ETV Bharat / state

লাভপুরে তিন ভাইকে খুনের ঘটনায় মুকুলকে জেরা পুলিশের

author img

By

Published : Jan 1, 2020, 9:47 PM IST

Updated : Jan 1, 2020, 11:36 PM IST

2010 সালের 4 জুন লাভপুরের নবগ্রামে তিন ভাই কটুন শেখ, ধানু শেখ ও তরুক শেখ খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় BJP নেতা মুকুল রায়ের ৷ ঘটনায় প্ররোচনায় দেওয়ার অভিযোগে নাম জড়ায় তাঁর ।

Mukul Roy was interrogated for 2 hours in Labpur murder case
মুকুল রায়

দুবরাজপুর, 1 জানুয়ারি : লাভপুরে একই পরিবারের তিন ভাইকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় BJP নেতা মুকুল রায়কে জেরা করল পুলিশ । বীরভূমের দুবরাজপুর থানায় ডেকে তাঁকে প্রায় 2 ঘণ্টা ধরে আজ জেরা করা হয় ৷ 2010 সালের 4 জুন লাভপুরে মণিরুল ইসলামের বাড়ির উঠানে 3 জনকে পিটিয়ে মেরে দেওয়ার ঘটনায় চার্জশিটে নাম রয়েছে মুকুলবাবুর ৷ তৎকালীন লাভপুর থানার OC তথা তদন্তকারী অফিসার সর্বজিৎ বোস জিজ্ঞাসাবাদ করেন ৷

জেরা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুকুলবাবু বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বারাসতে 302 এর মামলা আজও রয়েছে ৷ মামলার পেপারটাই লোপাট করে দিয়েছে ৷ আর আমাকে এমন মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যার বিন্দুবিসর্গ পর্যন্ত জানি না ।" দুবরাজপুরের আদালতে হাজিরা দিতে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জানা আছে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিতে কী করতে হয় । সুতরাং আমাকেও এখানে একটি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । তবে তদন্তের জন্য আমাকে একবার কেন 100 বার ডাকলে আমি যাব । আমি আমার তরফে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব ৷ " এরপরেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, "তদন্তকারী সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করতে এলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় নেমে পড়েন, বলেন তদন্তকারী সংস্থাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেবে না ।"

আজ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে মুকুলবাবু বলেন, "মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে । এই ভুল থেকে বের করতে আমরা সবার বাড়ি বাড়ি যাব । এই আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয় ৷ এই আইন আনা হয়েছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের ভারতে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য । কিন্তু এই আইনে তো কোথাও বলা হয়নি মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে । "

দেখুন ভিডিয়ো...

উল্লেখ্য, 2010 সালের 4 জুন লাভপুরের নবগ্রামে তিন ভাই কটুন শেখ, ধানু শেখ ও তরুক শেখ খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় মুকুলবাবুর ৷ ঘটনায় মণিরুল ইসলামসহ 52 জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় লাভপুর থানায় । প্রথম চার্জশিটে ৪২ জনের নাম দেয় পুলিশ । নাম বাদ যায় মণিরুল ইসলামের । যা নিয়ে রীতিমত বিতর্ক তৈরি হয়েছিল । কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার পুনরায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ । সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে নাম দেওয়া হয় মণিরুল ইসলামের । এমনকী, ঘটনায় প্ররোচনায় দেওয়ার অভিযোগে নাম জড়ায় মুকুলবাবুর ।

দুবরাজপুর, 1 জানুয়ারি : লাভপুরে একই পরিবারের তিন ভাইকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় BJP নেতা মুকুল রায়কে জেরা করল পুলিশ । বীরভূমের দুবরাজপুর থানায় ডেকে তাঁকে প্রায় 2 ঘণ্টা ধরে আজ জেরা করা হয় ৷ 2010 সালের 4 জুন লাভপুরে মণিরুল ইসলামের বাড়ির উঠানে 3 জনকে পিটিয়ে মেরে দেওয়ার ঘটনায় চার্জশিটে নাম রয়েছে মুকুলবাবুর ৷ তৎকালীন লাভপুর থানার OC তথা তদন্তকারী অফিসার সর্বজিৎ বোস জিজ্ঞাসাবাদ করেন ৷

জেরা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুকুলবাবু বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বারাসতে 302 এর মামলা আজও রয়েছে ৷ মামলার পেপারটাই লোপাট করে দিয়েছে ৷ আর আমাকে এমন মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যার বিন্দুবিসর্গ পর্যন্ত জানি না ।" দুবরাজপুরের আদালতে হাজিরা দিতে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জানা আছে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিতে কী করতে হয় । সুতরাং আমাকেও এখানে একটি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । তবে তদন্তের জন্য আমাকে একবার কেন 100 বার ডাকলে আমি যাব । আমি আমার তরফে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব ৷ " এরপরেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, "তদন্তকারী সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করতে এলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় নেমে পড়েন, বলেন তদন্তকারী সংস্থাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেবে না ।"

আজ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে মুকুলবাবু বলেন, "মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে । এই ভুল থেকে বের করতে আমরা সবার বাড়ি বাড়ি যাব । এই আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয় ৷ এই আইন আনা হয়েছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের ভারতে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য । কিন্তু এই আইনে তো কোথাও বলা হয়নি মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে । "

দেখুন ভিডিয়ো...

উল্লেখ্য, 2010 সালের 4 জুন লাভপুরের নবগ্রামে তিন ভাই কটুন শেখ, ধানু শেখ ও তরুক শেখ খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় মুকুলবাবুর ৷ ঘটনায় মণিরুল ইসলামসহ 52 জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় লাভপুর থানায় । প্রথম চার্জশিটে ৪২ জনের নাম দেয় পুলিশ । নাম বাদ যায় মণিরুল ইসলামের । যা নিয়ে রীতিমত বিতর্ক তৈরি হয়েছিল । কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার পুনরায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ । সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে নাম দেওয়া হয় মণিরুল ইসলামের । এমনকী, ঘটনায় প্ররোচনায় দেওয়ার অভিযোগে নাম জড়ায় মুকুলবাবুর ।

Intro:দুবরাজপুর, ১ জানুয়ারিঃ লাভপুরে একই পরিবারের তিন ভাইকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে জেরা করে পুলিশ। প্রায় ২ ঘন্টা এদিন বীরভূমের দুবরাজপুর থানায় ডেকে জেরা করা হয় তাঁকে। ২০১০ সালে ৪ জুন লাভপুরে মণিরুল ইসলামের বাড়ির উঠানে ৩ জনকে পিটিয়ে মেরে দেওয়ার ঘটনায় চার্জশিটে নাম রয়েছে মুকুল রায়ের। তদন্তকারী অফিসার সর্বজিৎ বোস জিজ্ঞাসাবাদ করেনBody:দুবরাজপুর, ১ জানুয়ারিঃ লাভপুরে একই পরিবারের তিন ভাইকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে জেরা করে পুলিশ। প্রায় ২ ঘন্টা এদিন বীরভূমের দুবরাজপুর থানায় ডেকে জেরা করা হয় তাঁকে। ২০১০ সালে ৪ জুন লাভপুরে মণিরুল ইসলামের বাড়ির উঠানে ৩ জনকে পিটিয়ে মেরে দেওয়ার ঘটনায় চার্জশিটে নাম রয়েছে মুকুল রায়ের। তদন্তকারী অফিসার সর্বজিৎ বোস জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

এদিন জেরা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুকুল রায় বলেন,

> “মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে বারাসাতে ৩০২ এর মামলার ফাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, আর আমাকে এমন মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যার বিন্দুবিসর্গ পর্যন্ত জানিনা।”বুধবার বছরের প্রথম দিনে দুবরাজপুরের আদালতে হাজিরা দিতে এসে মমতা ব্যানার্জি ও তার সরকারকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় তিনি বলেন, “মমতা ব্যানার্জির জানা আছে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিতে কি করতে হয়। সুতরাং আমাকেও এখানে একটি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তদন্তের জন্য আমাকে একবার কেন ১০০ বার ডাকলে আমি যাব। আমি আমার তরফ থেকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব।”

> এরপরেই তিনি মমতা ব্যানার্জিকে আক্রমণ করে বলেন, “ওনারা তদন্তকারী অফিসারদের তদন্ত করতে বাধা দেন। তদন্তকারী সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করতে এলে মমতা ব্যানার্জি রাস্তায় নেমে পড়েন, কারণ তিনি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেবেন না।”

> পশ্চিমবঙ্গে  অরাজকতা চলছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের অরাজকতা চলছে। যেখানে মানুষ স্বাধীনভাবে তার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রকাশ করতে পারেন না। যার উদাহরণ দেখেছি আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে। যে নির্বাচনে বিরোধীরা প্রার্থীই দিতে পারেনি।” আর এরপরেই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, “আগামী পৌর নির্বাচনে যদি মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে তাহলে সমস্ত পৌরসভার তৃণমূলের হাতছাড়া হবে, জিতবে বিজেপি।”

> এদিন তিনি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়েও বলেন , “মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। আর এই ভুল থেকে বের করতে আমরা সবার বাড়ি বাড়ি যাবো। এই আইন কারোর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, এই আইন আনা হয়েছে পাকিস্তান বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের ভারতে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য। কিন্তু এই আইনে তো কোথাও বলা হয়নি মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে।”

> প্রসঙ্গত, মুকুল রায় বুধবার দুবরাজপুরে হাজির হন সাম্প্রতি তাকে লাভপুরের দুই ভাই খুনের মামলায় সাপ্লিমেনটারি চার্জশিট দিতে গিয়ে মুকুল রায়ের নাম যুক্ত করে পুলিশ। ২০১০ সালের ৪ জুন লাভপুরের নবগ্রামে তিন ভাই কটুন শেখ, ধানু শেখ ও তরুক শেখ খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়ে যাওয়ায়। ঘটনায় মণিরুল ইসলাম সহ ৫২ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় লাভপুর থানায়। প্রথম চার্জশিটে ৪২ জনের নাম দেয় পুলিশ। নাম বাদ যায় মণিরুল ইসলামে। যা নিয়ে রীতিমত বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এক সভা থেকে প্রকাশ্যে মণিরুল ইসলাম বলেছিল 'পায়ের তল দিয়ে তিনজনকে মেরেছি'। হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার পুনঃরায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সাপ্লিমেন্টারী চার্জশিটে নাম দেওয়া হয় মণিরুল ইসলামের। এমনকি, ঘটনায় প্ররোচনায় দেওয়ার অভিযোগে নাম জড়ায় মুকুল রায়ের। তিনি এদিন আসেন দুবরাজপুর থানায়। এখানে এসেই তিনি রাজ্য সরকার ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে মুখ খুললেন।Conclusion:
Last Updated : Jan 1, 2020, 11:36 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.