কলকাতা, 25 ডিসেম্বর: 41 বছরের ইতিহাসে বাংলায় এই প্রথম জুনিয়ার ন্যাশনাল নেটবল চ্যাম্পিয়নশিপের আসর বসেছে ৷ রবিবার বড়দিনের উৎসবের মাঝেই প্রায় হাজার প্রতিযোগীদের নিয়ে সল্টলেকের সাই (SAI) কেন্দ্রে শুরু হল 35তম ন্যাশনাল নেটবল চ্যাম্পিয়নশিপ (35th Netball Junior National Championship)। এবারের এই আসরে 35টি রাজ্যের 1 হাজার প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন কলকাতার উত্তরের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি অসীম কুমার রায়, বিওএ সভাপতি স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বরূপ দে, বীণাপানি দাশ এবং নেটবল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি বিজয় সিং। ক্রিকেট, ফুটবল, টেবিলটেনিস, অ্যাথলেটিক্স-সহ খেলা সম্পর্কে সবাই ওয়াকিবহাল। কিন্তু এই রাজ্যেও যে নেটবল খেলা হয়, শুধু তাই নয়, বাংলার 12টি জেলায় ইতিমধ্যে নেটবলের চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে তা অনেকেই জানেন না। এই নেটবল অলিম্পিকেও অন্তর্ভুক্ত। এমন একটা পিছিয়ে পড়া খেলা এই বাংলায় শুরু হয়েছিল 1981 সালে। হাওড়ায় শৈলেন মান্না স্টেডিয়ামে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু বাংলায় প্রথম এই নেটবলের সূচনা করেছিলেন ।
আরও পড়ুন: জাতীয় গেমসে সোনা জয়ী বাংলা দলকে সংবর্ধনা আইএফএ-এর
তবে এই খেলা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। তবে সেই সময় ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী নেটবলের সফল খেলোয়াড়দের আর্থিক সাহায্য করেছিলেন, এমনটাই জানালেন ওয়েস্ট বেঙ্গল নেটবল অ্যাসোসিয়েশনের (West Bengal State Netball Association) সচিব 75 বছরের বীণাপানি দাস। চার বছর হল এই সংস্থার সভাপতি পদে আনা হয়েছে সিএবির প্রাক্তন সচিব এবং বর্তমানে 48 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে'কে। সচিব বীণাপানি দাস আরও বলেন, "বিশ্বরূপ সভাপতি হওয়ার পর নেটবল নিয়ে অনেকটা আমরা এগোতে পেরেছি। একটা সময় থমকে গিয়েছিলাম। বিশ্বরূপ আসার পর বাংলায় একটা গতি পেয়েছে নেটবল। আমাদের বিশ্বাস বিশ্বরূপের হাত ধরেই বাংলায় নেটবলের প্রসার ও প্রচার হবে।"
ওয়েস্ট বেঙ্গল নেটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিশ্বরূপ দে জানালেন, নেটবল বলেও যে একটা খেলা আছে সেটা অনেকেই জানেন না। অলিম্পিকেও এই নেটবল রয়েছে। ধীরে ধীরে এই খেলার প্রসার ও প্রচারের দিকে এগোনো হচ্ছে। ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের 12টি জেলায় এই নেটবল খেলা শুরু করতে পেরেছি। আরও ভালো খবর হল, এই প্রথম বাংলায় ন্যাশনাল নেটবল হচ্ছে। নাগাল্যান্ড ছাড়া বাকি সব রাজ্য এই জুনিয়ার ন্যাশনাল নেটবল চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিচ্ছে। প্রায় 1 হাজার প্রতিযোগী এই ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিচ্ছেন। এই প্রতিযোগিতা সুষ্ঠুভাবে করাটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আশা করা হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে এই নেটবলের চর্চা সব জেলাতেই ছড়িয়ে দিতে পারা যাবে। তবে একটু সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: বাবা গৃহ শিক্ষক, জাতীয় স্তরের শুটিং প্রতিযোগিতায় সোনা জিতল বাংলার অভিনব