শান্তিনিকেতন, 1 ডিসেম্বর : ন্যাকের (National Assessment and Accreditation Council) রিপোর্টে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মান 'বি প্লাস' (B+)। চলতি বছরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বৃদ্ধি না হওয়ায় উপাচার্যকেই দায়ী করছেন পড়ুয়ারা ৷ 2015 সালে ন্যাকের মূল্যায়নে বিশ্বভারতীর মান যা ছিল, এবারও তাই রইল ৷ সম্প্রতি এনআইআরএফ (National Institutional Ranking Framework)-এর র্যাঙ্কিয়েও বিশ্বভারতীর মান তলানিতে এসে ঠেকেছে ৷
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গত এক দশক ধরেই নানান বিতর্ক চলছে ৷ 2015 সালে উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের সময়ও ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (NAAC)-এর মূল্যায়নে ‘বি প্লাস’ পেয়েছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ৷ যা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছিল শিক্ষামহলে । সম্প্রতি, এনআইআরএফ-এর র্যাঙ্কিংয়েও 50 থেকে নেমে 97 নম্বরে দাঁড়িয়েছিল বিশ্বভারতী ৷
আরও পড়ুন : Visva-Bharati offline classes resume : দু’বছর খুলল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, উচ্ছ্বসিত পড়ুয়ারা
এবার ন্যাকের প্রতিনিধি দল বিশ্বভারতীতে আসার আগে মান ভাল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল কর্তৃপক্ষ । 24 থেকে 26 নভেম্বর বিশ্বভারতী পরিদর্শন করেন ন্যাকের প্রতিনিধি দল । সকলেই আশা করেছিলেন, এবার হয় তো মান বাড়বে বিশ্বভারতীর ৷ কারণ, ন্যাকের মূল্যায়নে মান বাড়ানোর জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ৷ যদিও তারপরও বিশ্ববিদ্যালয়ের মান না বাড়ায় হতাশ সকলে ৷ পড়ুয়ারা বলেন, ‘‘আমরা আশা করেছিলাম এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বাড়বে ৷ মান না বাড়ার জন্য উপাচার্যই দায়ী ৷ রিসার্চ স্কলাররা ঠিকমত টাকা পাচ্ছে না, গবেষণা হচ্ছে না ৷ মান কী করে বাড়বে ৷ মান না বাড়ায় আমরা হতাশ ।’’