ETV Bharat / sports

ভিসার মেয়াদও শেষ, স্পেনে আটকে অসহায় টেকমি - টেবিল টেনিস

স্প্যানিশ লিগে অংশগ্রহণ এবং অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য ফেব্রুয়ারিতে স্পেনের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন । আর তখন থেকে সেখানেই আটকে রয়েছেন টেবিল টেনিস খেলোয়াড় টেকমি সরকার ।

Takeme Sarkar
Takeme Sarkar
author img

By

Published : May 18, 2020, 9:07 PM IST

মাদ্রিদ, 18 মে: স্পেনে পা দেওয়ার একমাস পরই পেয়েছেন দুর্ঘটনার খবর । মার্চে দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন ছোটো ভাইকে । বাড়ি ফেরার জন্য মন ছটফট করলেও উপায় নেই । লকডাউনে স্পেনের প্রিয়গো ডি কর্ডোবা নামে এক শহরের অ্যাপার্টমেন্টে বন্দী রয়েছেন বাংলার টেবিল টেনিস খেলোয়াড় টেকমি সরকার । ভাইকে স্মরণ করে কান্না আর শিলিগুড়ির বাড়িতে ফোন করে বাবা-মাকে সান্ত্বনা দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই তাঁর কাছে ।

স্প্যানিশ লিগে অংশগ্রহণ এবং অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য ফেব্রুয়ারিতে স্পেনের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন । কিন্তু এই সিদ্ধান্ত যে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে তা মোটেও বুঝতে পারেননি টেকমি সরকার । স্পেনে যাওয়ার একমাসের মধ্যে ছোটো ভাইকে হারিয়েছেন । কিন্তু কোরোনার দাপটে লকডাউন চলায় প্রিয়গো ডি কর্ডোবার অ্যাপার্টমেন্ট থেকেই বেরোতে পারছেন না টেকমি । সেখানে বাড়ি ফেরা তো দূরের কথা । স্পেন থেকে ফোনে টেকমি বলেছেন, "শিলিগুড়িতে আমার পরিবার অপেক্ষা করছে । সেখানেও বড় বিপর্যয় ঘটে গেছে । 23 মার্চ আমার ছোটো ভাই পথ দুর্ঘটনায় মারা গেছে । আমি বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছি ।বাড়ির জন্য ভীষণ চিন্তা হচ্ছে । খবরটা পাওয়ার পর দিন রাত চোখের জল ফেলছি । এইসময় বাবা-মায়ের পাশে থাকাটা প্রয়োজন ছিল । এখানে একমুহূর্ত থাকা অসম্ভব হয়ে পড়ছে । ভাইকে শেষবারের মতো দেখতেও পেলাম না" ।

টেকমি সরকার
টেকমি সরকার

ফেব্রুয়ারির 25 তারিখ একটি ক্লাব টুর্নামেন্টের জন্য স্পেনে যান টেকমি । তখন থেকেই লকডাউনে আটকে রয়েছেন তিনি । টেকমির কথায়, "স্পেনের প্রিয়গো ডি কর্ডোবায় আটকে রয়েছি । এখানে পেশাদার ট্রেনারদের থেকে ব্যক্তিগত ট্রেনিং নিতে এসেছিলাম । তা ছাড়া ক্লাব টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ারও কথা ছিল । আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে কয়েকটি ম্যাচ খেলে অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় করেছি । কিন্তু প্যানডেমিকের কারণে টুর্নামেন্ট বন্ধ হয়ে গেছে আর আমিও বাড়ি ফিরতে পারিনি ।"

তিনি বলেন, যে ক্লাবের হয়ে খেলতে গিয়েছিলেন তারাই তাঁর দেখাশোনা করছে । টিকিট কেটেও ঠিক সময়ে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে না পারায় দুটো ফ্লাইট হাতছাড়া হয়েছে । 10 মে পর্যন্ত ভিসার মেয়াদ ছিল । সেই মেয়াদও শেষ হয়েছে । দীর্ঘদিন ধরে স্পেনে বন্দী থাকায় হাতে থাকা অর্থও ফুরিয়ে আসছে । ফলে এইমুহূর্তে সবদিক থেকেই দিশেহারা শিলিগুড়ির মেয়েটি । এই অবস্থায় ভারতীয় দূতাবাসে যোগাযোগ করে সাহায্যের অনুরোধ জানিয়েছেন টেকমি । তাঁকে সাহায্যের জন্য আশ্বস্তও করা হয়েছে ।

মাদ্রিদ, 18 মে: স্পেনে পা দেওয়ার একমাস পরই পেয়েছেন দুর্ঘটনার খবর । মার্চে দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন ছোটো ভাইকে । বাড়ি ফেরার জন্য মন ছটফট করলেও উপায় নেই । লকডাউনে স্পেনের প্রিয়গো ডি কর্ডোবা নামে এক শহরের অ্যাপার্টমেন্টে বন্দী রয়েছেন বাংলার টেবিল টেনিস খেলোয়াড় টেকমি সরকার । ভাইকে স্মরণ করে কান্না আর শিলিগুড়ির বাড়িতে ফোন করে বাবা-মাকে সান্ত্বনা দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই তাঁর কাছে ।

স্প্যানিশ লিগে অংশগ্রহণ এবং অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য ফেব্রুয়ারিতে স্পেনের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন । কিন্তু এই সিদ্ধান্ত যে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে তা মোটেও বুঝতে পারেননি টেকমি সরকার । স্পেনে যাওয়ার একমাসের মধ্যে ছোটো ভাইকে হারিয়েছেন । কিন্তু কোরোনার দাপটে লকডাউন চলায় প্রিয়গো ডি কর্ডোবার অ্যাপার্টমেন্ট থেকেই বেরোতে পারছেন না টেকমি । সেখানে বাড়ি ফেরা তো দূরের কথা । স্পেন থেকে ফোনে টেকমি বলেছেন, "শিলিগুড়িতে আমার পরিবার অপেক্ষা করছে । সেখানেও বড় বিপর্যয় ঘটে গেছে । 23 মার্চ আমার ছোটো ভাই পথ দুর্ঘটনায় মারা গেছে । আমি বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছি ।বাড়ির জন্য ভীষণ চিন্তা হচ্ছে । খবরটা পাওয়ার পর দিন রাত চোখের জল ফেলছি । এইসময় বাবা-মায়ের পাশে থাকাটা প্রয়োজন ছিল । এখানে একমুহূর্ত থাকা অসম্ভব হয়ে পড়ছে । ভাইকে শেষবারের মতো দেখতেও পেলাম না" ।

টেকমি সরকার
টেকমি সরকার

ফেব্রুয়ারির 25 তারিখ একটি ক্লাব টুর্নামেন্টের জন্য স্পেনে যান টেকমি । তখন থেকেই লকডাউনে আটকে রয়েছেন তিনি । টেকমির কথায়, "স্পেনের প্রিয়গো ডি কর্ডোবায় আটকে রয়েছি । এখানে পেশাদার ট্রেনারদের থেকে ব্যক্তিগত ট্রেনিং নিতে এসেছিলাম । তা ছাড়া ক্লাব টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ারও কথা ছিল । আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে কয়েকটি ম্যাচ খেলে অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় করেছি । কিন্তু প্যানডেমিকের কারণে টুর্নামেন্ট বন্ধ হয়ে গেছে আর আমিও বাড়ি ফিরতে পারিনি ।"

তিনি বলেন, যে ক্লাবের হয়ে খেলতে গিয়েছিলেন তারাই তাঁর দেখাশোনা করছে । টিকিট কেটেও ঠিক সময়ে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে না পারায় দুটো ফ্লাইট হাতছাড়া হয়েছে । 10 মে পর্যন্ত ভিসার মেয়াদ ছিল । সেই মেয়াদও শেষ হয়েছে । দীর্ঘদিন ধরে স্পেনে বন্দী থাকায় হাতে থাকা অর্থও ফুরিয়ে আসছে । ফলে এইমুহূর্তে সবদিক থেকেই দিশেহারা শিলিগুড়ির মেয়েটি । এই অবস্থায় ভারতীয় দূতাবাসে যোগাযোগ করে সাহায্যের অনুরোধ জানিয়েছেন টেকমি । তাঁকে সাহায্যের জন্য আশ্বস্তও করা হয়েছে ।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.