কেরল, 14 এপ্রিল: ওড়িশা এফসির পরে হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধেও ড্র ৷ দুটো ম্যাচেই প্রথমে গোল করে এগিয়ে যাওয়ার সুবিধা ধরে রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় সুপার কাপ থেকে বিদায় কার্যত নিশ্চিত করে ফেলল ইস্টবেঙ্গল ৷ ম্যাচের ফল 3-3 ৷ গ্রুপের অন্য ম্যাচে ওড়িশা এফসি প্রতিপক্ষ আইজল এফসিকে 3-0 গোলে উড়িয়ে দেওয়ায় পরের পর্বে যাওয়ার দিকে তারা সুবিধাজনক জায়গায় রইল ৷ কারণ ইস্টবেঙ্গলের দুই ম্যাচে পয়েন্ট যখন দুই তখন ওড়িশা চার পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ৷ শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ হায়দরাবাদ এফসি ৷ ইস্টবেঙ্গল খেলবে আইজল এফসির বিরুদ্ধে ৷
প্রতিপক্ষকে চমক দিয়ে অস্তিত্ব রক্ষার কথা বলেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড ৷ কিন্তু কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের ভুল দল গঠন এবং এগিয়ে থাকার সুবিধা নিতে পারার কারণেই সুপার কাপ থেকে বিদায় ইস্টবেঙ্গলের ৷ ম্যাচের শুরু থেকে রাশ তুলে নিয়েছিল লাল-হলুদ ৷ চার মিনিটে ক্লেটন সিলভার বাড়ানো পাস থেকে দলের প্রথম গোল মহেশ নওরেম সিংয়ের ৷ হায়দরাবাদ এই ম্যাচে তাদের প্রথম একাদশের একাধিক ফুটবলারকে নামায়নি ৷ তবুও 10 মিনিটের মাথায় সমতায় ফেরে হায়দরাবাদ ৷ হোলিচরন নার্জারির পাস থেকে গোল করেন জেভিয়ার গামা ৷ 17 মিনিটে ফের এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল ৷ জ্যাক জারভিসের শট হায়দরাবাদ গোলরক্ষক বাঁচালে ফিরতি বল জালে পাঠান সুহের ভিপি ৷ ওড়িশা ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ক্লেটন সিলভাকে পিছন থেকে খেলিয়ে জ্যাক জারভিসকে উপরে খেলিয়েছেন ৷ এই সময় দুই দলের আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে খেলা জমে উঠেছিল ৷ 44 মিনিটে ক্লেটন সিলভার শট হায়দরাবাদ গোলরক্ষক বাঁচালে ফের গোল করেন মহেশ নওরেম সিং ৷
এই সময় মনে হয়েছিল দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ করবে ৷ বদলে দেখা গেল উলটো ছবি ৷ নিয়মিত ব্যবধানে গোল হজম করে জেতা ম্যাচ হাতছাড়া এবং বিদায় সুপার কাপ থেকে ৷ 71 মিনিটে 3-2 করেন জোভি ৷ বোরহা হেরেরার শট ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক কমলজিৎ বাঁচালে তা জালে পাঠান জোভি ৷ 81 মিনিটে সমতায় ফেরে হায়দরাবাদ ৷ গোলদাতা আব্দুল রেবার ৷ এরপর জয়সূচক গোলের সুযোগ পেয়েছিল হায়দরাবাদ ৷ কিন্তু কমলজিৎ ফ্রিকিক থেকে নিশ্চিত গোল বাঁচানোয় হার এড়ায় ইস্টবেঙ্গল ৷ সারা মরশুম শূন্য হাতে শেষ করল লাল হলুদ ৷
আরও পড়ুন: অস্তিত্বের ম্যাচে হায়দরাবাদের সামনে ইস্টবেঙ্গল, চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন ক্লেইটন সিলভা