ETV Bharat / state

শেষ DA মামলার শুনানি, স্থগিত রায়দান - Kolkata

শেষ হল DA মামলার শুনানি। তবে মামলার রায়দান স্থগিত রাখল SAT ।

কলকাতা হাইকোর্ট (ফাইল ছবি )
author img

By

Published : Jun 18, 2019, 11:06 PM IST

কলকাতা, 18 জুন : শেষ হল DA মামলার শুনানি। তবে মামলার রায়দান স্থগিত রাখল SAT । 12 জুন রাজ্য সরকার SAT - এ জানায়, রাজ্যের ফান্ড নেই, তাই DA দেওয়া যাচ্ছে না । রাজ্যের তরফে আইনজীবী অপূর্বলাল বসু বলেন, "DA দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও অর্থের অভাবে দিতে পারছে না রাজ্য । কেন্দ্রীয় সরকারও অসহযোগিতা করছে । কারণ সেন্ট্রাল ফিনান্সিয়াল রেসপন্সিবিলিটি অ্যামেন্ডমেন্ট বিল অনুয়ায়ী রাজ্য 3% -র বেশি ধার নিতে পারবে না । ফলে কেন্দ্রের থেকে রাজ্য ধার নিতে পারছে না । আর সেজন্যই DA দেওয়াতে সমস্যা হচ্ছে।"

অন্যদিকে কর্মচারীদের তরফের আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলি ও ফিরদৌস শামিম বলেন, "এর সঙ্গে DA-র কোনও সম্পর্ক নেই । DA সম্পূর্ণভাবে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত । এই সব যুক্তি দেখিয়ে আসলে রাজ্য বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইছে।" আজ শুনানিতে কর্মচারীদের তরফে আইনজীবীরা বলেন, "রাজ্যের বহু কর্মচারী আছেন যাঁদের পরিবার রয়েছে জেলায়। আর চাকরিসূত্রে তাঁকে থাকতে হচ্ছে অন্য কোথাও । ফলে রোজগারের অনেকটাই সেখানে চলে যায় । পাশাপাশি দিনের পর দিন মূল্যবৃদ্ধি হলেও রাজ্য সেই অনুপাতে মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি বাড়েনি।"

গত বছর 15 অক্টোবর DA মামলার শুনানি শেষ হয় SAT-এ । এরপর আবার রাজ্যের তরফে রিভিউ পিটিশন দাখিল করে বিশেষ শুনানির আবেদন করা হয় হাইকোর্টে । পরে হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও শেখর ববি শরাফের নেতৃত্বে বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ গঠন হয়। ডিভিশন বেঞ্চ চলতি বছরের ৮ মার্চ DA মামলায় রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দেয় । SAT আবার বিষয়টি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়। সেটারই শুনানি শেষ হল আজ।

কলকাতা, 18 জুন : শেষ হল DA মামলার শুনানি। তবে মামলার রায়দান স্থগিত রাখল SAT । 12 জুন রাজ্য সরকার SAT - এ জানায়, রাজ্যের ফান্ড নেই, তাই DA দেওয়া যাচ্ছে না । রাজ্যের তরফে আইনজীবী অপূর্বলাল বসু বলেন, "DA দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও অর্থের অভাবে দিতে পারছে না রাজ্য । কেন্দ্রীয় সরকারও অসহযোগিতা করছে । কারণ সেন্ট্রাল ফিনান্সিয়াল রেসপন্সিবিলিটি অ্যামেন্ডমেন্ট বিল অনুয়ায়ী রাজ্য 3% -র বেশি ধার নিতে পারবে না । ফলে কেন্দ্রের থেকে রাজ্য ধার নিতে পারছে না । আর সেজন্যই DA দেওয়াতে সমস্যা হচ্ছে।"

অন্যদিকে কর্মচারীদের তরফের আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলি ও ফিরদৌস শামিম বলেন, "এর সঙ্গে DA-র কোনও সম্পর্ক নেই । DA সম্পূর্ণভাবে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত । এই সব যুক্তি দেখিয়ে আসলে রাজ্য বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইছে।" আজ শুনানিতে কর্মচারীদের তরফে আইনজীবীরা বলেন, "রাজ্যের বহু কর্মচারী আছেন যাঁদের পরিবার রয়েছে জেলায়। আর চাকরিসূত্রে তাঁকে থাকতে হচ্ছে অন্য কোথাও । ফলে রোজগারের অনেকটাই সেখানে চলে যায় । পাশাপাশি দিনের পর দিন মূল্যবৃদ্ধি হলেও রাজ্য সেই অনুপাতে মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি বাড়েনি।"

গত বছর 15 অক্টোবর DA মামলার শুনানি শেষ হয় SAT-এ । এরপর আবার রাজ্যের তরফে রিভিউ পিটিশন দাখিল করে বিশেষ শুনানির আবেদন করা হয় হাইকোর্টে । পরে হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও শেখর ববি শরাফের নেতৃত্বে বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ গঠন হয়। ডিভিশন বেঞ্চ চলতি বছরের ৮ মার্চ DA মামলায় রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দেয় । SAT আবার বিষয়টি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়। সেটারই শুনানি শেষ হল আজ।

Intro:গ্রামের ভিতরে মদের দোকান, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।অবিলম্বে বন্ধ করার আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ গ্রামবাসী। Body:
মানস নস্কর---

বাচ্চাদের স্কুলের পাশেই মদের দোকান,বন্ধের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ গ্রামবাসী

কলকাতা ১৫ জুনঃ
পাশেই একাধিক বাচ্চাদের স্কুল, গ্রামের মানুষের আপত্তি সত্তেও গ্রামের মধ্যেই চলছে মদের দোকান।প্রশাসন নিরব। অবিলম্বে মদের দোকান যাতে বন্ধ করা হয় সেই দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন গ্রামেরই বাসিন্দা রাজা সরদার।গতকাল সন্ধ্যেবেলা মামলা দায়ের করেছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের সিংগল বেঞ্চে। আগামী শুক্রবার এই মামলার শুনানি।

রাজা সরদার ক্যানিঙের গৌড়দহ এলাকার বাসিন্দা। গত চারমাস ধরে গ্রামের ভিতরে একটা অনসপ মদের দোকান হয়েছে,মানে যেখানে বসে মদ খাওয়া যায়। এর ফলে পুরো গ্রামের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে রাজা বাবুর দাবি। মদের দোকানের কাছাকাছি তিনটি স্কুল রয়েছে। সব গুলিই বাচ্চাদের। স্থানীয় প্রশাসনকে বলেও কিছু হয়নি। শেষে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন।

রাজা সরদারের আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায়চৌধুরী জানালেন, "এই বিষয়ে আইনে তিনটি পয়েন্ট খুব স্পষ্ট করে বলা আছে-
১.আইন বলছে ১০০০ ফুটের মধ্যে নিকটবর্তী কোন স্কুল থাকলে মদের দোকানের লাইসেন্স দেওয়া যায় না।কিন্ত এখানে তিনটি বাচ্চাদের স্কুল রয়েছে। একটা অঙ্গনওয়াড়ি স্কুল রয়েছে ৩৫০ ফুটের মধ্যে,৪৫০ ফুটের মধ্যে একটা মিশনারি স্কুল রয়েছে। আর ৭৫০ ফুটের মধ্যে কুহু ও কেকা রাজ্য সরকারের একটি প্রাইমারী স্কুল রয়েছে।
২.যে কোনো PWD রোডের ৭২০ ফুট দূরে মদের দোকান করা যেতে পারে। কিন্ত এখানে মাত্র ২০ ফুটের মধ্যেই মদের দোকান বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে!
৩.একটা সরকারি বিজ্ঞপ্তি হয়েছিল ২০০৪ সালে। অর্থ দপ্তর থেকে সচীব পর্জায়ের যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল, তাতে বলা ছিল,সংশ্লিষ্ট কালেক্টর কোনো মদের দোকানের লাইসেন্স দেওয়ার আগে সেই এলাকার একটা জনসমীক্ষা করবেন।কারন জনসমর্থন যদি বিরোধী হয় তাহলে মদের সেল হবে না। সরকার রাজস্ব হারাবে।ফলে লাইসেন্স দেওয়া হবে না।আশ্চর্যজনক ভাবে এখানে পুরো গ্রামের মানুষ এর বিরোধী।গ্রামের মানুষের সই করা একটা মাস রিপ্রেজেন্টশন আমরা এই মামলার কপিতে দিয়েছি।পাশাপাশি স্কুল তাদের লিখিত প্যাডে স্থানীয় থানা ও এসয়াই দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছে যাতে মদের দোকান বন্ধ করা হয়।কিন্ত কোন সুরাহা হয়নি।অবশেষে রাজা সরদার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। Conclusion:

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.