ETV Bharat / state

রসগোল্লা থেকে চমচম, লকডাউনে মিষ্টির হোম ডেলিভারি - corona virus news

রসগোল্লা,চমচম,গোলাপজাম নানারকম মিষ্টি নিয়ে আলিপুরদুয়ার শহরের বাড়ি বাড়ি হাজির হচ্ছেন কেশব ও রাজু নামে দুই যুবক ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Apr 4, 2020, 7:12 PM IST

আলিপুরদুয়ার, 4 এপ্রিল : লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে কোনওরকমে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী মজুত করেই দিন কাটছে মানুষজনের । কিন্তু খাদ্যরসিক বাঙালির কাছে এই লকডাউন আরও সমস্যার । একে কোরোনা আতঙ্ক । তারউপর অযথা বাইরে যাওয়া নিষেধ । না চায়ের দোকানে আড্ডা, না পাড়ার মোড়ে তাসের আড্ডা । আপাতত বন্ধ সমস্ত কিছু । এখন অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কয়েক ঘণ্টার জন্য মিষ্টি দোকান খোলা শুরু হয়েছে । কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না কেউ । এবার খানিকটা হলেও আলিপুরদুয়ারবাসীর মিষ্টির সাধ মেটাল এলাকার দুই যুবক । ছানার তৈরি হরেক মিষ্টির পসরা নিয়ে বাড়ির দরজায় হাজির হচ্ছেন তাঁরা । এই লকডাউনে বিকল্প কর্মসংস্থানও হয়েছে তাঁদের ।

রসগোল্লা, চমচম, গোলাপজাম, ল্যাংচা, রসমালাই, ক্ষীরদই, কাঁচাগোল্লা, জিলিপি সহ আরও নানারকম মিষ্টির পসরা সাজিয়ে আলিপুরদুয়ার শহরের বাড়ি বাড়ি হাজির হচ্ছেন কেশব ও রাজু । শহর সংলগ্ন 1 নম্বর ব্লকের ঘাগরায় বাড়ি রাজু ঘোষের । কেশব ঘোষের বাড়ি বাইরিগুড়িতে । লকডাউনের মাঝেই জমে উঠেছে দুই বন্ধুর এই নতুন ব্যবসা ।

এবিষয়ে রাজু ঘোষ বলেন, "লকডাউনের আগে রাতে বউবাজারে পনির বিক্রি করে সংসার চালাতাম। লকডাউনের পর থেকে বাজারে লোকজন আসে না। বড় বিপাকে পড়েছিলাম। পরিবারে আগে মিষ্টি তৈরির কাজ হত । তাই মিষ্টি বানাতে জানি। বন্ধু কেশবকে সেই কথা জানালাম। ও রাজি হয়ে গেল। তারপর দু'জনে মিলে শুরু করলাম মিষ্টির হোম ডেলিভারির ব্যাবসা।"

image
রাজু ও কেশবের হোম ডেলিভারিতে আছে হরেক রকমের মিষ্টি

রাজু আরও জানান, তাঁদের বাড়ির পাশে মিষ্টির দোকানে কাজ করতেন দুজন কারিগর । লকডাউনের জেরে দোকান বন্ধ হওয়ায় আপাতত কর্মহীন তাঁরাও । এবার তাঁদেরকে সঙ্গে নিয়েই মিষ্টি তৈরির কাজ শুরু করেছেন । অন্যদিকে কেশব জানান, তাঁর একটি টোটো ছিল । লকডাউনে সব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েন তিনি । তারপরই বন্ধুর সঙ্গে ব্যবসা শুরু করলেন ।

প্রতিদিন মিষ্টি বানানোর জন্য গড়ে 200-250 কেজি দুধ এবং 30-35 কেজি ছানা লাগছে তাঁদের । এই দুজনকে দুধ ও ছানা সরবরাহ করছে এলাকার দুধ ব্যবসায়ীরা। দুধ 40 টাকা এবং ছানা 200 টাকা প্রতি কেজি দরে কিনছেন রাজু ও কেশব।

রাজু ও কেশবের হোম ডেলিভারিতে খুশি এলাকাবাসী । তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলিপুরদুয়ার মহাবিদ্যালয়ের অশিক্ষক কর্মী সুদীপ রায় জানান, আজ দুই যুবকের থেকে প্রায় 500 টাকার মিষ্টি নিয়েছি। দারুণ স্বাদ ।

প্রতিদিন গড়ে 5000-6000 টাকার মিষ্টি বিক্রি করছে তাঁরা । এবিষয়ে রাজু বলেন, "লাভের হিসেব এখনও করিনি। তবে সংসার চলছে।"

আলিপুরদুয়ার, 4 এপ্রিল : লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে কোনওরকমে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী মজুত করেই দিন কাটছে মানুষজনের । কিন্তু খাদ্যরসিক বাঙালির কাছে এই লকডাউন আরও সমস্যার । একে কোরোনা আতঙ্ক । তারউপর অযথা বাইরে যাওয়া নিষেধ । না চায়ের দোকানে আড্ডা, না পাড়ার মোড়ে তাসের আড্ডা । আপাতত বন্ধ সমস্ত কিছু । এখন অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কয়েক ঘণ্টার জন্য মিষ্টি দোকান খোলা শুরু হয়েছে । কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না কেউ । এবার খানিকটা হলেও আলিপুরদুয়ারবাসীর মিষ্টির সাধ মেটাল এলাকার দুই যুবক । ছানার তৈরি হরেক মিষ্টির পসরা নিয়ে বাড়ির দরজায় হাজির হচ্ছেন তাঁরা । এই লকডাউনে বিকল্প কর্মসংস্থানও হয়েছে তাঁদের ।

রসগোল্লা, চমচম, গোলাপজাম, ল্যাংচা, রসমালাই, ক্ষীরদই, কাঁচাগোল্লা, জিলিপি সহ আরও নানারকম মিষ্টির পসরা সাজিয়ে আলিপুরদুয়ার শহরের বাড়ি বাড়ি হাজির হচ্ছেন কেশব ও রাজু । শহর সংলগ্ন 1 নম্বর ব্লকের ঘাগরায় বাড়ি রাজু ঘোষের । কেশব ঘোষের বাড়ি বাইরিগুড়িতে । লকডাউনের মাঝেই জমে উঠেছে দুই বন্ধুর এই নতুন ব্যবসা ।

এবিষয়ে রাজু ঘোষ বলেন, "লকডাউনের আগে রাতে বউবাজারে পনির বিক্রি করে সংসার চালাতাম। লকডাউনের পর থেকে বাজারে লোকজন আসে না। বড় বিপাকে পড়েছিলাম। পরিবারে আগে মিষ্টি তৈরির কাজ হত । তাই মিষ্টি বানাতে জানি। বন্ধু কেশবকে সেই কথা জানালাম। ও রাজি হয়ে গেল। তারপর দু'জনে মিলে শুরু করলাম মিষ্টির হোম ডেলিভারির ব্যাবসা।"

image
রাজু ও কেশবের হোম ডেলিভারিতে আছে হরেক রকমের মিষ্টি

রাজু আরও জানান, তাঁদের বাড়ির পাশে মিষ্টির দোকানে কাজ করতেন দুজন কারিগর । লকডাউনের জেরে দোকান বন্ধ হওয়ায় আপাতত কর্মহীন তাঁরাও । এবার তাঁদেরকে সঙ্গে নিয়েই মিষ্টি তৈরির কাজ শুরু করেছেন । অন্যদিকে কেশব জানান, তাঁর একটি টোটো ছিল । লকডাউনে সব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েন তিনি । তারপরই বন্ধুর সঙ্গে ব্যবসা শুরু করলেন ।

প্রতিদিন মিষ্টি বানানোর জন্য গড়ে 200-250 কেজি দুধ এবং 30-35 কেজি ছানা লাগছে তাঁদের । এই দুজনকে দুধ ও ছানা সরবরাহ করছে এলাকার দুধ ব্যবসায়ীরা। দুধ 40 টাকা এবং ছানা 200 টাকা প্রতি কেজি দরে কিনছেন রাজু ও কেশব।

রাজু ও কেশবের হোম ডেলিভারিতে খুশি এলাকাবাসী । তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলিপুরদুয়ার মহাবিদ্যালয়ের অশিক্ষক কর্মী সুদীপ রায় জানান, আজ দুই যুবকের থেকে প্রায় 500 টাকার মিষ্টি নিয়েছি। দারুণ স্বাদ ।

প্রতিদিন গড়ে 5000-6000 টাকার মিষ্টি বিক্রি করছে তাঁরা । এবিষয়ে রাজু বলেন, "লাভের হিসেব এখনও করিনি। তবে সংসার চলছে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.