে রাজাদের আমল থেকেই দুর্গাপুজোর সময় বড়দেবীর পুজো হয়ে থাকে। এই বড়দেবীর প্রতিমা তৈরিতে 7 হাত লম্বা ময়নাকাঠের প্রয়োজন হয়। প্রথা মেনে প্রথমে ডাঙরাই মন্দিরে শ্রাবণ মাসের শুক্লাষ্টমী তিথিতে ময়নাকাঠের পুজো হয়। পরে শোভাযাত্রা সহকারে সেই ময়নাকাঠ নিয়ে যাওয়া হয় কোচবিহারের মদনমোহন মন্দির চত্বরে কাঠামিয়া মন্দিরে।
সেখানে একমাস পুজোর পর রাধা অষ্টমী তিথিতে সেই ময়নাকাঠ নিয়ে যাওয়া হয় দেবী বাড়ির মন্দিরে। সেখানে ময়নাকাঠের উপরেই তৈরি হয় বড় দেবীর মূর্তি। দেবী এখানে রক্তবর্ণা। দুর্গার পাশে লক্ষ্মী, গণেশ, সরস্বতী ও কার্তিক থাকলেও বড় দেবীর পাশে থাকে জয়া ও বিজয়া। মহালয়ার পর প্রতিপদ থেকে ঘট বসিয়ে পুজো শুরু হয়। পুজো চলে দশমী পর্যন্ত। আগে নরবলিও হত বলে জানা যায় ৷ বর্তমানে অষ্টমী তিথিতে মোষ বলি হয় ।
কোরোনা পরিস্থিতির মধ্যে সোমবার ছিল সেই ময়নাকাঠ পুজো । পুজো শেষে কোচবিহারের রাজপুরোহিত হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, যুপছেদন পুজো অনুষ্ঠিত হল । এরপর রাতে ময়নাকাঠ নিয়ে যাওয়া হবে মদনমোহন বাড়িতে। সেখানে এক মাস থাকার পর সেই ময়নাকাঠ নিয়ে যাওয়া হবে বড় দেবীর মন্দিরে। যেখানে গড়ে উঠবে বড় দেবী প্রতিমা।