কোচবিহার, 24 অগাস্ট : কোচবিহারে উপসর্গহীন কোরোনা সংক্রমিতদের রাখা হচ্ছে হোম আইসোলেশনে । কিন্তু একই বাড়িতে একজন সুস্থ মানুষের সঙ্গে সংক্রমিতরা কীভাবে থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । কারণ অধিকাংশ বাড়িতে একটি বা দু'টি ঘর । সেক্ষেত্রে সংক্রমিত ব্যাক্তি বাড়িতে কীভাবে পৃথক থাকবে এনিয়ে কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ সংক্রমিতদের পরিবারের সুস্থ সদস্যদের । যদিও দিনহাটা মহকুমাশাসক শেখ আনসার আহমেদ বলেছেন, যাঁদের উপসর্গ নেই এবং বাড়িতে থাকার মতো পরিকাঠামো আছে তাঁদেরই বাড়িতে রাখা হচ্ছে ।
কোচবিহার জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্তর সংখ্যা 1 হাজার 676 । ইতিমধ্যে 1 হাজার 392 জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন । বাকি 284 জন সক্রিয় রোগীর মধ্যে 40 জন কোরোনা হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন । 81 জন রয়েছেন জেলার বিভিন্ন সেফ হোমে । বাকি 163 জন উপসর্গহীন সংক্রমিত বাসিন্দা রয়েছেন বাড়িতে । প্রতিদিনই জেলায় 50 জনের বেশি সংক্রমিতের খবর মিলছে । আর অধিকাংশ সংক্রামিত ব্যক্তির কোনও উপসর্গ না থাকায় স্বাস্থ্য দপ্তর তাঁদের পরিবারের সদস্যদের থেকে আলাদা ভাবে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন ।
কিন্তু যেসব বাড়িতে একটি কিংবা দু'টি ঘর রয়েছে অথচ পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি সেই বাড়িতে সংক্রমিত ব্যাক্তি কীভাবে পৃথক থাকবে ? তাছাড়া অধিকাংশ বস্তি এলাকাতেই একটি মাত্র ঘরে গাদাগাদি করে একই পরিবারের ৪-৫জন সদস্য থাকেন সেই বাড়িতে যদি পরিবারের এক বা একাধিক সদস্য সংক্রামিত হন সেই বাড়িতেও কীভাবে ওই সংক্রমিতরা আইসোলেট থাকবেন তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন ।
সম্প্রতি দিনহাটা গোসানিরোডের এক ব্যবসায়ী সংক্রমিত হন । ওই ব্যবসায়ীর তিন সন্তান রয়েছে । পাশাপাশি একান্নবর্তী পরিবার হওয়ায় বাড়িতে ঘরের ঘাটতি রয়েছে । কিন্তু উপসর্গ না থাকায় তাঁকে বাড়িতেই থাকতে বলা হয় । তিনি বাড়ির একটি ঘরে পৃথক ভাবে থাকতে শুরু করলে দিন দু'য়েক পরে ওই ব্যবসায়ীর মা'র শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে । পাশাপাশি মা'র উপসর্গ থাকায় তাঁকে নিয়ে সোজা হাজির হন 25 কিলোমিটার দূরে কোরোনা হাসপাতালে । পরে দুজনেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন । তাই এখন প্রত্যেকেই তাকিয়ে সরকারি সাহায্যের দিকে ৷