ETV Bharat / sports

Exclusive interview of Md Akbar : ফুটবল মক্কায় ‘বাদশা’ হয়ে ওঠার কাহিনি, ইটিভি ভারতকে শোনালেন আকবর - Md Akbar

সাত ও আটের দশকে তাঁকে বলা হত কলকাতা ময়দানের বাদশা (Md Akbar Interview) । তিন প্রধানে খেলা মহম্মদ আকবরের গোল করার দক্ষতা এতটাই ছিল যে, শুধু বিপক্ষ দল নয়, দাদা মহম্মদ হাবিব পর্যন্ত ভাইকে সমীহ করতেন । তাঁর করা 13 সেকেন্ডের গোলের রেকর্ড দীর্ঘ 45 বছর ধরে অটুট ৷ হায়দরাবাদের বাড়িতে বসে ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি অনুভব খাসনবীশের কাছে নস্টালজিয়ায় ভাসলেন কলকাতা ময়দানের ছোটে মিঞাঁ ৷ আজ তার প্রথম কিস্তি ৷

Md Akbar
ছোটে মিঞাঁ
author img

By

Published : Mar 11, 2022, 7:37 PM IST

Updated : Mar 11, 2022, 9:24 PM IST

মহম্মদ আজম, মহম্মদ নইম, ফারিদ, হাবিব, আকবর এবং জাফর ৷ ফুটবলে মাঠ মাতিয়েছেন নিজামের শহরের ছয় ভাই-ই ৷ তার মধ্যে চার ভাই কলকাতা ময়দানে খেললেও কলকাতা এখনও একডাকে চেনে আকবর-হাবিবকে (The symphony of Habib-Akbar duo was famous in Kolkata Maidan) ৷ সত্তরের দশকে বড়ে মিঞাঁ-ছোটে মিঞাঁর জাদুতে মুগ্ধ ছিল আপামর কলকাতা ৷ ফুটবলবোদ্ধারা বলেন, হাবিব ছিলেন বলেই আকবর ‘বাদশা’ হয়েছেন ৷ কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, দাদা পাশে না-থাকলেও বিপক্ষের জালে বল জড়ানোর কাজটা কোনও জড়তা ছাড়াই করে গিয়েছেন তিনি ৷ কিন্তু এর শুরুটা কীভাবে ?

‘‘আমাদের রক্তে খেলা, ছোট থেকেই দেখছি দাদারা ফুটবল খেলছে ৷ ফলে স্বাভাবিকভাবেই আমিও ফুটবলের দিকেই আকৃষ্ট হই ৷’’ বলেন আকবর ৷ কিন্তু শুধুই কি প্যাশন, ফুটবলের প্রতি প্রেম ? হায়দরাবাদের বাড়িতে বসে ময়দানের ছোটে মিঁঞা বললেন, ‘‘আমাদের সময় ভাল খেললেই চাকরি পাওয়া যেত ৷ দাদাদের দেখছি, ভাল খেলার সুবাদেই চাকরি করছে ৷ 66-তে হাবিবদা অন্ধ্রপ্রদেশের হয়ে সন্তোষ ট্রফি জিতল ৷ ইস্টবেঙ্গলের জ্যোতিষ গুহ ওকে কলকাতা যাওয়ার অফার দিল ৷ তার আগে মেজ ভাই মইন মহমেডানে খেলে এসেছে ৷ ওদের থেকে ময়দানের গল্প শুনছি ৷ ফলে আমারও টান বাড়তে লাগল ৷’’

‘‘হায়দরাবাদ, বম্বে (এখনকার মুম্বই), কেরালা ৷ দেশের বহু প্রান্তে তখন ফুটবল ভীষণ জনপ্রিয় ৷ কিন্তু সবার এক কথা, ফুটবলের মক্কা কলকাতা ৷ সেখানে না খেলা মানে খেলোয়াড় জীবন বৃথা ৷ তাই আমিও 1971 সালে মহমেডানের অফার পেয়ে আর না করিনি ৷’’ সাক্ষাৎকারের শুরুতেই নস্টালজিক কলকাতা লিগের বেতাজ বাদশা ৷ কলকাতায় পা রাখার কয়েকদিন পর থেকেই শুরু হল তাঁর জয়যাত্রা ৷ প্রায় প্রত্যেক মরশুমেই তাঁর নামের পাশে গোলের সংখ্যাটা 33, 32, 34 ৷ ‘গোল’ এবং ‘আকবর’, কলকাতা ময়দানে দুই হয়ে উঠেছিল সমার্থক ৷

Habib-Akbar duo
তখন একসঙ্গে লাল-হলুদ মাতাচ্ছেন বড়ে মিঞাঁ-ছোটে মিঞাঁ

আরও পড়ুন : "তুমি দৌড়োও সুরো, তোমার দৌড়কে ওরা ভয় পায়..." সুরজিতকে বলেছিলেন পিকে

দুই হায়দরাবাদি ভাইয়ের একসঙ্গে খেলা শুরুর পাঁচ দশক পরেও ময়দানে কান পাতলে শোনা যায় হাবিব-আকবর জুটির কথা ৷ সমকালীন সুব্রত ভট্টাচার্য, গৌতম সরকার, বিদেশ বোস প্রত্যেকেরই একই কথা ৷ হাবিব বল ধরলেই আকবর বুঝে যেত ও বলটা কোথায় রাখবে ৷ আবার হাবিব জানত, আকবর বলটা কোথায় রিচ করবে ৷ তার রসায়ন কী ? ‘‘আমরা ছোট থেকেই একসঙ্গে খেলেছি ৷ ফলে বোঝাপড়াটা ছোট থেকেই ছিল ৷ কলকাতায় এসেও একদলে খেলার সময় দু'জন মিলে প্র্যাকটিস করতাম ৷ আমরা চোখ দেখেই বুঝে যেতাম কে কী করতে চাইছে ৷ অন্যদের মতো চিৎকার করতে হত না ৷’’ জানালেন আকবর ৷

কিন্তু ময়দানে নেমেই তো দাদার মুখোমুখি, জুটি তো পরে বেঁধেছেন ৷ অসুবিধা হয়নি ? ‘‘আমরা ফুটবলার ৷ যে দলের জার্সি গায়ে চাপাই সেই দলের হয়ে যাই ৷ মাঠে নামলে 90 মিনিট ও ভুলে যেত আমি ওর ভাই, আমিও তেমনি ভুলে যেতাম ও আমার দাদা ৷ সুভাষ (ভৌমিক), বিদেশ (বোস), সুধীরদের (কর্মকার) যেমন ট্যাকল করত, ভুল করলে গালাগাল দিত (মাঠে কোনও ভুল করলেই হাবিবের রণমূর্তি দেখতেন সতীর্থরা) তেমনই আমারও প্রাপ্য ছিল ৷’’, অকপট হাবিবের সহোদর ৷

ফুটবল মক্কায় ‘বাদশা’ হয়ে ওঠার কাহিনী'র দ্বিতীয় কিস্তি পড়তে চোখ রাখুন ইটিভি ভারতে...

মহম্মদ আজম, মহম্মদ নইম, ফারিদ, হাবিব, আকবর এবং জাফর ৷ ফুটবলে মাঠ মাতিয়েছেন নিজামের শহরের ছয় ভাই-ই ৷ তার মধ্যে চার ভাই কলকাতা ময়দানে খেললেও কলকাতা এখনও একডাকে চেনে আকবর-হাবিবকে (The symphony of Habib-Akbar duo was famous in Kolkata Maidan) ৷ সত্তরের দশকে বড়ে মিঞাঁ-ছোটে মিঞাঁর জাদুতে মুগ্ধ ছিল আপামর কলকাতা ৷ ফুটবলবোদ্ধারা বলেন, হাবিব ছিলেন বলেই আকবর ‘বাদশা’ হয়েছেন ৷ কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, দাদা পাশে না-থাকলেও বিপক্ষের জালে বল জড়ানোর কাজটা কোনও জড়তা ছাড়াই করে গিয়েছেন তিনি ৷ কিন্তু এর শুরুটা কীভাবে ?

‘‘আমাদের রক্তে খেলা, ছোট থেকেই দেখছি দাদারা ফুটবল খেলছে ৷ ফলে স্বাভাবিকভাবেই আমিও ফুটবলের দিকেই আকৃষ্ট হই ৷’’ বলেন আকবর ৷ কিন্তু শুধুই কি প্যাশন, ফুটবলের প্রতি প্রেম ? হায়দরাবাদের বাড়িতে বসে ময়দানের ছোটে মিঁঞা বললেন, ‘‘আমাদের সময় ভাল খেললেই চাকরি পাওয়া যেত ৷ দাদাদের দেখছি, ভাল খেলার সুবাদেই চাকরি করছে ৷ 66-তে হাবিবদা অন্ধ্রপ্রদেশের হয়ে সন্তোষ ট্রফি জিতল ৷ ইস্টবেঙ্গলের জ্যোতিষ গুহ ওকে কলকাতা যাওয়ার অফার দিল ৷ তার আগে মেজ ভাই মইন মহমেডানে খেলে এসেছে ৷ ওদের থেকে ময়দানের গল্প শুনছি ৷ ফলে আমারও টান বাড়তে লাগল ৷’’

‘‘হায়দরাবাদ, বম্বে (এখনকার মুম্বই), কেরালা ৷ দেশের বহু প্রান্তে তখন ফুটবল ভীষণ জনপ্রিয় ৷ কিন্তু সবার এক কথা, ফুটবলের মক্কা কলকাতা ৷ সেখানে না খেলা মানে খেলোয়াড় জীবন বৃথা ৷ তাই আমিও 1971 সালে মহমেডানের অফার পেয়ে আর না করিনি ৷’’ সাক্ষাৎকারের শুরুতেই নস্টালজিক কলকাতা লিগের বেতাজ বাদশা ৷ কলকাতায় পা রাখার কয়েকদিন পর থেকেই শুরু হল তাঁর জয়যাত্রা ৷ প্রায় প্রত্যেক মরশুমেই তাঁর নামের পাশে গোলের সংখ্যাটা 33, 32, 34 ৷ ‘গোল’ এবং ‘আকবর’, কলকাতা ময়দানে দুই হয়ে উঠেছিল সমার্থক ৷

Habib-Akbar duo
তখন একসঙ্গে লাল-হলুদ মাতাচ্ছেন বড়ে মিঞাঁ-ছোটে মিঞাঁ

আরও পড়ুন : "তুমি দৌড়োও সুরো, তোমার দৌড়কে ওরা ভয় পায়..." সুরজিতকে বলেছিলেন পিকে

দুই হায়দরাবাদি ভাইয়ের একসঙ্গে খেলা শুরুর পাঁচ দশক পরেও ময়দানে কান পাতলে শোনা যায় হাবিব-আকবর জুটির কথা ৷ সমকালীন সুব্রত ভট্টাচার্য, গৌতম সরকার, বিদেশ বোস প্রত্যেকেরই একই কথা ৷ হাবিব বল ধরলেই আকবর বুঝে যেত ও বলটা কোথায় রাখবে ৷ আবার হাবিব জানত, আকবর বলটা কোথায় রিচ করবে ৷ তার রসায়ন কী ? ‘‘আমরা ছোট থেকেই একসঙ্গে খেলেছি ৷ ফলে বোঝাপড়াটা ছোট থেকেই ছিল ৷ কলকাতায় এসেও একদলে খেলার সময় দু'জন মিলে প্র্যাকটিস করতাম ৷ আমরা চোখ দেখেই বুঝে যেতাম কে কী করতে চাইছে ৷ অন্যদের মতো চিৎকার করতে হত না ৷’’ জানালেন আকবর ৷

কিন্তু ময়দানে নেমেই তো দাদার মুখোমুখি, জুটি তো পরে বেঁধেছেন ৷ অসুবিধা হয়নি ? ‘‘আমরা ফুটবলার ৷ যে দলের জার্সি গায়ে চাপাই সেই দলের হয়ে যাই ৷ মাঠে নামলে 90 মিনিট ও ভুলে যেত আমি ওর ভাই, আমিও তেমনি ভুলে যেতাম ও আমার দাদা ৷ সুভাষ (ভৌমিক), বিদেশ (বোস), সুধীরদের (কর্মকার) যেমন ট্যাকল করত, ভুল করলে গালাগাল দিত (মাঠে কোনও ভুল করলেই হাবিবের রণমূর্তি দেখতেন সতীর্থরা) তেমনই আমারও প্রাপ্য ছিল ৷’’, অকপট হাবিবের সহোদর ৷

ফুটবল মক্কায় ‘বাদশা’ হয়ে ওঠার কাহিনী'র দ্বিতীয় কিস্তি পড়তে চোখ রাখুন ইটিভি ভারতে...

Last Updated : Mar 11, 2022, 9:24 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.