বাঁকুড়া, 8 অক্টোবর: খোদ কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের মুখে কালি মাখানো হল বাঁকুড়ায় ৷ আর এই কালি মাখালেন বিরোধী নয়, তাঁরই দলের নেতাকর্মীরা ৷ ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ছাতনায় । তবে মানুষ সুভাষ সরকারকে নয়, বরং রবিবার তাঁর ফেস্টুন সম্বলিত ছবিতে কালি মাখানো হল ৷ কালি মাখিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন বিজেপি সমর্থকেরা । জানা গিয়েছে, কিছুদিন ধরে বাঁকুড়া জেলার দিকে দিকে সাংসদ সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন দলেরই কার্যকর্তারা । বিভিন্ন সময় বিক্ষোভ মিছিল, এমনকী তাঁর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়েছে । কিন্তু কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাঁরই দলের কর্মীদের কেন এই ধরনের আচরণ ?
2013 সালে বিজেপি দলে যোগদান করেন বাঁকুড়ার বাসিন্দা সুভাষ সরকার । তারপর সোজা 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন তিনি । বিজেপির দলীয় কর্মীদের অভিযোগ, সাংসদ হওয়ার পর থেকে সুভাষ সরকারের কোনও পাত্তাই পাওয়া যায় না । আর কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর পদ পাওয়ার পর তো আরও তাঁকে দেখতে পাওয়া যায় না তাঁর সংসদীয় এলাকায় । এমনকী দলীয় কার্যকর্তারা স্বজনপোষণ করে একাধিক লোককে কেন্দ্রীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে থাকা বিভিন্ন দফতরে বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে । শুধু সুভাষ সরকার নয়, বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি কর্মীদের একাংশ।
আরও পড়ুন: বাঁকুড়ায় দলের দফতরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ বহিষ্কৃতদের
এ দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া স্থানীয় বিজেপি নেতা শ্যামসুন্দর মণ্ডল ও অশোক বিদদের দাবি, "একদিকে সুভাষ সরকার নিজের অনুগামীদের দলে জায়গা করে দিচ্ছেন ৷ অন্যদিকে তাঁর কাজে যারা বিরোধীতা করছেন দলের সেই কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে । এমনকী দলের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই তিনি বেশ কিছু চাকরিও পাইয়ে দিয়েছেন । এছাড়াও কোটি কৌটি টাকার বিনিময়ে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূলকে 'উপঢৌকন' হিসেবে সুভাষ সরকার দিতে চাইছেন ৷" তবে এই ঘটনায় ফের একবার প্রকাশ্যে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব ৷ এতে লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই অস্বস্তি বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের ।