ETV Bharat / state

লাভপুর হত্যা মামলায় ফের তদন্তের নির্দেশে খুশি শেখ পরিবার

লাভপুর হত্যা মামলায় পুনরায় তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের ৷ "এবার বিচার পাব", হাইকোর্টের নির্দেশের পর বললেন নিহতদের ভাই জামাল শেখ ৷

লাভপুর
author img

By

Published : Sep 4, 2019, 8:07 PM IST

Updated : Sep 4, 2019, 8:24 PM IST

লাভপুর, 4 সেপ্টেম্বর : লাভপুর হত্যা মামলায় পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ সেই নির্দেশে সন্তোষ প্রকাশ করল নিহত তুরুক শেখ, কাটুন শেখ ও ধানু শেখের পরিবারের লোকেরা ৷ তাঁদের আশা এবার বিচার পাবেন ৷

2010 সালে গ্রামে বালিঘাটের দখল নিয়ে মনিরুল ইসলামের সঙ্গে বিবাদ শুরু হয় শেখ পরিবারের ৷ সেই বিবাদ মেটাতে ওই বছরের 4 জুন নিজের বাড়িতে একটি সালিশি সভা ডাকেন মনিরুল । শেখ পরিবারের অভিযোগ, সালিশি সভায় আচমকাই তাদের পরিবারের সদস্যদের উপর হমলা করে মনিরুলের অনুগামীরা৷ জখম হয় শেখ পরিবারের 4 জন ৷

বোলপুর মহাকুমা হাসপাতালে মৃত্যু হয় তিন ভাই তুরুক শেখ, কাটুন শেখ ও ধানু শেখের ৷ নিহতদের ভাই শেখ আনোয়ার মণিরুল ইসলাম সহ 52 জনের বিরুদ্ধে লাভপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন । এই ঘটনার পর ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন মনিরুল । 2011 সালে বিধানসভা ভোটে জেতার পর লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল প্রকাশ্য মঞ্চে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন ,'পায়ের তল দিয়ে তিন জনকে মেরে ফেলেছি' ৷ তার এই বক্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল বিতর্ক ছড়ায় ৷

2015 সালের ডিসেম্বর মাসে বোলপুর মহকুমা আদালতে এই মামলায় 30 জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ । কিন্তু চার্জশিট থেকে নাম বাদ যায় অন্যতম অভিযুক্ত মনিরুল ইসলামের । সেই সময় এই চার্জশিটের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল নিহতদের পরিবার । আজ কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ৷ হাইকোর্টের নির্দেশে খুশি শেখ পরিবার ৷ নিহতদের ভাই আনোয়ার শেখ বলেন, "আমরা এবার বিচার পাব ।"

লাভপুর, 4 সেপ্টেম্বর : লাভপুর হত্যা মামলায় পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ সেই নির্দেশে সন্তোষ প্রকাশ করল নিহত তুরুক শেখ, কাটুন শেখ ও ধানু শেখের পরিবারের লোকেরা ৷ তাঁদের আশা এবার বিচার পাবেন ৷

2010 সালে গ্রামে বালিঘাটের দখল নিয়ে মনিরুল ইসলামের সঙ্গে বিবাদ শুরু হয় শেখ পরিবারের ৷ সেই বিবাদ মেটাতে ওই বছরের 4 জুন নিজের বাড়িতে একটি সালিশি সভা ডাকেন মনিরুল । শেখ পরিবারের অভিযোগ, সালিশি সভায় আচমকাই তাদের পরিবারের সদস্যদের উপর হমলা করে মনিরুলের অনুগামীরা৷ জখম হয় শেখ পরিবারের 4 জন ৷

বোলপুর মহাকুমা হাসপাতালে মৃত্যু হয় তিন ভাই তুরুক শেখ, কাটুন শেখ ও ধানু শেখের ৷ নিহতদের ভাই শেখ আনোয়ার মণিরুল ইসলাম সহ 52 জনের বিরুদ্ধে লাভপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন । এই ঘটনার পর ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন মনিরুল । 2011 সালে বিধানসভা ভোটে জেতার পর লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল প্রকাশ্য মঞ্চে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন ,'পায়ের তল দিয়ে তিন জনকে মেরে ফেলেছি' ৷ তার এই বক্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল বিতর্ক ছড়ায় ৷

2015 সালের ডিসেম্বর মাসে বোলপুর মহকুমা আদালতে এই মামলায় 30 জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ । কিন্তু চার্জশিট থেকে নাম বাদ যায় অন্যতম অভিযুক্ত মনিরুল ইসলামের । সেই সময় এই চার্জশিটের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল নিহতদের পরিবার । আজ কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ৷ হাইকোর্টের নির্দেশে খুশি শেখ পরিবার ৷ নিহতদের ভাই আনোয়ার শেখ বলেন, "আমরা এবার বিচার পাব ।"

Intro:বালির ঘাটের বিবাদকে কেন্দ্র করে ডাকা সালিশি সভায় নিজের বাড়ির উঠানে তিনজনকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল মণিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় পুনঃরায় তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে জেলা পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে এই মামলার তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। "এবার বিচার পাব", হাইকোর্টের নির্দেশের পর জানালেন নিহতদের ভাই জামাল শেখ।Body:লাভপুর, ৪ সেপ্টেম্বরঃ বালির ঘাটের বিবাদকে কেন্দ্র করে ডাকা সালিশি সভায় নিজের বাড়ির উঠানে তিনজনকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল মণিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় পুনঃরায় তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে জেলা পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে এই মামলার তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। "এবার বিচার পাব", হাইকোর্টের নির্দেশের পর জানালেন নিহতদের ভাই আনোয়ার শেখ।

বীরভূমের লাভপুর থানার বুনিয়াডাঙা গ্রামে বাড়ি বর্তমান বিজেপি নেতা মণিরুল ইসলামের। ২০১০ সালে ফরওয়ার্ড ব্লকে থাকাকালীন গ্রামে বালির ঘাটের বিবাদ নিয়ে দুপক্ষের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সেই দ্বন্দ্ব মেটাতে ওই বছরের ৪ জুন নিজের বাড়িতে একটি সালিশি সভা ডাকেন মণিরুল ইসলাম। অভিযোগ, সভায় বচসার জেরে একই পরিবারের তিন ভাই করু শেষ, কটুম শেখ ও ধানু শেখকে পিটিয়ে খুন করা হয়। এই ঘটনার নিহতের ভাই জামাল শেখ মণিরুল ইসলাম সহ ৫২ জনের নামে লাভপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর রাজ্যে পালাবদলের আগে ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন মণিরুল ইসলাম। লাভপুরের বিধায়ক হওয়ার মঞ্চ থেকেও প্রকাশ্যে 'পায়ের তল দিয়ে তিন জনকে মেরে ফেলেছি' বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। মামলার প্রায় ৪ বছর পর বোলপুর মহকুমা আদালতে ৩০ জনের নামে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। চার্জশিট থেকে নাম বাদ যায় অন্যতম অভিযুক্ত মনিরুল ইসলামের। এতে রাজ্য জুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। সেই সময় বিচার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিহতের পরিবার।
নিহতের ভাই আনোয়ার শেখ বলেন, "আমরা এবার বিচার পাব। আগেই হাইকোর্টে বলেছিলাম যেন বিচার পাই।"Conclusion:
Last Updated : Sep 4, 2019, 8:24 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.