নয়াদিল্লি, 2 জুন : সাগর ধনকড় খুনের মামলায় অভিযুক্ত কুস্তিগীর সুশীল কুমারকে 14 দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠাল দিল্লির রোহিণী আদালত ৷ আজ আদালতের কাছে সুশীলকে আরও তিনদিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল দিল্লি পুলিশ ৷ যদিও সেই আর্জি খারিজ করে অলিম্পিকস পদকজয়ী কুস্তিগীরকে 14 দিনের জুডিশিয়াল কাস্টডিতে পাঠিয়েছে কোর্ট ৷
তদন্তে সহযোগিতা করছেন না সুশীল ৷ আদালতে এমনই জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ ৷ দিল্লি পুলিশের তরফে আইনজীবী অতুল শ্রীবাস্তব বলেন, "ভিডিয়োতে সুশীলের ভূমিকা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে ৷ কিন্তু উনি স্বীকার করছেন না ৷ তদন্তের জন্য যখন হরিদ্বারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেখানেও সহযোগিতা করেননি ৷" পাল্টা সুশীলের আইনজীবী প্রদীপ রানা বলেন, "তদন্তের শুরু থেকে পুলিশ অসাধারণ পরিস্থিতি তৈরি করেছে ৷ সুশীল কুমার কোনও কুখ্যাত অপরাধী নয় ৷ উনি পরিস্থিতির শিকার ৷ সুশীল একবার নয় দু'বার দেশের মান বাড়িয়েছেন ৷ তা সত্ত্বেও দিল্লি পুলিশ ওনার ব্য়ক্তি স্বাধীনতার দিকে নজর দেননি ৷" তিনি আরও বলেন, গত দশদিনে দিল্লি পুলিশ একটি ডান্ডা খুঁজে বের করতে পারেনি ৷ 11 জন অভিযুক্তের মধ্যে 9 জন গ্রেফতার হয়েছেন ৷ তার মধ্যে বেশ কয়েকজনকে বিচারবিভাগীয় হেফজতে পাঠানো হয়েছে ৷ তারপরই সুশীলকে 14 দিনের বিচারবিভাগীয় হেফজতে পাঠানো হয় ৷
আরও পড়ুন : প্রতিপক্ষের চোখে ঘুষি, কোচেদের সঙ্গে বিবাদ ; সুশীলের বিতর্কিত অধ্যায়
5 মে রাতে, 23 বছরের কুস্তিগীর সাগর রানা ও তাঁর বন্ধুদের বেধড়ক মারধর করেন অন্য কুস্তিগীররা ৷ পুলিশের তরফে জানানো হয়, ওই ঘটনায় যুক্ত রয়েছে অলিম্পিকসে দুই বারের পদকজয়ী সুশীল কুমার । আরও কয়েকজন কুস্তিগীরও ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল । এদিকে সাগর রানার মৃত্যুর পর থেকে ফেরার ছিলেন সুশীল ৷ তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মাললা রুজু করে দিল্লি পুলিশ ৷ ছত্রসাল স্টেডিয়ামে ঝামেলার ঘটনা ও সাগর রানার মৃত্যুর ঘটনায় সুশীল ও আরও 6 জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করে আদালত ৷ তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েও সুশীলকে ধরতে পারেনি পুলিশ ৷ পুলিশের অনুমান ছিল, গ্রেফতারি এড়ানোর জন্য প্রথমে হরিদ্বার ও পরে ঋষিকেশে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারেন সুশীল ৷ এরপর 23 মে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেলের একটি টিম রাজধানীর মুণ্ডকা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে সুশীলকে ৷ সুশীলের সঙ্গে অজয় কুমার নামে তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকেও গ্রেফতার করা হয় ।