কোচবিহার, 7 নভেম্বর: বাড়িতে কেউ না-থাকার সুযোগ নিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল প্রেমিক। বন্ধ ঘরেই সময় কাটাচ্ছিলেন দু'জনে। কিন্তু তা টের পেয়ে গেল গ্রামবাসীরা । বাইরে থেকে তালা মেরে তারা খবর দিল পুলিশে। পুলিশ এসে যুগলকে উদ্ধার করলেও প্রেমিককে ছাড়তে নারাজ গ্রামবাসীরা দু'জনকে বিয়ের পিঁড়িতে তোলার সিদ্ধান্ত নিল। সেইমতোই স্থানীয় দুর্গামন্দিরে বিয়ে সারল যুগল (Lovers forced to marriage)। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল তুফানগঞ্জ থানার অন্তর্গত ঘোঘোরকুঠি নতুন বাজার এলাকা। পাত্র বছর একুশের রণেন রায় আর পাত্রী সোমা বসাকের বয়স 19।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অনেক আগে থেকেই দু‘জনের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। ওই তরুণ মাঝেমধ্যেই সোমার বাড়িতে আসতেন। এদিন সোমা একা থাকাকালীন তার বাড়িতে আসেন রণেন ৷ বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দারা লক্ষ্য করেন। তারা ঘরের ভেতরে থাকাকালীন বাইরে থেকে তালাবন্ধ করে দেন দু'জনকে। এরপর তুফানগঞ্জ থানায় খবর দেন স্থানীয়রাই ৷ পুলিশ এসে তাদেরকে মুক্ত করে। তবে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যেতে চাইলেও স্থানীয় বাসিন্দারা ঠিক করেন ওই যুবক-যুবতীর বিয়ে দেবেন। প্রথমে তাদের অমত থাকলেও পরে দু‘জনেই রাজি হয়ে যান। এরপর ধুমধাম করেই বিয়ে হয় যুগলের। বিবাহ শেষে টোটোয় চেপে বউকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন রণেন।
আরও পড়ুন: ভাইয়ের সঙ্গে স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক ! শান্তিপুরে দু'জনের বিয়ে দিলেন স্বামী
স্থানীয় বাসিন্দা তপন কুমার বসাক জানান, দু'জনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই সম্পর্ক ছিল। ওই যুবক মাঝেমধ্যেই ওই বাড়িতে আসত। এদিনও আসে এরপরই তাদের দরজা বন্ধ করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। দু’জনেই যেহেতু প্রাপ্তবয়স্ক তাই তাদের স্থানীয় দুর্গা মন্দিরে বিয়ে দেওয়া হয়।