কোচবিহার, 26 জানুয়ারি: কামতাপুরি ভাষার গবেষক ধর্মানারায়ণ বর্মাকে পদ্মশ্রী দেওয়ায় খুশির হাওয়া কোচবিহারে। সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন সকাল থেকেই তাঁর তুফানগঞ্জের বারকোদালির বাড়িতে ভিড় স্থানীয়দের৷ সম্মান পেয়ে খুশি প্রবীণ এই রাজবংশী বুদ্ধিজীবীও।
১৯৩৫ সালের ১০ নভেম্বর তুফানগঞ্জে জন্ম হয় ধর্মনারায়ণ বর্মার। ১৯৫১ সালে তুফানগঞ্জ নৃপেন্দ্র নারায়ণ মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন তিনি। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য কোচবিহার ভিক্টোরিয়া কলেজে ভরতি হন। সেখান থেকে আইএ এবং পরবর্তীতে বিএ পাস করেন। ১৯৫৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃতে এমএ করেন।
পড়াশোনা শেষ করে শিক্ষকতায় যোগ দেন ধর্মনারায়ণ। ১৯৯৫ সালে শিক্ষকতা থেকে অবসর নেওয়ার পর কামতাপুরি ভাষা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন তিনি। লেখেন একাধিক বই। তাঁর উল্লেখযোগ্য বইগুলো হল 'কামতাপুরি ভাষা সাহিত্যের রূপরেখা', 'মহাবীর চিলারায়' 'আ স্টেপ টু কামতাবিহারি ল্যাঙ্গুয়েজ' প্রভৃতি।
বয়সের ভারে বর্তমানে লেখালেখি খুব একটা করা হয় না প্রবীণ এই শিক্ষাবিদ ও গবেষকের৷ সোমবার রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে এবছরের ‘পদ্মশ্রী’ প্রাপকদের যে তালিকা প্রকাশ হয়, তাতে ধর্মনারায়ণের নামও রয়েছে৷ সেই খবর প্রকাশ্য়ে আসতেই কোচবিহারজুড়ে খুশির হাওয়া।
আরও পড়ুন: এবার পদ্ম পুরস্কার পাচ্ছেন 119 জন, তালিকায় শিনজ়ো আবে-বালা সুব্রমনিয়ম
এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার ধর্মনারায়ণ বলেন, ‘‘জীবনের শেষ বয়সে এই সম্মান অনেকটা শক্তি জোগাবে৷’’