কলকাতা, 19 ফেব্রুয়ারি: দীর্ঘ 23 বছর পর কলকাতা হকি লিগে (Calcutta Hockey League) ফিরল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান বড় ম্যাচ ৷ দিনকয়েক বাদে আইএসএল ডার্বির আগে যা দু'দলের সমর্থকদের কাছে ছিল মহড়ার মতোই ৷ ম্যাচ ঘিরে চাপা উত্তেজনা কাজ করলেও পরিস্থিতি যে এমন পর্যায়ে পৌঁছবে বুঝে উঠতে পারেননি কেউই ৷ ইস্ট-মোহন সমর্থকদের বচসা-হাতাহাতিতে রক্তাক্ত হল কলকাতা হকি লিগের বড় ম্যাচ ৷ সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে আক্রান্ত সাংবাদিকরা ৷ রেহাই পেলেন না মহিলা সমর্থকেরাও ৷ সবমিলিয়ে রবিবাসীয় বিকেলে উত্তপ্ত মহমেডান মাঠ (Brawl between East Bengal-Mohun Bagan supporters) ৷
দু'দশকেরও বেশি সময় পর হকি লিগে বড় ম্যাচের প্রত্যাবর্তনে এদিন মাঠে উপস্থিত ছিলেন দু'দলের প্রথমসারির কর্মকর্তারা ৷ যথাসময়েই শুরু হয় ম্যাচ ৷ মোহনবাগান গ্যালারির ঠিক সামনের অংশে দু'দলের কর্তারা বসে ম্যাচ দেখছিলেন ৷ ম্যাচের 12 মিনিটে মোহনবাগান গোল করে এগিয়ে যেতেই শুরু হয় গণ্ডগোল ৷ 2020 আইলিগের ফিরতি ম্যাচের আয়োজক ছিল লাল-হলুদ ৷ করোনা আবহে সেই ম্যাচ অনুষ্ঠিত করা যায়নি ৷ কিন্তু টিকিটের মূল্য ফেরৎ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এখনও সেই টাকা ফেরৎ দেননি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা ৷
সেই কারণেই ক্ষোভের বশে বাগানের গ্যালারি থেকে লাল-হলুদ কর্তাদের উদ্দেশ্য করে উড়ে আসতে থাকে গালাগালি ৷ মাঠে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন না-থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে থাকে ৷ ইস্টবেঙ্গল কর্তারা অভিযোগ করলে বাগান কর্তারা পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলেও তা সম্ভব হয়নি ৷ বাগান সমর্থকদের কটূক্তি, বিশৃঙ্খলা ক্রমেই মাঠের পারদ চড়াতে থাকে ৷ আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়ে এই সময় উলটোদিকের গ্যালারি থেকে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা মাঠে নেমে আসতেই বেঁধে যায় খণ্ডযুদ্ধ ৷ বচসা-হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু'দলের সমর্থকেরা ৷ নিগৃহীত হন মহিলা সমর্থকেরা ৷ আক্রান্ত হয় সংবাদমাধ্যম ৷
আরও পড়ুন: ম্যাকহিউয়ের জোড়া গোলে প্লে-অফ নিশ্চিত বাগানের
বিশৃঙ্খলার জেরে দেড়ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকার পর ঘোড়সওয়ার পুলিশ নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয় ৷ গ্যালারি ফাঁকা করে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ফ্লাডলাইটে ম্য়াচ শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা সম্ভব হয়নি ৷ কারণ মহামেডান মাঠে বাতিস্তম্ভের আলো পুরোপুরি জ্বলেনি ৷ বাগানের হকি সচিব শুভাশিস পাল জানান, আজকের ঘটনার পর হকি লিগে তারা আর দল নামাবেন কি না, তা আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৷ অন্যদিকে বেঙ্গল হকি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাবুন (স্বপন) বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন না-করে ডার্বি আয়োজন করে আমরা ঝুঁকি নিয়ে ফেলেছিলাম ৷