কলকাতা, 10 জানুয়ারি: ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চান ক্লিফোর্ড মিরান্ডা। তাঁর হাত ধরেই ব্যর্থতা কাটিয়ে আবার জয়ের মুখ দেখল মোহনবাগান। আইএসএলে শেষ তিন ম্যাচে হারের পর ভেঙে পড়েছিলেন সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। রাতারাতি কোচ বদল করে সুপার কাপে মাঠে নামে মোহনবাগান। প্রথম ম্যাচে ক্লিফোর্ড মিরান্ডার তত্ত্বাবধানে শ্রীনিধি ডেকানের বিরুদ্ধে জয় তুলে নিয়েছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এদিকে আন্তেনিও লোপেজ হাবাসের ভিসা পেতে বৃহস্পতিবার হয়ে যেতে পারে। তারপরই তিনি ভারতে আসার বিমান ধরবেন।
সব ঠিক থাকলে রবিবার ডাগ আউটে থাকতে পারেন স্প্যানিশ হেডস্যর। নচেৎ ডার্বিতে বসবেন। এই অবস্থায় দল পরিচালনায় ক্লিফোর্ড মিরান্ডা। তবে হাবাসের পরামর্শে দলের অনুশীলন পরিচালনা করলেও ডাগ আউটে বসে জয়ের রাস্তা খুঁজে বের করার কাজটা ক্লিফোর্ড মিরান্ডাকেই করতে হচ্ছে। গত মরশুমে তাঁর কোচিংয়ে সুপার কাপ জিতেছিল ওড়িশা এফসি। স্বাভাবিভাবেই মাঝের কঠিন সময়ে তাঁর ওপর আস্থা রেখেছে সুপার জায়ান্ট ম্যানেজমেন্ট।
স্টপ গ্যাপ বাগান কোচ বড় নামের ওপর আস্থা রাখার বদলে রিজার্ভ বেঞ্চের ওপর আস্থা রেখেছিলেন। তাদের ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন। রাজ বাশফোর বা অভিষেক সূর্যবংশীরা যেভাবে লড়াই করলেন তাতে খুশি। দলের সাত ফুটবলার জাতীয় শিবিরে। চোট আঘাত সমস্যা রয়েছে। এই অবস্থায় বিদেশি ফুটবলার এবং ভারতীয় ব্রিগেডকে সাফল্যের খোঁজে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। সেটা যে অমূলক নয় তা শ্রীনিধি ডেকানের বিরুদ্ধে দেখা গিয়েছে। হুগো বুমোস পুরনো ছন্দে। স্কোরিং বুট ফিরে পেয়েছেন কামিংস এবং সাদিকু।
সবচেয়ে বড় কথা ব্যর্থতা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর তাগিদ দেখা গিয়েছে সাজঘরে। দলের এই বদলে যাওয়া মানসিকতার প্রশংসায় ক্লিফোর্ড মিরান্ডা। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখাই এখন পুরো দলের মূল লক্ষ্য। শ্রীনিধি ডেকানকে হারিয়ে খুশি হলেও আত্মতুষ্ট নন কেউ। উচ্ছ্বসিত হওয়ার জায়গা নেই সাজঘরে। তা সাজঘরে ঢুকতে দিতে নারাজ বাগানের স্টপ গ্যাপ হেড কোচ। সামনে হায়দরাবাদ এবং ইস্টবেঙ্গল। দু'টো দলকে হারাতে পারলে তবেই গ্রুপ শীর্ষে থাকবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।
তবে মিরান্ডা ধাপে ধাপে একটি করে ম্যাচ ধরে লক্ষ্য স্থির করতে চাইছেন। চোট-আঘাত সমস্যার মধ্যেই আবার লাল কার্ড দেখে ছিটকে গিয়েছেন অভিষেক সূর্যবংশী। ফলে তাঁর জায়গায় নতুন ফুটবলারকে নিতে হবে। পরিস্থিতি যেভাবে আসবে সেইভাবে সামলানোর পরিকল্পনা করেছেন হাবাসের ডেপুটি। সবচেয়ে ভরসা দিচ্ছে বিদেশি ফুটবলারদের বাড়তি তাগিদ। যা কিছুটা হলে নিশ্চিন্ত করছে সবুজ-মেরুন শিবিরকে ৷
আরও পড়ুন: