বোলপুর, 19 ডিসেম্বর: বীরভূমের খয়রাশোলের ভীমগড়ে ইসকন মন্দিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ । ধৃতদের নাম কার্তিক চন্দ্র দাস বৈরাগ্য, বাপ্পা গড়াই ও তাপস ধীবর (three arrested in Birbhum ISKCON temple fire incident)।
বীরভূমের খয়রাশোল থানার অন্তর্গত কেন্দ্রগড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়ের ভীমগড়ে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে এই ইসকন মন্দিরটি । কংক্রিটের প্রাচীর-বেষ্টিত খড়ের ছাউনি দিয়ে যা তৈরি । অভিযোগ, গত 9 ডিসেম্বর রাতে এই মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ৷ তবে সেই আগুন খুব বেশি ছড়ানোর আগেই তা নজরে আসে ভক্তদের। তড়িঘড়ি সেই আগুন নেভানো হয় ৷ ওইদিনই ইসকনের তরফে সংশ্লিষ্ট থানায় বিষয়টি জানানো হয় (fire at ISKCON temple) ৷
কিন্তু গত শুক্রবার ঘটে বড় ঘটনা ৷ ওইদিন ভোররাতে মন্দিরে চারদিক থেকে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে । আগুনে বিগ্রহ-সহ ভস্মীভূত হয় সমগ্র মন্দির ৷ ইচ্ছাকৃতভাবে এই আগুন লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল মন্দির কর্তৃপক্ষ ৷ প্রতিবাদের পথ অবরোধও হয় ৷ এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে খয়রাশোল থানার পুলিশ (Birbhum ISKCON temple) ।
আরও পড়ুন: খয়রাশোলে ভস্মীভূত ইসকনের মন্দির, ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন ভক্তরা !
সোমবার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বোলপুর) সুরজিৎ দে বলেন, "নেশাগ্রস্ত লোকজন এই কাণ্ড ঘটায়৷ মন্দির সংলগ্ন এলাকায় নেশা করত ওরা। বাধা দেওয়া হয়৷ সেই আক্রোশ থেকেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ ধৃতরা সে কথা স্বীকার করেছে ৷ ধৃতদের 5 দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে । ইসকনের তরফেও পুলিশ সাহায্য পেয়েছে ।" ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসাসনেন্সের দুর্গাপুরের জিএম ঔদার্য্যচন্দ্র দাস বলেন, "আমরা প্রশাসনের খুবই সহযোগিতা পেয়েছি। আমরা সঠিক বিচার চেয়েছিলাম । পুলিশ ওই রাতেই অভিযুক্তদের ধরে ফেলেছে ।"