সিউড়ি, 3 মে: লকডাউন ৷ বাস-ট্রেন বন্ধ ৷ বন্ধ শ্রমিকদের কাজ -কর্ম ৷ তাই বেশিরভাগ শ্রমিকরাই ভিনরাজ্য থেকে নিজ রাজ্যে ফিরতে মরিয়া ৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়া শ্রমিকরা তাই ঘরে ফিরতে নানা রকম উপায় খুঁজছেন ৷ সম্প্রতি এমনি একটি মিনি ট্রাকে করে কলকাতার ডানকুনি থেকে বিহারের দুমকাতে ফিরছিলেন 20-25 জন শ্রমিক ৷ ট্রাকটির সামনের কাচে লাগানো ছিল হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্টিকার। বীরভূমের সিউড়িতে প্রবেশ করতেই ট্রাকটিকে দাঁড়া করান সিউড়ি থানার পুলিশ ৷
এই ঘটনা অনেক প্রশ্ন তুলেছে নিরাপত্তা নিয়ে ৷ প্রথমত , অন্যান্য জায়গার নাকা চেকিং এড়িয়ে বীরভূমের ভেতর কীভাবে প্রবেশ করল ওই মিনি ট্রাকটি। দ্বিতীয়ত, ট্রাকের মালিক কীভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্টিকারের অপব্যবহার করার সাহস পেল ৷
দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যে আটকে যাওয়া শ্রমিক বাড়ি ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। কারণ শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মহীন ৷ কখনও হেঁটে, কখনও বা অন্য কোনও উপায়ে বাড়ি ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। কলকাতার ডানকুনি থেকে একটি মিনি ট্রাক ভর্তি কুড়ি থেকে পঁচিশ জন শ্রমিক পাড়ি দিচ্ছিলেন ঝাড়খণ্ড ও বিহারের বিভিন্ন জায়গায়। রাজ্যের অন্যান্য জায়গার নাকা চেকিং এড়িয়ে বীরভূমের ভেতর প্রবেশ করে ওই মিনি ট্রাকটি।
এরপর সিউড়ি থানা এলাকা পেরোনোর সময় সিউড়ি থানার অন্তর্গত তারাপুর গ্রামের কাছে সিউড়ি থানার OC ধরে ফেলেন ওই মিনি ট্রাকটিকে। দেখা যায় 20 থেকে 25 জন শ্রমিক ওই ট্রাকের মধ্যে বসে আছেন। ট্রাকটির সামনের কাচে লাগানো ছিল হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্টিকার।
যদিও এই প্রশ্নের উত্তরে ওই ট্রাকের চালক জানান, "আমার জানা নেই কেন এই স্টিকার লাগানো আছে। আমি এই গাড়ি চালাই না, অন্য গাড়ি চালাই। মালিক আজ নিয়ে যেতে বললেন তাই নিয়ে যাচ্ছি।"
শ্রমিকদের প্রশ্ন করে জানা যায়, তাঁরা প্রত্যেকেই 1400 টাকা ভাড়া দিয়ে কলকাতা থেকে ঝাড়খণ্ডের দুমকা অবধি চুক্তি করেছেন। ভাড়ার বিষয়েও ওই গাড়ির চালক জানান, "আমি কিছুই জানতাম না, সমস্তটাই জানে মালিক। মালিক ট্রাকটিকে নিয়ে দুমকা যেতে নির্দেশ দিয়েছিল। আমি সে মতোই আসছিলাম।"