কোচবিহার: পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানে উদ্যোগী কোচবিহার জেলা তৃণমূল। বেশি সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিক যাতে 100 দিনের কাজ পায় সেজন্য দলীয় বিধায়কদের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার তৃণমূলের কোচবিহার জেলা কমিটির বৈঠকে এবিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
পাশাপাশি জেলা তৃণমূলে মতানৈক্য নিয়েও এদিনের বৈঠক উত্তপ্ত হয়। যদিও এবিষয়ে রাজ্যের অনগ্রসর কল্যান দপ্তরের মন্ত্রী তথা কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি বিনয় কৃষ্ণ বর্মন বলেন, "দলীয় বৈঠকে সবাই সবার মতামত প্রকাশ করবে এটাই স্বাভাবিক।"
কোচবিহার জেলা তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দল দীর্ঘদিনের। আর এই কোন্দলের জেরে গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে তৃণমূলের ভরাডুবি হয়। এরপরই তৎকালীন জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
তাতেও গোষ্ঠী কোন্দল থামেনি। এই কোন্দলের মাঝেই মাস চারেক পর শুক্রবার জেলা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে জেলার আট বিধায়ক,মন্ত্রী সহ বিভিন্ন শাখা সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। জেলায় ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের দেখভাল করা, তাঁদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
এপ্রসঙ্গে বিনয় কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “জেলায় যেসমস্ত পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছে তাঁদের যাতে 100 দিনের কাজের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায় এব্যাপারে প্রশাসনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করতে হবে।”
এরপরই বৈঠকে বিধায়ক হিতেন বর্মণ অভিযোগ করেন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি বিষ্ণুব্রত বর্মন এলাকার বিধায়ককে না জানিয়ে বিভিন্ন কমিটি গঠন করছেন। এছাড়া আরো কয়েকটি বিষয় নিয়ে বৈঠক উত্তপ্ত হয়।।