কলকাতা, 1 এপ্রিল : তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র হিসেবে রোজই বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপিকে নিশানা করেন কুণাল ঘোষ ৷ ভূমিকা বদলেও তাঁর আক্রমণের লক্ষ্য রইল সেই গেরুয়া শিবির ৷ মোহনবাগানের সহ-সভাপতি হিসেবেও তিনি ময়দানে বিজেপির নেতাদের ভূমিকা নিয়ে সরব হলেন ৷ প্রশ্ন তুললেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে যখন কৈলাস বিজয়বর্গীয় দুই প্রধানের আবেগ নিয়ে ছেলেখেলা করেছিলেন, তখন এই কথাগুলো কোথায় ছিল (Kunal Ghosh Slams BJP for playing with emotions of MB EB) ?”
মোহনবাগানের নতুন কার্যকরী কমিটি (Mohun Bagan New Executive Committee) গঠনে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাধান্য নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই সরগরম ময়দান ৷ শুক্রবার সবুজ-মেরুনের সহ-সভাপতি হিসেবে ক্লাব তাঁবুতে পা রেখেই সেই প্রসঙ্গে এই প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল ঘোষ (Mohun Bagan Vice President Kunal Ghosh) ৷
মোহনবাগানের সহ-সভাপতি মনোনীত হওয়ার পরে প্রথমবার ক্লাবে পা দিলেন শুক্রবার বিকেলে । সচিব দেবাশিস দত্তকে পাশে বসিয়ে তিনি বলেন, “সোজাসুজি বলুন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেরা এবারের কমিটিতে । 2012 সালে যখন মোহনবাগান ক্লাব আই লিগ থেকে নির্বাসনের শঙ্কায় ছিল, তখন দু’লক্ষ স্বাক্ষর সংগ্রহ করে দিল্লির ফুটবল হাউজে আমি, বিদেশ বসু, মানস ভট্টাচার্য গিয়েছিলাম । ফেডারেশন সচিব কুশল দাসের সঙ্গে দেখা করে স্বাক্ষরপত্র তুলে দিয়েছিলাম । মোহনবাগানের নির্বাসন হবে না নিশ্চিত করেছিলাম ।’’
এর পর তিনি বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র প্রসঙ্গ তোলেন ৷ বলেন, ‘‘অথচ আইএসএলে খেলানোর ব্যাপারে কৈলাস বিজয়বর্গীয় দুই ক্লাবের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন । কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপে বিষয়টি নিষ্পত্তির আশ্বাস দিয়েছিলেন । অথচ বাস্তবে কিছু না করে দুই প্রধানের আবেগ নিয়ে ছেলেখেলা করেছিলেন । তখন আজকের এই সমালোচনা কোথায় ছিল ।”
অন্যদিকে কার্যকরী কমিটির নির্বাচনে শাসকদলের প্রভাব নেই বলে দাবি করেছেন মোহনবাগানের নতুন সচিব দেবাশিস দত্ত ৷ তাঁর দাবি, ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন ৷ সেই রেশ ধরে নবাগত সহ-সভাপতি বলেছেন, “মনোনয়ন দেওয়ার সুযোগ সবার ছিল । গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সবকিছু হয়েছে । ঘরে বসে মন্তব্য করা সহজ । ”
এদিকে ব্যক্তিগতভাবে কুণাল ঘোষ মোহনবাগানের নামের আগে এটিকের নাম বসানোর বিরোধী । তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে এছাড়া পথ নেই বলে মনে করেন তিনি । কারণ, ফুটবল খেলার জন্য যে বিপুল পরিমাণ অর্থের দরকার তার যোগানের জন্য এটাই পথ । তবে তিনি নতুন কমিটির ওপর আস্থাশীল, যাঁরা সমর্থকদের একাংশের আবেগে ধাক্কার কথা শিল্পপতি গোয়েঙ্কাকে বুঝিয়ে এটিকে নাম তুলতে সফল হবেন বলে মনে করেন কুণাল । সচিব দেবাশিস দত্ত মানছেন ব্যক্তিগতভাবে মোহনবাগানের আগে এটিকের নামের অবস্থানের বিরোধী তিনি । কিন্তু পরিস্থিতির জন্য মানতে সেই সময় বাধ্য হয়েছিলেন ।
মোহনবাগানের সভাপতির নাম এখনও ঘোষণা হয়নি ৷ সেই নাম নিয়েও জল্পনার শেষ নেই ৷ আগামী 23 এপ্রিলের সাধারণ সভার আগে 18 এপ্রিল কার্যকরী কমিটির বৈঠক । সেখানে 22জন সদস্যের মতের ওপর সভাপতি বেছে নেওয়া হবে বলে মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত জানিয়েছেন ।