শান্তিনিকেতন, 3 সেপ্টেম্বর : আদালতের রায় হাতে পেলে আইনজীবীর পরামর্শ মতো পরবর্তী আন্দোলনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, আজ এমনটাই জানালেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা ৷ উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ‘বিশৃঙ্খলা’ হঠানোর জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । সেই মামলার শুনানিতে রাজ্য পুলিশকে উপাচার্যের বাড়ির সামনে থেকে বিক্ষোভ সরানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।
বিগত এক বছরে 12 জন অধ্যাপক-অধ্যাপিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে । এছাড়া, অর্থনীতি বিভাগের দুই ছাত্র ও সঙ্গীত ভবনের এক ছাত্রীকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয় । এই ঘটনার পরই ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী । উপাচার্যের বাড়ির সামনে অবস্থান মঞ্চ তৈরি করে সাত রাত ঘেরাও করে রাখা হয়েছে উপাচার্যকে ।
এই পরিস্থিতিতে শান্তিনিকেতনে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ঘেরাও হঠাতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । এই মামলায় আজ শুনানির পর আদালত জানায়, উপাচার্যের বাড়ির সামনে কোনওরকম বিশৃঙ্খলা করা যাবে না, মাইক বাজানো যাবে না । এক কথায় আন্দোলন প্রসঙ্গে একাধিক নির্দেশিকা জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট ।
এই বিষয়ে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মধ্যে সোমনাথ সৌ ও রূপা চক্রবর্তী বলেন, "আদালতের নির্দেশিকা এখনও আমরা হাতে পাইনি । নির্দেশিকা হাতে পেলে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী আন্দোলনের পদক্ষেপ ঠিক করব আমরা ।"
বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সুদীপ্ত গুপ্ত হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আইনজীবীদের পরামর্শ নিয়ে আন্দোলন এগিয়ে যাবে ৷ উপাচার্য যদি ভেবে থাকেন তিনি হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের ভয় দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চালাবেন তাহলে খুব ভুল ভাবছেন ৷ আইনি পথেই আমরাও চালিয়ে নিয়ে যাব আমাদের আন্দোলন ৷’’
আরও পড়ুন : Viswabharati : বিশ্বভারতীর সামনে বিক্ষোভে নিষেধাজ্ঞা জারি কলকাতা হাইকোর্টের