কোচবিহার, 12 মে : বাংলাদেশে আটকে পড়া 61 জন ট্রাক চালককে ফেরানো হল কোচবিহারে । জেলা প্রশাসনের তরফে তাঁদের মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়িতে একটি কোয়ারানটিন সেন্টারে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল । কিন্তু তাঁরা সেখানে যেতে রাজি হননি ৷ চ্যাংরাবান্ধা ITI কলেজে তাঁদের রাখার দাবি জানান ৷ এই দাবিতে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ।
কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে পাটবীজ নিয়ে বাংলাদেশে গেছিলেন এই 61 জন । লকডাউনের কারণে সেখানেই আটকে পড়েন । তাঁদের দাবি, তাঁরা বাংলাদেশে 38 দিন সমস্যায় ছিলেন । সবে দেশে ফিরলেন। এখনও তাঁদের বাড়ি থেকে অনেক দূরে রাখা হচ্ছে । তাই তাঁরা সেখানে যাবেন না ৷ তাঁরা চ্যাংরাবান্ধা ITI কলেজে তাঁদের রাখার দাবি জানান। শেষে চাপে পড়ে ব্লক প্রশাসনের তরফে সেখানেই তাঁদের রাখার ব্যবস্থা করা হয় ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত ওই কলেজে কোয়ারানটিন সেন্টারে সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি ৷
কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তের জিরো পয়েন্ট দিয়ে 4 এপ্রিল বাংলাদেশে 61 টি ট্রাকে 61 জন চালক বাংলাদেশে পাটবীজ নিয়ে যান । পণ্য খালাসের পর দেশে ফেরার সময় চ্যাংরাবান্ধা জিরো পয়েন্টে আসার আগে তাঁদের ট্রাকসহ আটকে দেয় কোচবিহার জেলা প্রশাসন ৷ জিরো পয়েন্টের ওপারে বাংলাদেশের বুড়িমারি স্থলবন্দরে তাঁরা আশ্রয় নেন ৷ সেই সময় দেশে ফেরানোর জন্য ভিডিয়ো বার্তায় আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ও জেলা প্রশাসনের কাছে ৷ সেখানে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাঁদের খাবারের ব্যবস্থা করেন ৷ শেষে তাঁদের ফেরানো হয়। গতকাল চ্যাংরাবান্ধা জিরো পয়েন্টে উপস্থিত ছিলেন মেখলিগঞ্জ মহকুমা শাসক রাম কুমার তামাং, মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ, চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদ চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র অধিকারী ও BSF- র কর্তারা ৷
পরেশ চন্দ্র অধিকারী বলেন, “ট্রাক চালকদের দেশে ফেরানোর জন্য আমরা চেষ্টা করেছি । রাজ্য সরকার এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে একাধিকবার আবেদন করেছি । প্রশাসনের তরফে তাঁদের দেশে ফেরানোর অনুমতি আসে ৷ ”