ETV Bharat / state

Alipurduar Airport: আলিপুরদুয়ারে উত্তরবঙ্গের তৃতীয় বিমানবন্দর গড়তে উদ্যোগী কেন্দ্র, জমিজটে রাজ্য সরকার - north bengals third airport

আলিপুরদুয়ারের হাসিমারায় উত্তরবঙ্গের তৃতীয় বিমানবন্দর গড়তে চায় কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এ জন্য প্রয়োজন 37.75 একর জমি ৷ তবে জমিজটে পড়েছে রাজ্য সরকার ৷

Alipurduar Airport
Alipurduar Airport
author img

By

Published : May 30, 2023, 8:08 PM IST

আলিপুরদুয়ার/জলপাইগুড়ি: আলিপুরদুয়ারে উত্তরবঙ্গের তৃতীয় বিমানবন্দর করার জন্য উদ্যোগী কেন্দ্রীয় সরকার । হাসিমারা বিমানবন্দরের জন্য কেন্দ্র 37.75 একর জমি চেয়েছে । তবে জমিজটে সমস্যায় রয়েছে রাজ্য সরকার ।

হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনির পাশেই সাতালি চা বাগান । হাসিমারা বায়ুসেনাঘাঁটি আর সাতালি চা বাগানের একটা অংশ নিয়েই বিমানবন্দর গড়ার প্রস্তাব রয়েছে । সঠিক ক্ষতিপূরণ পেলে জমি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে চা বাগান মালিকপক্ষের সংগঠনের তরফে । ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও জমি দেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন । গত বছর 30 জুন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলাকেও লিখিতভাবে জানান যে, তাঁরা বিমানবন্দর করতে চান । কেন্দ্র সরকারের চিঠির পরেই আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী জন বারলা মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠি দেন ।

গত বছর মুখ্যমন্ত্রী আলিপুরদুয়ার সফরে গিয়ে বিমানবন্দরের কথা ঘোষণা করলেও এখনও কেন্দ্রকে জমি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ । উত্তরবঙ্গের বাগডোগরা বিমানবন্দরের উপর চাপ অনেক বেশি । আলিপুরদুয়ার থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরের দুরত্ব 138 কিলোমিটার । ফলে আলিপুরদুয়ার থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে যেতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে । অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ার থেকে রূপসি বিমানবন্দর 83 কিলোমিটার দূরে । আলিপুরদুয়ার থেকে কোচবিহার এয়ারপোর্ট 117 কিলোমিটার দূরে । আলিপুরদুয়ার থেকে রূপসি বিমানবন্দর যেতে প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা লাগে ।

ফলে হাসিমারাতে বিমানবন্দর হলে আলিপুরদুয়ার-সহ ভুটান ও বিন্নাগুড়ি সেনাছাউনি এবং হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনিরও অনেক সুবিধা হবে । সাতালি চা বাগানের থেকে জমি নিয়ে রাজ্য বিমানবন্দর গড়ার জন্য কেন্দ্রকে জমি দেবে বলে জানা গিয়েছে । এ দিকে, সঠিক ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়েছে । সঠিক ক্ষতিপূরণের দাবিতে আইনের দ্বারস্থ হয়েছে চা বাগান মালিকপক্ষের সংগঠন ।

আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বারলা জানান, "আমাদের সরকার আলিপুরদুয়ারের হাসিমারাতে এয়ারপোর্ট করার জন্য উদ্যোগী হয়েছে । গত বছর 26/6/2022 তারিখে কেন্দ্রীয় সিভিল অ্যাভিয়েশন মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলাম আলিপুরদুয়ারে এয়ারপোর্ট গড়ার জন্য । এয়ারফোর্সের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁদের কোনও সমস্যা নেই । তা শুনে নিয়ে এই এয়ারপোর্ট করার দাবি জানিয়েছিলাম । কারণ এই এলাকাটি ভারত-ভুটান সীমান্তে, 170 টি চা বাগান রয়েছে । জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান-সহ উত্তর-পুর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত । আলিপুরদুয়ার থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দর 138 কিলোমিটার দূরে । এয়ারপোর্টের জন্য রাজ্য সরকার জমি দিচ্ছে না । জমি না পেলে কীভাবে এয়ারপোর্ট হবে ?"

গত বছর 30 জুন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিমানবন্দর করার ইচ্ছা প্রকাশ করে তাঁকে চিঠি দিয়েছেন বলে জানান জন বারলা । তিনি বলেন, "জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আমাকে এয়ারপোর্ট গড়ার চিঠি দেওয়ার পর আমিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 11/7/2022 তারিখে হাসিমারাতে এয়ারপোর্ট করার জন্য চিঠি দিয়েছি । কিন্তু এখনও কোনও উত্তর পাইনি । মুখ্যমন্ত্রী হাসিমারাতে এসেও বলেছিলেন হাসিমারাতে এয়ারপোর্ট করতে চান । মুখে বললেন, তবে কেন্দ্র সরকারকে এয়ারপোর্ট করার জন্য কোনও জমি এখনও দেননি ৷ ফলে কীভাবে এয়ারপোর্ট করা হবে সেটা রাজ্য সরকারই বলতে পারবে । আমরা চাই এয়ারপোর্ট হোক, জেলার উন্নয়ন হোক । সব জায়গায় রাজনীতি করলে উন্নয়ন কীভাবে হবে !"

বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যাওয়া আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, হাসিমারা বিমানবন্দর উড়ান প্রকল্পের মাধ্যমে হবে শুনেছি কিন্তু কেন্দ্র সরকার কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি । ফলে কী হবে আমরা অন্ধকারে আছি । আমরাও চাই আলিপুরদুয়ার জেলায় এয়ারপোর্ট হোক ।উন্নয়নের সার্থে রাজ্য ও কেন্দ্র একসঙ্গে কোমর বেঁধে কাজ করুক । রাজ্য সরকার জমি দিতেও প্রস্তুত আছে । কিন্তু যেহেতু হাসিমারাতে বায়ুসেনা ছাউনি রয়েছে, তার নিরাপত্তার দিকটাও কেন্দ্রকে পরিস্কার করে বলা উচিত বলে মনে করি । হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনি এই চত্ত্বরের সবচেয়ে বড় বায়ুসেনা ছাউনি । ফলে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত রেখে এয়ারপোর্ট হলে জেলাবাসীর খুবই উপকার হবে ।"

এ দিকে, সাতালি চা বাগানের মালিক সংগঠন ডুয়ার্স ব্রাঞ্চ ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন (DBITA) এর সম্পাদক সঞ্জয় বাগচি বলেন, হাসিমারাতে বিমানবন্দর গড়ার জন্য জমির প্রয়োজন । সাতালি চা বাগানের কিছুটা অংশ জমি সরকার নেবে । কিন্তু তা নিয়ে তাঁরা আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানান তিনি । যথাযথ ক্ষতিপূরণ পেলে তাঁরা জমি দিতে রাজি আছেন বলে জানান তিনি ।

সাতালি চা বাগানের ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি । তিনি এ বিষয়ে জানার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন ।

আরও পড়ুন: মাঝ আকাশেই উইন্ডশিল্ডে ফাটল, হংকংগামী বিমানের জরুরি অবতরণ দমদম বিমানবন্দরে

আলিপুরদুয়ার/জলপাইগুড়ি: আলিপুরদুয়ারে উত্তরবঙ্গের তৃতীয় বিমানবন্দর করার জন্য উদ্যোগী কেন্দ্রীয় সরকার । হাসিমারা বিমানবন্দরের জন্য কেন্দ্র 37.75 একর জমি চেয়েছে । তবে জমিজটে সমস্যায় রয়েছে রাজ্য সরকার ।

হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনির পাশেই সাতালি চা বাগান । হাসিমারা বায়ুসেনাঘাঁটি আর সাতালি চা বাগানের একটা অংশ নিয়েই বিমানবন্দর গড়ার প্রস্তাব রয়েছে । সঠিক ক্ষতিপূরণ পেলে জমি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে চা বাগান মালিকপক্ষের সংগঠনের তরফে । ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও জমি দেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন । গত বছর 30 জুন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলাকেও লিখিতভাবে জানান যে, তাঁরা বিমানবন্দর করতে চান । কেন্দ্র সরকারের চিঠির পরেই আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী জন বারলা মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠি দেন ।

গত বছর মুখ্যমন্ত্রী আলিপুরদুয়ার সফরে গিয়ে বিমানবন্দরের কথা ঘোষণা করলেও এখনও কেন্দ্রকে জমি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ । উত্তরবঙ্গের বাগডোগরা বিমানবন্দরের উপর চাপ অনেক বেশি । আলিপুরদুয়ার থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরের দুরত্ব 138 কিলোমিটার । ফলে আলিপুরদুয়ার থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে যেতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে । অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ার থেকে রূপসি বিমানবন্দর 83 কিলোমিটার দূরে । আলিপুরদুয়ার থেকে কোচবিহার এয়ারপোর্ট 117 কিলোমিটার দূরে । আলিপুরদুয়ার থেকে রূপসি বিমানবন্দর যেতে প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা লাগে ।

ফলে হাসিমারাতে বিমানবন্দর হলে আলিপুরদুয়ার-সহ ভুটান ও বিন্নাগুড়ি সেনাছাউনি এবং হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনিরও অনেক সুবিধা হবে । সাতালি চা বাগানের থেকে জমি নিয়ে রাজ্য বিমানবন্দর গড়ার জন্য কেন্দ্রকে জমি দেবে বলে জানা গিয়েছে । এ দিকে, সঠিক ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়েছে । সঠিক ক্ষতিপূরণের দাবিতে আইনের দ্বারস্থ হয়েছে চা বাগান মালিকপক্ষের সংগঠন ।

আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বারলা জানান, "আমাদের সরকার আলিপুরদুয়ারের হাসিমারাতে এয়ারপোর্ট করার জন্য উদ্যোগী হয়েছে । গত বছর 26/6/2022 তারিখে কেন্দ্রীয় সিভিল অ্যাভিয়েশন মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলাম আলিপুরদুয়ারে এয়ারপোর্ট গড়ার জন্য । এয়ারফোর্সের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁদের কোনও সমস্যা নেই । তা শুনে নিয়ে এই এয়ারপোর্ট করার দাবি জানিয়েছিলাম । কারণ এই এলাকাটি ভারত-ভুটান সীমান্তে, 170 টি চা বাগান রয়েছে । জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান-সহ উত্তর-পুর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত । আলিপুরদুয়ার থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দর 138 কিলোমিটার দূরে । এয়ারপোর্টের জন্য রাজ্য সরকার জমি দিচ্ছে না । জমি না পেলে কীভাবে এয়ারপোর্ট হবে ?"

গত বছর 30 জুন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিমানবন্দর করার ইচ্ছা প্রকাশ করে তাঁকে চিঠি দিয়েছেন বলে জানান জন বারলা । তিনি বলেন, "জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আমাকে এয়ারপোর্ট গড়ার চিঠি দেওয়ার পর আমিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 11/7/2022 তারিখে হাসিমারাতে এয়ারপোর্ট করার জন্য চিঠি দিয়েছি । কিন্তু এখনও কোনও উত্তর পাইনি । মুখ্যমন্ত্রী হাসিমারাতে এসেও বলেছিলেন হাসিমারাতে এয়ারপোর্ট করতে চান । মুখে বললেন, তবে কেন্দ্র সরকারকে এয়ারপোর্ট করার জন্য কোনও জমি এখনও দেননি ৷ ফলে কীভাবে এয়ারপোর্ট করা হবে সেটা রাজ্য সরকারই বলতে পারবে । আমরা চাই এয়ারপোর্ট হোক, জেলার উন্নয়ন হোক । সব জায়গায় রাজনীতি করলে উন্নয়ন কীভাবে হবে !"

বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যাওয়া আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, হাসিমারা বিমানবন্দর উড়ান প্রকল্পের মাধ্যমে হবে শুনেছি কিন্তু কেন্দ্র সরকার কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি । ফলে কী হবে আমরা অন্ধকারে আছি । আমরাও চাই আলিপুরদুয়ার জেলায় এয়ারপোর্ট হোক ।উন্নয়নের সার্থে রাজ্য ও কেন্দ্র একসঙ্গে কোমর বেঁধে কাজ করুক । রাজ্য সরকার জমি দিতেও প্রস্তুত আছে । কিন্তু যেহেতু হাসিমারাতে বায়ুসেনা ছাউনি রয়েছে, তার নিরাপত্তার দিকটাও কেন্দ্রকে পরিস্কার করে বলা উচিত বলে মনে করি । হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনি এই চত্ত্বরের সবচেয়ে বড় বায়ুসেনা ছাউনি । ফলে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত রেখে এয়ারপোর্ট হলে জেলাবাসীর খুবই উপকার হবে ।"

এ দিকে, সাতালি চা বাগানের মালিক সংগঠন ডুয়ার্স ব্রাঞ্চ ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন (DBITA) এর সম্পাদক সঞ্জয় বাগচি বলেন, হাসিমারাতে বিমানবন্দর গড়ার জন্য জমির প্রয়োজন । সাতালি চা বাগানের কিছুটা অংশ জমি সরকার নেবে । কিন্তু তা নিয়ে তাঁরা আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানান তিনি । যথাযথ ক্ষতিপূরণ পেলে তাঁরা জমি দিতে রাজি আছেন বলে জানান তিনি ।

সাতালি চা বাগানের ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি । তিনি এ বিষয়ে জানার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন ।

আরও পড়ুন: মাঝ আকাশেই উইন্ডশিল্ডে ফাটল, হংকংগামী বিমানের জরুরি অবতরণ দমদম বিমানবন্দরে

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.