জলপাইগুড়ি, 10 এপ্রিল : ভোট আসে ভোট যায় ৷ সরকার বদলায় , কিন্তু বদলায় না পরিস্থিতি ৷ নেই পানীয় জল, নেই স্বাস্থ্য পরিষেবা, নেই রাস্তা, নেই স্কুল । নেই এর তালিকাটা অনেক বড় । কিন্তু ভোটার তালিকাটি সবথেকে ছোট ৷ আলিপুরদুয়ার জেলার পাঁচটি বিধানসভা ৷ বুথ সংখ্য়া 1726 ৷ তারই মধ্যে আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের সবচেয়ে ছোট ভোট গ্রহণ কেন্দ্র হল কুমারগ্রাম বিধানসভার ভুটিয়া বস্তি বিট অফিস । লোকসভা কেন্দ্রে ভুটান পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে মোট ভোটার 72 জন ।
সবচেয়ে ছোট বুথ হলেও, ভুটিয়াবস্তির নিরাপত্তার জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয় জেলা নির্বাচন দফতরকে । আধাসামরিক বাহিনীর পাশাপাশি দিনরাত বুথ পাহারা দিতে হয় বক্সা ব্যাঘ্রপ্রকল্পের বনকর্মীদের । একদিকে পাহাড় অন্যদিকে বক্সা ৷ তার উপর ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের মাঝে এই বুথটি অবস্থিত । বুথের ভোটকর্মীদের দুই ভয়ের বিষয় ৷ একদিকে জঙ্গলের হাতি । অন্যদিকে ঘন জঙ্গল আর নদী । সব মিলিয়ে এই সব চেয়ে ছোট বুথকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোনও রকম খামতি রাখেনি নির্বাচন কমিশনও । কোনভাবেই বুথের ধারে কাছে যাতে হাতি বা অন্য কোনও প্রাণী আসতে না পারে, তার জন্যই বনবিভাগের পক্ষ থেকে সারারাত আগুন জ্বালিয়ে রাখা হয়েছিল । আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানরা,বনবিভাগের কর্মীরা টহল দিয়েছেন । হাতি যাতে বুথের আশেপাশে না আসতে পারে তারজন্য কিন্তু বনকর্মীরা রুটিন টহন দিয়েছেন । বুথের পাশেই গতকালই হাতির পাল ঘোরাঘুরি করেছে, তারা যাতে কোনও সমস্যার সৃষ্টি করতে না পারে, তাই এই নিরাপত্তা সমস্যা ।
আরও পড়ুন : লকেটের গাড়ির কাচ ভাঙল কে ?
তবে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ হয় দুই নদীর মাঝখানে অবস্থিত এই ভুটিয়া বস্তিতে ৷ ভোটার কম হলেও এই কেন্দ্রে ভোটের কাজ পেয়ে বেশ খুশি ভোটকর্মীরা ৷ মনোরম পরিবেশ ৷ একদিকে জয়ন্তী নদী, অন্য়দিকে ফাঁসখাওয়া নদী ৷ দুইয়ের মাঝে এই ভুটিয়া বস্তি । তবে বন্যপ্রাণীর ভয় বন্যকর্মীদের মধ্যে থেকেই যায় ৷ তার উপর আবার রাস্তা নেই । নদীর ওপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয় । কখনও নদীতে জল চলে এলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ।