বোলপুর, 14 ডিসেম্বর: শান্তিনিকেতনে গিয়ে হেলিকপ্টার বিতর্কে মুখ খুললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ তিনি বলেন, "যদি সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার থাকে, তাহলে রাজ্যের হেলিকপ্টারের দরকার নেই ।" উল্লেখ্য, পূর্বাঞ্চল সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের লোক মহোৎসবে যোগ দেওয়ার জন্য শান্তিনিকেতনে সফর করতে রাজ্যের কাছে হেলিকপ্টার চেয়েও পাননি রাজ্যপাল ৷ তাই আজ সকালে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে চড়ে শান্তিনিকেতনে যান তিনি ৷
এই প্রথম নয় ৷ এর আগেও বিভিন্ন সময়ে এমন ঘটনা ঘটেছে ৷ বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার জন্য রাজ্যের কাছে হেলিকপ্টার চাইলেও তা পাননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ যান্ত্রিক ত্রুটি বা অন্য কোনও কারণ দেখানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে ৷ এ বারও সেই ঘটনাই ঘটে ৷ রাজভবনের তরফে জানানো হয়, রাজ্যপালের শান্তিনিকেতনে যাওয়ার জন্য হেলিকপ্টারের প্রয়োজন ছিল ৷ রাজ্যের কাছে সেই আবেদন জানানো হলেও, হেলিকপ্টার দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয় সরকার ৷
এ দিন শান্তিনিকেতনের অনুষ্ঠান শেষে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রাজ্যপাল বলেন, "এটা কোনও বিষয়ই নয় ৷ আমি সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার চড়ে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানিয়েছি । তাই সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার থাকলে রাজ্যের হেলিকপ্টারের কোনও দরকার নেই ।"
এ দিকে, বৃহস্পতিবার শান্তিনিকেতনে পূর্বাঞ্চল সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের লোক মহোৎসবের উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ তিনি বলেন, "ভারত দ্রুত অর্থনীতি ও সেনাবাহিনীতে বিশ্বের প্রথম শক্তিধর দেশ হবে । কিন্তু, শিল্প-কৃষ্টিতে ভারত বিশ্বের শক্তিশালী দেশ ।" এ দিন প্রায় 2 ঘণ্টা সৃজনী শিল্পগ্রামের অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যপাল ৷ বীরভূমের শিল্প-সাহিত্যে অবদান রাখার জন্য বেশ কয়েকজনকে সম্মাননা জ্ঞাপন করেন সিভি আনন্দ বোস ।
শান্তিনিকেতনের পূর্বাঞ্চল সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সৃজনী শিল্পগ্রামে আজ শুরু হল লোক মহোৎসব । বাংলা-সহ আটটি রাজ্যের 1200 শিল্পী অংশ নিয়েছেন এই উৎসবে । এ দিন উৎসবের সূচনা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । তিনি পূর্বাঞ্চল কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন রাজ্যপাল । ছিলেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিক । পরে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন রাজ্য থেকে আগত শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল । অসম, ওড়িশা, ত্রিপুরা-সহ বাংলার ছৌ নৃত্য, ঘোড়া নৃত্য রাজ্যপালের সামনে পরিবেশন করেন শিল্পীরা ৷ শিল্পীদের জন্য রাজভবনের তরফে ফেলোশিপ চালু করার কথা জানান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, "ভারত শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতিতে বিশ্বের শক্তিধর দেশ । আর শিল্প-সংস্কৃতির পীঠস্থান হল এই বাংলা । কিছুদিনের মধ্যেই ভারত অর্থনীতিতে ও সামরিক শক্তিতে বিশ্বের শক্তিধর দেশ হয়ে উঠবে । কিন্তু এখনই ভারত শিল্প সংস্কৃতিতে বিশ্বের শক্তিধর দেশ । মিউজিক, আর্ট, নৃত্যের এত শক্তি একটা দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেয় ।"
আরও পড়ুন: