বাঁকুড়া, 25 জুন: ওড়িশার বাহানাগায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনা আরও একবার তাজা হয়ে গিয়েছে রবিবার ভোরে ৷ বাঁকুড়াবাসীর ঘুম ভাঙল বড়সড় রেল দুর্ঘটনায় ৷ তবে এবার দুর্ঘটনার কবলে দু'টি মালগাড়ি ৷ সাত সকালে সেই দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রলের শিকার হলেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
রবিবার ভোর 4টে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ৷ জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার ওন্দা স্টেশনে বিষ্ণুপুরের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়েছিল ৷ অন্যদিক থেকে আসা আরেকটি মালগাড়ি ভুল করে ঢুকে পরে লুপ লাইনে ৷ মালগাড়িটিকে ধাক্কা মারে আরেক মালগাড়ি ৷ ধাক্কার জেরে মালগাড়ির ইঞ্জিনের চাকা ট্রেন থেকে আলাদা হয়ে যায়। ইঞ্জিনটি উঠে যায় অন্য মালগাড়ির উপর লাইন থেকে ছিটকে পড়ে বাকি বগিগুলি। দুমড়ে মুচড়ে যায় মালগাড়িটি।
ঘটনার খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছে যান তৃণমূল নেত্রী সায়ন্তিকা ৷ এই পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল ৷ বিপত্তি বাড়ে যখন সেই দুর্ঘটনাস্থলের বিভিন্ন ছবি সায়ন্তিকা পোস্ট করেন সোশাল মিডিয়ায় ৷ পোস্টে লেখেন, "দুর্ভাগ্যজনক ট্রেন দুর্ঘটনা আজ বাঁকুড়ার ওন্দায় সকাল 4টা নাগাদ ঘটে ৷ ভাগ্যক্রমে দু'টিই মালবাহী ট্রেন ছিল তাই কোনও প্রাণহানি হয়নি। অবিলম্বে কাজ করার জন্য ভারতীয় রেল মন্ত্রককে অনুরোধ করবে৷" এরপর তিনি ট্যাগ করেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে ৷
- " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">
তারপরেই তাঁর দিকে ধেয়ে আসে একের পর এক তীর্যক মন্তব্য ৷ সায়ন্তিকার পোস্টের নীচে জনৈক নেটিজেন মন্তব্য করেন, "আপনার কোনও অভিজ্ঞতা আছে রেল সম্বন্ধে?" কেউ আবার লেখেন, "উনি বেশ সাদা ড্রেস, চোখে চশমা পড়ে ফটো সেশনে গেছেন ৷" অন্য এক নেটিজেন লিখেছেন, "বাংলার এক মহানায়িকা রেলমন্ত্রীকে শিখিয়েছেন বা উপদেশ দিয়েছেন , কি করে রেল চালাতে হয় তথা দুর্ঘটনা ঘটলে কি করা উচিৎ, ধন্যবাদ মহানায়িকা মহান উপদেশ দেওয়ার জন্য ৷" আবার কেউ লিখেছেন, "কে করালো এরকম কিছু জানেন? রোদচশমা দিয়ে যদি দেখতে পান জানাবেন ৷" কেউ আবার বলেছেন, "তুমি ফটোশুট করতে গিয়েছিলে দিদি? আগে বলতে পারতে আমি স্টুডিও বানিয়ে দিতাম ৷"
আরও পড়ুন: করমণ্ডলের স্মৃতি উস্কে ফের ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা বাঁকুড়ায়
শুধু সায়ন্তিকাই নয়, দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছেন বিষ্ণুপুর লোকসভার সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-ও। তিনি আদ্রা ডিভিশনের ম্যনেজারের সঙ্গে কথাও বলেন। এদিনের দুর্ঘটনায় দুটি মালগাড়ি ১৩ টি বগি লাইনচ্যুত হয়। যুদ্ধ কালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করেছে রেল দফতর ৷