কলকাতা, 6 জুন: লাল-হলুদে কার্যত নিশ্চিত মন্দার রাও দেশাই ৷ সরকারি ঘোষণা না-আসলেও ময়দানে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, ইস্টবেঙ্গলের পাঠানো চুক্তিপত্রে সই করে ফেলেছেন এই লেফট-ব্যাক ৷ আর তা নিয়েই এখন লাল-হলুদ জনতার চর্চা তুঙ্গে । মন্দার রাও দেশাইয়ের সোশাল মিডিয়ায় চোখ রাখলে বিষয়টা ইতিবাচক মনে হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে সংবাদমাধ্যমের এক বন্ধু ক্লিনটন ডি'সুজাকে ট্যাগ করে সামাজিক মাধ্যমে মন্দার রাও দেশাই 'হালচাল' জিজ্ঞাসা করছেন। যা মন্দারের ইস্টবেঙ্গলে আসার ইঙ্গিতই বহন করছে বলে মত লাল-হলুদ জনতার, যদিও অফিয়িয়াল ঘোষণা আসার অপেক্ষা ।
শুধু মন্দার দেশাই নন ৷ ইস্টবেঙ্গল নিশু কুমার, হরমনজোত খাবরাকেও নাকি চুক্তিপত্র পাঠিয়েছে। যদিও ইস্টবেঙ্গলের তরফে দলবদলের বিষয়ে কোনও শব্দ সরকারিভাবে এখনও খরচ করা হয়নি। এই তিন ফুটবলারকে চুক্তিপত্র পাঠানোর পাশাপাশি লাল-হলুদ রিক্রুটাররা মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের সুমিত রাঠির জন্য ঝাঁপাচ্ছে বলে খবর। 25 জুন কলকাতা লিগ শুরু। তার আগে দলগঠন সম্পূর্ণ হওয়া যেমন জরুরি তেমনই কোচ কুয়াদ্রাত কবে শহরে আসছেন সেটাও জানা দরকার। সম্ভবত আগামী সপ্তাহে কলকাতায় চলে আসছেন স্প্যানিশ কোচ।
ইঙ্গিত মিলেছে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় দল ঘোষণা করা হবে। কিন্তু কেন দলবদলের খবর নিয়ে এই লুকোচুরি। মুখে কিছু না-বললেও কোচ হিসেবে লোবেরার যোগ দেওয়ার খবর ঘোষণা করার পরে তার বাস্তবায়ন হয়নি। পুরো এপিসোডে ইস্টবেঙ্গলের নাক কাটা গিয়েছে। তাই গোছানো সম্পূর্ণ হলেই ঘোষণা করা হবে দল। তবে ক্লাব এবং লগ্নিকারী সংস্থা দুই তরফেই আশ্বস্ত করা হয়েছে যথেষ্ট শক্তিশালী দলগঠনের চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্তত সুপার সিক্সে দল যাতে পৌঁছনোর ক্ষমতা সম্পন্ন দল তৈরিতে জোর দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্যারিস ছেড়ে কি বার্সেলোনায় ফিরছেন লিও? সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ
দলের চারজন বিদেশি চূড়ান্ত বলে শোনা যাচ্ছে। ইভান গঞ্জালেস যদি রিলিজ নিতে রাজি হন তাহলে বাকি দু'জনের জন্য একজন ভালোমানের স্টপার এবং ভালোমানের এশীয় কোটার ফুটবলার নিতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। এদিকে ক্রাউড ফান্ডিংয়ের গতিও যথেষ্ট ভালো ইস্টবেঙ্গলে। সারা বছর ধরে চলবে এই অর্থ সংগ্রহের কাজ। শুধু সদস্য সমর্থকরাই নন অর্থ সংগ্রহের জন্য কার্যকরী কমিটির সদস্যদের প্রত্যেকের জন্য লক্ষ্যমাত্রা বেধে দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি সহকারি স্পনসর জোগাড়ের চেষ্টাও চলছে ।