ETV Bharat / state

মাছের ডিম পোনা ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতি বাঁকুড়ায় - ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন বাঁকুড়ার অর্থনীতি

লকডাউনে ডিম পোনা সরবরাহ বন্ধের জন্য ক্ষতির মুখে বাঁকুড়া জেলার ব্যবসায়ীরা । 100 কোটি টাকার ক্ষতি এবছরে রামসাগরের ব্যবসায়ীরা ।

Bankura fish traders face losses in lockdown
ডিম পোনা ব্যবসায়ীরা
author img

By

Published : Jun 2, 2020, 8:35 AM IST

বাঁকুড়া, 2 জুন : নভেল কোরোনা থাবা বসিয়েছে দেশের অর্থনীতিতে । সেই থাবায় জখম হয়েছে বাঁকুড়া জেলার ব্যবসাও । দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার জেরে প্রায় 100 কোটি টাকার ক্ষতির মুখে বাঁকুড়ার রামসাগরের মাছের ডিম পোনা ব্যবসায়ীরা । প্রায় 50 বছর ধরে বাঁকুড়া জেলার ওন্দা থানার রামসাগরে চলছে মাছের ডিম পোনা তৈরির কারবার । বর্তমানে এই কারবারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন প্রায় 150 জন হ্যাচারি মালিক । এছাড়াও অপ্রত্যক্ষভাবে এই ব্যবসায় যাঁদের রুটি-রুজি চলে তাদের সংখ্যাটাও 8 থেকে 10 হাজার । দীর্ঘ লকডাউনের জেরে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন রামসাগরের এই সমস্ত ডিম পোনা ব্যবসায়ীরা ।

অতীতে চিরাচরিত পদ্ধতিতেই এখানে মাদার ফিশ থেকে ডিম বের করে ডিম পোনা তৈরি করা হতো । বর্তমানে প্রযুক্তির পরিবর্তন এসেছে । বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে জেলার অধিকাংশ হ্যাচারি তৈরি হয়েছে । মাদার ফিশ থেকে এখানে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছের ডিম ছোট ছোট চৌবাচ্চার মধ্যে ছাড়া হয় । সর্বপ্রথম পেরেন্ট ফিশের জন্য পুকুর প্রস্তুত করা হয় । এরপর ব্রিডিং পোলে প্রজনন করানো হয় । সেখান থেকে ডিম সংগ্রহ করা হয় । এবার সেগুলো থেকে হ্যাচিং করে চারা পোনা বা ডিম পোনা উৎপাদন করা হয় । এই পুরো পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ করতে সময় লাগে 72 ঘণ্টা । সেই জলে অতিরিক্ত অক্সিজেন দিয়ে সেই ডিম থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা বা চলতি ভাষায় চারা তৈরি করা হয় ।

এই ডিম পোনা এখান থেকে কোথায় কোথায় রপ্তানি করা হয়?

ডিম ফুটে পোনা বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রপ্তানি হয় । মূলত দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা, ওড়িশায় পাঠানো হয় রেল যোগে । এ ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ এমনকী রাজস্থানে রপ্তানি করা হয় সড়ক পথে । ডিম পোনাকে বড়ো পুকুর বা জলাশয়ে দেওয়া হয় তারপর তা চাষ করেন দেশের অন্যান্য রাজ্যের চাষিরা । চাষ করার পর সেই সমস্ত মাছের অধিকাংশই আবার ফিরে আসে বাংলার বিভিন্ন বাজারে । শুধুমাত্র বাঁকুড়া রামসাগর থেকে প্রতিবছর 150 থেকে 200 কোটি টাকার ডিম পোনা রপ্তানি করা হয়ে থাকে ।

রুই, মৃগেল, কাতলা, সিলভার কার্প, মাগুর, জাপানি পুঁটি ইত্যাদি বিভিন্ন প্রজাতির মাছের ডিম পোনা তৈরি হয় । মাদার ফিশ থেকে ডিম পোনা উৎপাদন মূলত মার্চ-এপ্রিল এই দুই মাসেই করা হয়ে থাকে । কোরোনা সতর্কতায় লকডাউন জারি হওয়ায় ডিম পোনা তৈরির ব্যবসায় যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে । রাজ্যে রাজ্যে ডিম পোনা রপ্তানিতে যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে । তবে ইদানিং রেল যোগাযোগ পুনরায় শুরু হওয়ার ফলে সম্পূর্ণভাবে উৎপাদন এবং রপ্তানি বন্ধ হয়নি । এবছর মোট উৎপাদন এবং রপ্তানি 50 শতাংশ সম্ভব হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা । 50 শতাংশ আর্থিক মন্দা হতে পারে ।

বাঁকুড়া, 2 জুন : নভেল কোরোনা থাবা বসিয়েছে দেশের অর্থনীতিতে । সেই থাবায় জখম হয়েছে বাঁকুড়া জেলার ব্যবসাও । দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার জেরে প্রায় 100 কোটি টাকার ক্ষতির মুখে বাঁকুড়ার রামসাগরের মাছের ডিম পোনা ব্যবসায়ীরা । প্রায় 50 বছর ধরে বাঁকুড়া জেলার ওন্দা থানার রামসাগরে চলছে মাছের ডিম পোনা তৈরির কারবার । বর্তমানে এই কারবারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন প্রায় 150 জন হ্যাচারি মালিক । এছাড়াও অপ্রত্যক্ষভাবে এই ব্যবসায় যাঁদের রুটি-রুজি চলে তাদের সংখ্যাটাও 8 থেকে 10 হাজার । দীর্ঘ লকডাউনের জেরে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন রামসাগরের এই সমস্ত ডিম পোনা ব্যবসায়ীরা ।

অতীতে চিরাচরিত পদ্ধতিতেই এখানে মাদার ফিশ থেকে ডিম বের করে ডিম পোনা তৈরি করা হতো । বর্তমানে প্রযুক্তির পরিবর্তন এসেছে । বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে জেলার অধিকাংশ হ্যাচারি তৈরি হয়েছে । মাদার ফিশ থেকে এখানে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছের ডিম ছোট ছোট চৌবাচ্চার মধ্যে ছাড়া হয় । সর্বপ্রথম পেরেন্ট ফিশের জন্য পুকুর প্রস্তুত করা হয় । এরপর ব্রিডিং পোলে প্রজনন করানো হয় । সেখান থেকে ডিম সংগ্রহ করা হয় । এবার সেগুলো থেকে হ্যাচিং করে চারা পোনা বা ডিম পোনা উৎপাদন করা হয় । এই পুরো পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ করতে সময় লাগে 72 ঘণ্টা । সেই জলে অতিরিক্ত অক্সিজেন দিয়ে সেই ডিম থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা বা চলতি ভাষায় চারা তৈরি করা হয় ।

এই ডিম পোনা এখান থেকে কোথায় কোথায় রপ্তানি করা হয়?

ডিম ফুটে পোনা বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রপ্তানি হয় । মূলত দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা, ওড়িশায় পাঠানো হয় রেল যোগে । এ ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ এমনকী রাজস্থানে রপ্তানি করা হয় সড়ক পথে । ডিম পোনাকে বড়ো পুকুর বা জলাশয়ে দেওয়া হয় তারপর তা চাষ করেন দেশের অন্যান্য রাজ্যের চাষিরা । চাষ করার পর সেই সমস্ত মাছের অধিকাংশই আবার ফিরে আসে বাংলার বিভিন্ন বাজারে । শুধুমাত্র বাঁকুড়া রামসাগর থেকে প্রতিবছর 150 থেকে 200 কোটি টাকার ডিম পোনা রপ্তানি করা হয়ে থাকে ।

রুই, মৃগেল, কাতলা, সিলভার কার্প, মাগুর, জাপানি পুঁটি ইত্যাদি বিভিন্ন প্রজাতির মাছের ডিম পোনা তৈরি হয় । মাদার ফিশ থেকে ডিম পোনা উৎপাদন মূলত মার্চ-এপ্রিল এই দুই মাসেই করা হয়ে থাকে । কোরোনা সতর্কতায় লকডাউন জারি হওয়ায় ডিম পোনা তৈরির ব্যবসায় যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে । রাজ্যে রাজ্যে ডিম পোনা রপ্তানিতে যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে । তবে ইদানিং রেল যোগাযোগ পুনরায় শুরু হওয়ার ফলে সম্পূর্ণভাবে উৎপাদন এবং রপ্তানি বন্ধ হয়নি । এবছর মোট উৎপাদন এবং রপ্তানি 50 শতাংশ সম্ভব হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা । 50 শতাংশ আর্থিক মন্দা হতে পারে ।

For All Latest Updates

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.