কলকাতা, 8 ফেব্রুয়ারি : লক্ষ্যপূরণের অঙ্ক বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি নতুন মরশুমের দল গঠনের প্রক্রিয়া এখন এস সি ইস্টবেঙ্গলে। পাঁচ ম্যাচ পরে জয়ের দেখা পেয়েছে লাল হলুদ ব্রিগেড। মোট ছ’টি বদল করে দল এখন অনেক বেশি জমাট। যা দেখে সমর্থকদের মধ্যে আক্ষেপ এবং আশা দুটোই রয়েছে সমান্তরাল ভাবে।
অন্যদিকে আরও তিনটে ম্যাচে ডাগ আউটে থাকতে পারবেন না কোচ রবি ফাওলার। তবে বাইরে থেকে দলের নীল নকশা তৈরি করে দিয়েছেন তিনি। যার সঠিক রূপায়ণ করছেন ডেপুটি টনি গ্রান্ট। কার্যত প্রতিটি ম্যাচে একাদশে নতুন ফুটবলার খেলিয়েছে লাল হলুদ টিম ম্যানেজমেন্ট। এই রোটেশন পদ্ধতির কারণ সামনে নিয়ে আসলেন টনি গ্রান্ট। "দলটাকে আমরা ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করছি। সেই কারণেই এত ফুটবলারকে মাঠে নামাচ্ছি। যাতে পরের মরশুমে একটা ভালো শক্তিশালী দল তৈরি করা যায়", বলছেন ফাওলারের ডেপুটি।
আরও পড়ুন : ফাওলারের শাস্তি কমানোর আর্জি খারিজ করল ফেডারেশন
অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়, রাজু গাইকোয়াড়ের পাশাপাশি সার্থক গলুই, সৌরভ দাসকে নিয়েছিল লাল হলুদ টিম ম্যানেজমেন্ট। এই নতুন নিয়োগের ডিভিডেন্ড যে মিলছে তার জোরালো ইঙ্গিত জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে মিলেছে। নতুন ফুটবলারদের ভালো খেলার প্রশংসা গ্রান্টের মুখে। একইভাবে দেবজিৎ মজুমদারকে বসিয়ে সুব্রত পালকে খেলানোর ব্যাখ্যা দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের সহকারী কোচ। "দেবজিৎকে আমরা সুযোগ দিয়েছি। সেই সুযোগ দেবজিৎ দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে। এবার সুব্রত এসেছে। সুব্রতকেও সুযোগ দিতে চাই। তাই বলে দেবজিৎ বাদের খাতায় মনে করার কারণ নেই। বরং দু’জনেই যাতে তৈরি থাকে তার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুরোটাই দলের কৌশল বলা যেতে পারে," বলছিলেন গ্রান্ট।