ETV Bharat / state

TMC Worker's Death: 21 জুলাই সমাবেশ থেকে ফেরার পথে মৃত্যু, আট বছর পেরোলেও মেলেনি শংসাপত্র - TMC Worker Death on 21 July

দোড়গড়ায় আরও একটি 21 জুলাইয়ের সমাবেশ ৷ এরকমই এক 21 জুলাইয়ের সমাবেশ থেকে ফেরার পথে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল তাঁর স্বামীর ৷ তারপর পেরিয়েছে আটবছর ৷ তবে এখনও মেলেনি স্বামীর মৃ্ত্যুর শংসাপত্র ৷ খোঁজ রাখে না তৃণমূলের কেউ ৷ কাঁদতে কাঁদতে বললেন তৃণমূল সমর্থকের স্ত্রী গীতিকা দাস ৷

TMC Worker Death on 21 July
21 জুলাইয়ের সমাবেশ
author img

By

Published : Jul 20, 2023, 9:34 PM IST

8 বছর পেরেলেও মেলেনি স্বামীর মৃত্যুর শংসাপত্র

কোচবিহার, 20 জুলাই: মাথার উপর টিনের ছাউনি ৷ চারিদিকে বেরা দিয়ে ঘেরা ছোট্ট একটি ঘর ৷ তাতেই বাস মা ও ছেলের ৷ আট বছর আগে এক 21 জুলাইয়ে তাঁরা হারিয়েছেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীকে ৷ তিনি ছিলেন তৃণমূলের সমর্থক ৷ সহেন্দ্র দাস যোগ দিতে গিয়েছিলেন 21 জুলাইয়ের সমাবেশে ৷ কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হয়নি তাঁর ৷ সমাবেশ থেকে ফেরার পথে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তুফানগঞ্জ-2 নম্বর ব্লকের শালবাড়ি-1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্জি পাড়া এলাকার এই বাসিন্দার ।

আজ বাদে কাল ফের একটা 21 জুলাইয়ের সমাবেশ ৷ কোচবিহার থেকে হাজার হাজার কর্মী সমর্থক বিভিন্ন ট্রেনে চেপে রওনা দিয়েছেন কলকাতায় । আর এই 21 জুলাইয়েও স্বামীর স্মৃতি আঁকড়ে কুড়ে ঘরের আড়ালে বসে শুধুই চোখের জল ফেলছেন গীতিকা দাস । তিনি জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর প্রথম দিকে খোঁজখবর রেখেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্বরা ৷ কিন্তু তারপর থেকে একুশে জুলাই আসে যায় ৷ কেউ খোঁজ রাখে না তাঁর মতো হতভাগ্য স্ত্রী এবং তাঁর ছেলের । তাই একুশে জুলাই এলেই স্বামীর উপস্থিতি আরও বেশি করে টের পান গীতিকা ৷ তখন তাঁর ভরসা বলতে থাকে কেবল চোখের জল ৷ বুঁকে জড়িয়ে ধরেন স্বামীর ছবিকে ৷ সব কষ্টকে চোখের জলের মাধ্যমে বেরিয়ে যেতে দেন ৷

গীতিকা স্বীমার শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই হারিয়েছেন বড় ছেলেকে ৷ তাই চোখের জলই যেন তাঁর এখন বাঁচার রসদ ৷ না পেয়েছেন স্বামীর মৃত্যুর শংসাপত্র হাতে ৷ না কোনও সরকারি সুযোগ সুবিধা । এ ব্যাপারে ছোট ছেলে সুরজিৎ দাস বলেন, "বাবার মৃত্যুর পর নয় মাসের মাথায় বিষধর সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে দাদার । তারপর থেকেই সংসারের হাল আমার উপর ৷ তাই বাধ্য হয়েই দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেই দিনমজুরির কাজ করতে হয়েছে আমাকে। বাবার মৃত্যুর সার্টিফিকেটও মেলেনি এখনও ৷ ফলে পাইনি কোনও সরকারি সুযোগ সুবিধা ৷ দলীয় নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে শুধুই জুটেছে অপমান ।"

সুরজিৎ জানান, যতই কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকুক তিনি স্মৃতি তো পিছু ছাড়ে না ৷ তাই একুশে জুলাই এলেই বাবার কথা মনে পড়ে যায় তাঁর । যদিও সুরজিৎ ও তাঁর মায়ের অবস্থা সম্পর্কে জেনে তৃণমূল মুখপাত্র চৈতি বর্মন বড়ুয়ার বক্তব্য, বিষয়টি জানা ছিল না তাঁর । তবে শহিদ সমাবেশে পৌঁছে বিষয়টি নিয়ে রাজ্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি ৷ ওই দলীয় কর্মীর মৃত্যুর শংসাপত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ।

আরও পড়ুন: স্তব্ধ সিটি অফ জয় ! সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে এবারের একুশে, দাবি তৃণমূলের

তবে আবার একটি একুশে জুলাই এসে গিয়েছে । শুক্রবার লক্ষ লক্ষ তৃণমূল কর্মীর সমর্থকদের স্লোগান ও ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠবে কলকাতার ধর্মতলা । তবে এই মহাযজ্ঞের বিপুল আয়োজনে হয়তো এবারও উপেক্ষিত থেকে যাবে মৃত তৃণমূল সমর্থক সহেন্দ্র দাসের পরিবার ।

8 বছর পেরেলেও মেলেনি স্বামীর মৃত্যুর শংসাপত্র

কোচবিহার, 20 জুলাই: মাথার উপর টিনের ছাউনি ৷ চারিদিকে বেরা দিয়ে ঘেরা ছোট্ট একটি ঘর ৷ তাতেই বাস মা ও ছেলের ৷ আট বছর আগে এক 21 জুলাইয়ে তাঁরা হারিয়েছেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীকে ৷ তিনি ছিলেন তৃণমূলের সমর্থক ৷ সহেন্দ্র দাস যোগ দিতে গিয়েছিলেন 21 জুলাইয়ের সমাবেশে ৷ কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হয়নি তাঁর ৷ সমাবেশ থেকে ফেরার পথে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তুফানগঞ্জ-2 নম্বর ব্লকের শালবাড়ি-1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্জি পাড়া এলাকার এই বাসিন্দার ।

আজ বাদে কাল ফের একটা 21 জুলাইয়ের সমাবেশ ৷ কোচবিহার থেকে হাজার হাজার কর্মী সমর্থক বিভিন্ন ট্রেনে চেপে রওনা দিয়েছেন কলকাতায় । আর এই 21 জুলাইয়েও স্বামীর স্মৃতি আঁকড়ে কুড়ে ঘরের আড়ালে বসে শুধুই চোখের জল ফেলছেন গীতিকা দাস । তিনি জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর প্রথম দিকে খোঁজখবর রেখেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্বরা ৷ কিন্তু তারপর থেকে একুশে জুলাই আসে যায় ৷ কেউ খোঁজ রাখে না তাঁর মতো হতভাগ্য স্ত্রী এবং তাঁর ছেলের । তাই একুশে জুলাই এলেই স্বামীর উপস্থিতি আরও বেশি করে টের পান গীতিকা ৷ তখন তাঁর ভরসা বলতে থাকে কেবল চোখের জল ৷ বুঁকে জড়িয়ে ধরেন স্বামীর ছবিকে ৷ সব কষ্টকে চোখের জলের মাধ্যমে বেরিয়ে যেতে দেন ৷

গীতিকা স্বীমার শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই হারিয়েছেন বড় ছেলেকে ৷ তাই চোখের জলই যেন তাঁর এখন বাঁচার রসদ ৷ না পেয়েছেন স্বামীর মৃত্যুর শংসাপত্র হাতে ৷ না কোনও সরকারি সুযোগ সুবিধা । এ ব্যাপারে ছোট ছেলে সুরজিৎ দাস বলেন, "বাবার মৃত্যুর পর নয় মাসের মাথায় বিষধর সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে দাদার । তারপর থেকেই সংসারের হাল আমার উপর ৷ তাই বাধ্য হয়েই দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেই দিনমজুরির কাজ করতে হয়েছে আমাকে। বাবার মৃত্যুর সার্টিফিকেটও মেলেনি এখনও ৷ ফলে পাইনি কোনও সরকারি সুযোগ সুবিধা ৷ দলীয় নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে শুধুই জুটেছে অপমান ।"

সুরজিৎ জানান, যতই কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকুক তিনি স্মৃতি তো পিছু ছাড়ে না ৷ তাই একুশে জুলাই এলেই বাবার কথা মনে পড়ে যায় তাঁর । যদিও সুরজিৎ ও তাঁর মায়ের অবস্থা সম্পর্কে জেনে তৃণমূল মুখপাত্র চৈতি বর্মন বড়ুয়ার বক্তব্য, বিষয়টি জানা ছিল না তাঁর । তবে শহিদ সমাবেশে পৌঁছে বিষয়টি নিয়ে রাজ্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি ৷ ওই দলীয় কর্মীর মৃত্যুর শংসাপত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ।

আরও পড়ুন: স্তব্ধ সিটি অফ জয় ! সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে এবারের একুশে, দাবি তৃণমূলের

তবে আবার একটি একুশে জুলাই এসে গিয়েছে । শুক্রবার লক্ষ লক্ষ তৃণমূল কর্মীর সমর্থকদের স্লোগান ও ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠবে কলকাতার ধর্মতলা । তবে এই মহাযজ্ঞের বিপুল আয়োজনে হয়তো এবারও উপেক্ষিত থেকে যাবে মৃত তৃণমূল সমর্থক সহেন্দ্র দাসের পরিবার ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.