বোলপুর, 7 জুন : "পরিযায়ীরা জামাই আদর চাইছে। তা দেওয়া সম্ভব নয়।" তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের এই মন্তব্যের পাশে দাঁড়ালেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আজ এক সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি আরও জানান, 15 জুন থেকে দলীয় কর্মসূচি শুরু করবেন। যদিও, কোন জনসভা করবেন না। পরিযায়ী শ্রমিকদের জব কার্ড দেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সাঁইথিয়ায় একটি সরকারি বৈঠকে গিয়ে বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় বলেছিলেন, "পরিযায়ীরা জামাই আদর চাইছে। তা দেওয়া সম্ভব নয়।" সাংসদের এই মন্তব্য়ের সমালোচনা শুরু করে BJP। তবে কার্যত শতাব্দী রায়ের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন পর বোলপুরে দলীয় কার্যালয়ে আসেন তিনি। দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন । ছিলেন দুই মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রনাথ সিংহ এবং জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, "এই কোরোনাকে নিয়েই আমাদের চলতে হবে। দীর্ঘদিন দলের কাজ তো আর বন্ধ থাকতে পারে না। তাই 15 জুন থেকে ব্লক স্তরে দলীয় কর্মসূচি শুরু হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কর্মসূচি পালন করা হবে। যদিও, জনসভা হবে না।"
এরপর সাংসদ শতাব্দী রায়ের মন্তব্যের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “ভালো খাবার না পেলে শ্রমিকরা বলতেই পারেন। কিন্তু, আমরা পর্যাপ্ত খাবার দিচ্ছি। এক বেলা ডিম ও এক বেলা মাছ দিচ্ছে। শ্রমিকরা বলেছে মাংস দিচ্ছেন না কেন। এইভাবে তো দেওয়া সম্ভব নয়। তবে পর্যাপ্ত খাবার দিচ্ছে সরকার। ওঁরা তো বীরভূম জেলার শ্রমিক। বাইরে কাজ করতে গিয়েছিলেন। ওঁরা তো পরিযায়ী নয়। ওঁরা আমার জেলার লোক।”
অনুব্রত মণ্ডল আরও জানান, জেলায় ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের 100 দিনের কাজ দেওয়া হবে। যাদের জব কার্ড নেই, তাদের জব কার্ড দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন তিনি। জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান অনুব্রত ।