ETV Bharat / state

বন্ধ ক্লাস, স্কুলে এসে মিড-ডে মিল নিয়ে যাচ্ছে অভিভাবকরা - স্কুল পরিদর্শক

সংক্রমণের আশঙ্কা কমাতে বীরভূম জেলার স্কুলগুলিতে মিড-ডে মিল দেওয়া হচ্ছে অভিভাবকদের ৷ পড়ুয়ারা ঘরে বসে নিশ্চিন্তে পাচ্ছে পুষ্টিকর মিড-ডে মিল ৷

বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিলে দেওয়া হচ্ছে শুকনো খাবার
বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিলে দেওয়া হচ্ছে শুকনো খাবার
author img

By

Published : Jun 25, 2021, 10:34 PM IST

বীরভূম, 25 জুন : খিদের টানে দুপুরের পর আর মন বসে না ক্লাসে ৷ গরম ভাতের থালা যেন কাছে ডাকে ৷ তার জেরেই বই-খাতা গুটিয়ে বাড়ির পথে ছুট লাগাত পড়ুয়ারা ৷ ফলে আর কী, পড়াশোনার দফারফা ৷ এই স্কুলছুট রুখতেই 1995 সাল থেকে মিড-ডে মিল প্রকল্প চালু করে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি স্কুলগুলিতে দুপুরবেলা পেট ভরে খাবার পেতে শুরু করে পড়ুয়ারা ৷ সেই থেকে একদিকে যেমন কমে স্কুলছুটের সংখ্যা ৷ অন্যদিকে, পেট ভরে খাবার খাওয়ার জন্যও অনেক ছেলে-মেয়ে স্কুলে ভর্তি হতে শুরু করে ৷ ফলে গতি আসে পড়াশোনায় ৷

কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ স্কুল ৷ স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ হয়েছে মিড-ডে মিল পরিষেবাও ৷ সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জেরে গৃহবন্দী সকলেই ৷ পড়ুয়াদেরও স্কুলে আসার ক্ষেত্রে জারি রয়েছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ৷ এই অবস্থায় পড়ুয়াদের পুষ্টিকর খাবারের চাহিদা মেটাতে বীরভূম জেলার স্কুলগুলিতে মিড-ডে মিল দেওয়া হচ্ছে অভিভাবকদের ৷

বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল সংগ্রহ করছেন অভিভাবকরা, দেওয়া হচ্ছে শুকনো খাবার
বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল সংগ্রহ করছেন অভিভাবকরা, দেওয়া হচ্ছে শুকনো খাবার

সংক্রমণের আশঙ্কা কমাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান বীরভূম জেলার ভারপ্রাপ্ত স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক) সমরেন্দ্রনাথ সাঁতরা ৷ তিনি বলেন, "করোনার শুরু থেকেই সরকারি নির্দেশ, করোনা বিধি মেনে মিড-ডে মিল দিতে হবে ৷ এক্ষেত্রে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা স্কুল থেকে মিড-ডে মিল সংগ্রহ করবেন ৷ বীরভূমের 653টি স্কুলে এখন মিড-ডে মিল দেওয়া হচ্ছে ৷ রান্না করা খাবার নয় ৷ যখন যেমন আসে সেই অনুযায়ী তাদের চাল, ডাল, ছোলা ইত্যাদি শুকনো খাবার দেওয়া হয় ৷"

মিড-ডে মিলের খাবার সামগ্রী দিতে স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা
মিড-ডে মিলের খাবার সামগ্রী দিতে স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা

কেমন চলছে জেলায় মিড-ডে মিল বিলি ? বীরভূম জেলার বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সেই ব্যবস্থায় ঘুরে দেখলেন ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি অভিষেক দত্ত রায় ৷ কথা বললেন প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ৷

বন্ধ ক্লাস, স্কুলে এসে মিড-ডে মিল নিয়ে যাচ্ছে অভিভাবকরা

এই বিষয়ে বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় কুমার সাধু বলেন, "সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা মিড-ডে মিল দিচ্ছি ৷ পড়ুয়াদের কোনওভাবেই স্কুলে আসা যাবে না । আমরা আগাম বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিচ্ছি ৷ অভিভাবকরা সেই মত এসে মিড-ডে মিলের সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছেন ।"

আরও পড়ুন : ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে নিবিড় যোগ, ধ্বংসের মুখে রায়পুর রাজবাড়ি

বীরভূম, 25 জুন : খিদের টানে দুপুরের পর আর মন বসে না ক্লাসে ৷ গরম ভাতের থালা যেন কাছে ডাকে ৷ তার জেরেই বই-খাতা গুটিয়ে বাড়ির পথে ছুট লাগাত পড়ুয়ারা ৷ ফলে আর কী, পড়াশোনার দফারফা ৷ এই স্কুলছুট রুখতেই 1995 সাল থেকে মিড-ডে মিল প্রকল্প চালু করে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি স্কুলগুলিতে দুপুরবেলা পেট ভরে খাবার পেতে শুরু করে পড়ুয়ারা ৷ সেই থেকে একদিকে যেমন কমে স্কুলছুটের সংখ্যা ৷ অন্যদিকে, পেট ভরে খাবার খাওয়ার জন্যও অনেক ছেলে-মেয়ে স্কুলে ভর্তি হতে শুরু করে ৷ ফলে গতি আসে পড়াশোনায় ৷

কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ স্কুল ৷ স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ হয়েছে মিড-ডে মিল পরিষেবাও ৷ সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জেরে গৃহবন্দী সকলেই ৷ পড়ুয়াদেরও স্কুলে আসার ক্ষেত্রে জারি রয়েছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ৷ এই অবস্থায় পড়ুয়াদের পুষ্টিকর খাবারের চাহিদা মেটাতে বীরভূম জেলার স্কুলগুলিতে মিড-ডে মিল দেওয়া হচ্ছে অভিভাবকদের ৷

বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল সংগ্রহ করছেন অভিভাবকরা, দেওয়া হচ্ছে শুকনো খাবার
বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল সংগ্রহ করছেন অভিভাবকরা, দেওয়া হচ্ছে শুকনো খাবার

সংক্রমণের আশঙ্কা কমাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান বীরভূম জেলার ভারপ্রাপ্ত স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক) সমরেন্দ্রনাথ সাঁতরা ৷ তিনি বলেন, "করোনার শুরু থেকেই সরকারি নির্দেশ, করোনা বিধি মেনে মিড-ডে মিল দিতে হবে ৷ এক্ষেত্রে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা স্কুল থেকে মিড-ডে মিল সংগ্রহ করবেন ৷ বীরভূমের 653টি স্কুলে এখন মিড-ডে মিল দেওয়া হচ্ছে ৷ রান্না করা খাবার নয় ৷ যখন যেমন আসে সেই অনুযায়ী তাদের চাল, ডাল, ছোলা ইত্যাদি শুকনো খাবার দেওয়া হয় ৷"

মিড-ডে মিলের খাবার সামগ্রী দিতে স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা
মিড-ডে মিলের খাবার সামগ্রী দিতে স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা

কেমন চলছে জেলায় মিড-ডে মিল বিলি ? বীরভূম জেলার বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সেই ব্যবস্থায় ঘুরে দেখলেন ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি অভিষেক দত্ত রায় ৷ কথা বললেন প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ৷

বন্ধ ক্লাস, স্কুলে এসে মিড-ডে মিল নিয়ে যাচ্ছে অভিভাবকরা

এই বিষয়ে বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় কুমার সাধু বলেন, "সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা মিড-ডে মিল দিচ্ছি ৷ পড়ুয়াদের কোনওভাবেই স্কুলে আসা যাবে না । আমরা আগাম বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিচ্ছি ৷ অভিভাবকরা সেই মত এসে মিড-ডে মিলের সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছেন ।"

আরও পড়ুন : ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে নিবিড় যোগ, ধ্বংসের মুখে রায়পুর রাজবাড়ি

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.