বোলপুর, 13 মার্চ: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড, রাঘব-বোয়ালদের ধরতে যখন তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এবং তদন্তকারী সংস্থা; ঠিক সে সময় দোকানে মিলল ওএমআর শিটে মোড়া কেক ৷ যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য বোলপুরে ৷ তাহলে কি এই ওএমআর শিটের সঙ্গেও জড়িয়ে নিয়োগ দুর্নীতি কেলেঙ্কারি ? বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হন্যে হয়ে আসরে নেমেছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ (Cakes wrapped by OMR sheet made controversy in Bolpur) ৷
সোমবার বোলপুরের একটি চায়ের দোকানে দেখা মেলে এই ওএমআর শিটে মোড়া কেকের। ব়্যাপ করা ওএমআর শিটগুলির কোনওটায় লেখা 2014, কোনওটায় লাল-কালো কালিতে উত্তর টিক দেওয়া, কোনওটায় ওএমআর নম্বর লেখা আবার কোনওটায় পরীক্ষার্থীর স্বাক্ষর করা ৷ তবে কত সালের কোন পরীক্ষার ওএমআর শিট এগুলি, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, বাংলার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে ইতিমধ্যেই 3 হাজার 478টি ওএমআর শিট উদ্ধার করেছে সিবিআই ৷ পরবর্তীতে দেখা যায়, নাইসা (NYSA) নামক সংস্থার সার্ভার থেকে এসএসসি-র গ্রুপ-সি স্তরের নিয়োগ পরীক্ষার যে উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট মিলেছে, তার সঙ্গে এসএসসি-র ওয়েবসাইটে থাকা ওএমআর শিটের প্রাপ্ত নম্বরে বিস্তর ফারাক রয়েছে ৷ যেমন-নাইসার সার্ভারে কোনও ওএমআর শিটে পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর 40 হলে এসএসসি-র ওয়েবসাইটে সেই একই ওএমআর শিটের প্রাপ্ত নম্বর রয়েছে 10।
আরও পড়ুন: কুন্তলই মাস্টারমাইন্ড, দাবি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা শান্তনুর
ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, নম্বরের এই ফারাকই দুর্নীতির প্রমাণ ৷ বিষয়টি নিয়ে আদালতে হলফনামাও জমা করেছে কর্তৃপক্ষ ৷ তাতে তারা স্বীকার করেছে, কমিশনের আধিকারিকদের একাংশই এই অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। অর্থাৎ, অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দিতে অসৎ উপায়ে নাইসার সার্ভারে তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ওএমআর শিটের তথ্য-তালাশের নির্দেশ দিয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে বোলপুরের দোকানে ওএমআর শিটে মোড়া কেকের সন্ধান পেতেই শুরু হয়েছে চাপানউতোর। তবে কি নিয়োগ দুর্নীতির জাল আরও গভীরে ? উত্তর জানতে উৎসুক আমজনতা ৷ জানা গিয়েছে, হন্যে হয়ে ওএমআএ শিটের উৎস খুঁজছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ।