তুরস্ক/লন্ডন, 7 ফেব্রুয়ারি: নিখোঁজ প্রাক্তন চেলসি এবং নিউক্যাসল ফরওয়ার্ড ক্রিশ্চিয়ান আতসু (Former Chelsea Forward Christian Atsu) ৷ তুরস্কর শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরে ধ্বংসস্তূপের নীচে তিনি আটকে পড়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে (Christian Atsu Missing After Turkey Earthquake) ৷ এই ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত 4 হাজারের এর উপর মানুষের মৃত্যু হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, ঘানার নাগরিক ফুটবলার আতসু বর্তমানে তুরস্কের ক্লাব হাতায়স্পোরে খেলেন ৷ তিনি যে বহুতলটিতে থাকেন, সেটি ভূমিকম্পে ভেঙে পড়েছে ৷ এমনটাই জানিয়েছে হাতায়স্পোরের মুখপাত্র মুস্তাফা জাত ৷
পাশাপাশি, ক্লাবের ডিরেক্টর তানের সাভুত যে বহুতলে থাকতেন, সেটিও ভেঙে পড়েছে ৷ মনে করা হচ্ছে তিনিও ওই ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছেন ৷ ক্রিশ্চিয়ান আতসু এবং ক্লাব ডিরেক্টর তানের সাভুতের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা যায়নি ৷ ওই দু’টি বহুতলের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে দু’জনের খোঁজ শুরু করেছে উদ্ধারকারী দল ৷
হাতায়স্পোরের মুখপাত্র জাত জানিয়েছেন, আরও দু’জন খেলোয়াড়কে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে ৷ বর্তমানে তাঁরা সকলেই নিরাপদে রয়েছেন ৷ একমাত্র ফুবলার এবং ক্লাব অফিসিয়ালদের মধ্যে আতসু এবং তানের সাভুতের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ৷ হাতায়স্পোর ক্লাবের বাকি সকল ফুটবলার এবং অফিসিয়ালরা নিরাপদে রয়েছেন এবং সকলের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র মুস্তাফা জাত ৷
31 বছর বয়সী ক্রিশ্চিয়ান আতসু সৌদি আরবে এক বছর খেলেছিলেন ৷ তারপর গত বছর তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের শহর আন্তাকিয়ার হাতায়স্পোর ক্লাবে সই করেন ৷ উল্লেখ্য, সোমবার ভোরে রিখটার স্কেলে 7.8 মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্ক এবং প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ার একটা বড় অংশ কেঁপে ওঠে ৷ ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কাহরামানমারাস প্রদেশ ৷ এই ভূমিকম্প মিশরের কায়রো শহর পর্যন্ত অনুভূত হয়েছিল ৷
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে প্রাণহানি বেড়ে 4 হাজার ! তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে শুধু ধ্বংসাবশেষ
তবে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে এই ভূমিকম্পের আফটার শকে ৷ প্রায় একঘণ্টা পরে দ্বিতীয় এই ভূমিকম্পটির রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল 7.5 ৷ প্রথম কম্পনের থেকে মাত্রায় কম হলেও, বেশি ক্ষয়ক্ষতি দ্বিতীয়বারে হয়েছে ৷ এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রথমবারের কম্পনে যেসব বহুতলের ভিত নড়ে গিয়েছিল, সেগুলি আফটার শকের কম্পনে পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে ৷ ফলে দ্বিতীয়বারের ভূমিকম্পে বেশি ক্ষতি হয়েছে তুরস্কে ৷