ETV Bharat / sports

শহরে ময়দানের বাদশা মজিদ, দেখলেন আজও তাঁর সিংহাসন খালি - Iranian Badsah

আজ ভোরে শহরে পা রাখলেন ময়দানের "ইরানিয়ান বাদশা" মজিদ বিসকার । বাদশাকে বরণ করতে বিমানবন্দরে ভিড় করেছিল লাল-হলুদ সমর্থকরা । 13 অগাস্ট নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গলের স্পোর্টস ডে-র অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মজিদ ।

মজিদ
author img

By

Published : Aug 11, 2019, 1:16 PM IST

Updated : Aug 11, 2019, 5:01 PM IST

কলকাতা, 11 অগাস্ট : বাদশার প্রত্যাবর্তন । আজ ভোর রাতে দমদম বিমানবন্দরে লাল হলুদ জনতার গগনভেদী চিৎকার দেখে মনে হচ্ছিল শহরের রং লাল হলুদ । যা গায়ে মেখে ফের কলকাতায় পা রাখছেন মজিদ বিসকার । তিন দশকের বেশি আগে শহরে ফুটবল খেলতে এসেছিলেন । আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রের পায়ের জাদুতে কলকাতার ফুটবল পাগল জনতা পেয়েছিল তাদের মনের মানুষকে । ভালো স্বাদের যেমন ভাগ হয় না, তেমনই সুখের সময়ও দীর্ঘায়িত হয় না । তিলোত্তমার ফুটবল পাগল জনতার কাছে আজও প্রহেলিকার নাম মজিদ বিসকার।

তেহেরান কথাটির আক্ষরিক অর্থ সুন্দর ইরান । সেখান থেকে বাদশা মজিদের একদা প্রাসাদ নগরী কলকাতায় প্রত্যাবর্তন । উদ্দেশ্য 13 অগাস্ট ইস্টবেঙ্গলের স্পোর্টস ডে-র অনুষ্ঠানে যোগদান । এবারের স্পোর্টস ডে ক্লাবের শতবর্ষ পালনের বর্ধিত অংশ মাত্র । 13 অগাস্ট নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলা অনেক লাল হলুদ হীরের মাঝে কোহিনুর অবশ্যই মজিদ ।

আজ ভোরে কলকাতা বিমানবন্দরের বাইরে যখন মধ্য ষাটের মানুষটি পা রাখলেন তখন সমর্থকদের চিৎকারে কানপাতা দায় । শুনলেন সারারাত লাল হলুদ সমর্থকরা তাঁর জন্যে অপেক্ষা করেছে বিমানবন্দরের সামনে । তবে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের একটা বড় অংশ তরুণ প্রজন্ম, যাঁরা ময়দানে মজিদের খেলা দেখেননি । তাঁদের জন্মের আগেই মজিদ শহর থেকে চলে গিয়েছিলেন । কিন্তু তাঁরা এসেছিলেন শুধুমাত্র মজিদ নামের মিথের টানে ।

মধ্য ষাটেও মজিদ স্বমেজাজে । প্রথমবার তাঁর ফোনটা অনেকক্ষণ বেজে থেমে গেল । দ্বিতীয়বার ফের ডায়াল করতেই ঘুম জড়ানো গলা । ফোনের ওধারে মজিদ স্বয়ং। "আমি বড় ক্লান্ত",বললেন তিনি । একই সঙ্গে যোগ করলেন, আগামীকাল কথা হবে । তবে এপারের আর্তিতে বোধহয় তাঁর অন্য কিছু মনে হয়েছিল । তাই বললেন, "ওনলি টু কোয়েশ্চেনস ।"

প্রশ্নঃ বিমানবন্দরে এত মানুষের ভিড় । কলকাতায় ফিরে অনুভূতি?

মজিদ: কলকাতার মানুষ আজও ভালোবাসে আমাকে । ওদের ভালোবাসাই আমাকে কলকাতায় টেনে নিয়ে নিয়ে এল ।

প্রশ্নঃ আপনার কোনও স্মৃতি মনে আছে?

মজিদ: বারো নম্বর জার্সি পরে খেলতাম । এখন ওই নম্বরের জার্সি পরে কে খেলেন ?

বর্তমান দলে কেউ ওই নম্বরের জার্সি পরে না - উত্তর শুনে মজিদ বললেন,"ও"!

প্রশ্ন: লাল-হলুদ জার্সিটা মনে আছে ?

মজিদ: সার্টেনলি । রংটা ভুলিনি । তবে এবারের জার্সিটা যখন দেখানো হয়েছিল তখন চিনতে পারিনি ।

প্রশ্ন: মহমেডান তো আপনাকে সংবর্ধনা দিতে চায় ?

মজিদ: ওরাও আমাকে মনে রেখেছে তাহলে !

এরপর ফোন রেখে দেন মজিদ বিসকার ।

ঝরঝরে ইংরেজির সঙ্গে হিন্দিটা কোনও মতে বলতে পারেন । ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে ময়দানে অভিষেক । বেলা শেষে সাদা কালো জার্সিতে খেলেছিলেন । 16টি ট্রফি জিতেছিলেন । মজিদের জীবনের কলকাতা পর্ব আলো আধারিতে ভরা । সোনালি বিকেল শেষ হয়েছিল বিয়োগান্তক পরিণতিতে । বাদশা দিগভ্রষ্ট হয়েছিলেন । এবার প্রত্যাবর্তন । বাদশা মজিদ দেখলেন তাঁর মুকুট এবং সিংহাসন দুটোই এখনও খালি পড়ে আছে ।

কলকাতা, 11 অগাস্ট : বাদশার প্রত্যাবর্তন । আজ ভোর রাতে দমদম বিমানবন্দরে লাল হলুদ জনতার গগনভেদী চিৎকার দেখে মনে হচ্ছিল শহরের রং লাল হলুদ । যা গায়ে মেখে ফের কলকাতায় পা রাখছেন মজিদ বিসকার । তিন দশকের বেশি আগে শহরে ফুটবল খেলতে এসেছিলেন । আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রের পায়ের জাদুতে কলকাতার ফুটবল পাগল জনতা পেয়েছিল তাদের মনের মানুষকে । ভালো স্বাদের যেমন ভাগ হয় না, তেমনই সুখের সময়ও দীর্ঘায়িত হয় না । তিলোত্তমার ফুটবল পাগল জনতার কাছে আজও প্রহেলিকার নাম মজিদ বিসকার।

তেহেরান কথাটির আক্ষরিক অর্থ সুন্দর ইরান । সেখান থেকে বাদশা মজিদের একদা প্রাসাদ নগরী কলকাতায় প্রত্যাবর্তন । উদ্দেশ্য 13 অগাস্ট ইস্টবেঙ্গলের স্পোর্টস ডে-র অনুষ্ঠানে যোগদান । এবারের স্পোর্টস ডে ক্লাবের শতবর্ষ পালনের বর্ধিত অংশ মাত্র । 13 অগাস্ট নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলা অনেক লাল হলুদ হীরের মাঝে কোহিনুর অবশ্যই মজিদ ।

আজ ভোরে কলকাতা বিমানবন্দরের বাইরে যখন মধ্য ষাটের মানুষটি পা রাখলেন তখন সমর্থকদের চিৎকারে কানপাতা দায় । শুনলেন সারারাত লাল হলুদ সমর্থকরা তাঁর জন্যে অপেক্ষা করেছে বিমানবন্দরের সামনে । তবে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের একটা বড় অংশ তরুণ প্রজন্ম, যাঁরা ময়দানে মজিদের খেলা দেখেননি । তাঁদের জন্মের আগেই মজিদ শহর থেকে চলে গিয়েছিলেন । কিন্তু তাঁরা এসেছিলেন শুধুমাত্র মজিদ নামের মিথের টানে ।

মধ্য ষাটেও মজিদ স্বমেজাজে । প্রথমবার তাঁর ফোনটা অনেকক্ষণ বেজে থেমে গেল । দ্বিতীয়বার ফের ডায়াল করতেই ঘুম জড়ানো গলা । ফোনের ওধারে মজিদ স্বয়ং। "আমি বড় ক্লান্ত",বললেন তিনি । একই সঙ্গে যোগ করলেন, আগামীকাল কথা হবে । তবে এপারের আর্তিতে বোধহয় তাঁর অন্য কিছু মনে হয়েছিল । তাই বললেন, "ওনলি টু কোয়েশ্চেনস ।"

প্রশ্নঃ বিমানবন্দরে এত মানুষের ভিড় । কলকাতায় ফিরে অনুভূতি?

মজিদ: কলকাতার মানুষ আজও ভালোবাসে আমাকে । ওদের ভালোবাসাই আমাকে কলকাতায় টেনে নিয়ে নিয়ে এল ।

প্রশ্নঃ আপনার কোনও স্মৃতি মনে আছে?

মজিদ: বারো নম্বর জার্সি পরে খেলতাম । এখন ওই নম্বরের জার্সি পরে কে খেলেন ?

বর্তমান দলে কেউ ওই নম্বরের জার্সি পরে না - উত্তর শুনে মজিদ বললেন,"ও"!

প্রশ্ন: লাল-হলুদ জার্সিটা মনে আছে ?

মজিদ: সার্টেনলি । রংটা ভুলিনি । তবে এবারের জার্সিটা যখন দেখানো হয়েছিল তখন চিনতে পারিনি ।

প্রশ্ন: মহমেডান তো আপনাকে সংবর্ধনা দিতে চায় ?

মজিদ: ওরাও আমাকে মনে রেখেছে তাহলে !

এরপর ফোন রেখে দেন মজিদ বিসকার ।

ঝরঝরে ইংরেজির সঙ্গে হিন্দিটা কোনও মতে বলতে পারেন । ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে ময়দানে অভিষেক । বেলা শেষে সাদা কালো জার্সিতে খেলেছিলেন । 16টি ট্রফি জিতেছিলেন । মজিদের জীবনের কলকাতা পর্ব আলো আধারিতে ভরা । সোনালি বিকেল শেষ হয়েছিল বিয়োগান্তক পরিণতিতে । বাদশা দিগভ্রষ্ট হয়েছিলেন । এবার প্রত্যাবর্তন । বাদশা মজিদ দেখলেন তাঁর মুকুট এবং সিংহাসন দুটোই এখনও খালি পড়ে আছে ।

Intro:বাদশার প্রত্যাবর্তন। ভোর রাতে দমদম বিমানবন্দরে লাল হলুদ জনতার গগনভেদী চিৎকার দেখে মনে হচ্ছিল শহরের রং লাল হলুদ। যা গায়ে মেখে ফের কলকাতায় পা রাখছেন মজিদ বিসকার। তিন দশকের বেশি সময় আগে শহরে ফুটবল খেলতে এসেছিলেন। আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের পায়ের জাদুতে কলকাতার ফুটবল পাগল জনতা পেয়েছিল তাদের মনের মানুষ কে। ভালো স্বাদের যেমন ভাগ হয় না, তেমনই সুখস্মৃতি দীর্ঘায়িত হয় না। তাই এশহরের ফুটবল পাগল জনতার কাছে প্রহেলিকা র নাম আজও মজিদ বিসকার।
তেহেরান কথাটির আক্ষরিক অর্থ সুন্দর ইরান। সেখান থেকে বাদশা মজিদের একদা প্রাসাদ নগরী কলকাতায় প্রত্যাবর্তন। উদ্দেশ্য তেরো অগস্ট ইস্টবেঙ্গলের স্পোর্টস ডের অনুষ্ঠানে যোগদান। এবারের স্পোর্টস ডে ক্লাব শতবর্ষ পালনের বর্ধিত অংশ মাত্র। নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অনেক লাল হলুদ হীরের মাঝে কোহিনূর অবশ্যই মজিদ।
রবিবারের ভোরে বিমানবন্দরে র বাইরে যখন মধ্য ষাটের মানুষ টি পা রাখলেন তখন কানপাতা দায়। শুনলেন সারারাত লাল হলুদ সমর্থকরা তার জন্যে অপেক্ষা করেছে।অপেক্ষা করেছে একটু দেখা,সম্ভব হলে এটটু শোনার জন্যে। যারা এসেছিল তাদের বেশির ভাগই মজিদ বিসকারের খেলা দেখেননি। তাদের জন্মের আগে ইরানের ফুটবলার টি শহর থেকে চলে গিয়েছেন। শুধুমাত্র গল্পের মোহে মিথের টানে মজিদকে দেখতে চলে এসেছেন।
ফোনটা অনেক ক্ষণ বেজে গেল।দ্বিতীয় বার ফের ডায়াল করতেই ঘুম জড়ানো গলা। দূরাভাষের ওধারে মজিদ স্বয়ং। "আমি বড় ক্লান্ত",বলছেন তিনি। একই সঙ্গে যোগ করলেন আগামীকাল কথা হবে। তবে আর্তিতে বোধহয় তার অন্য কিছু মনে হয়েছিল তাই বললেন,"অনলি টু কোশ্চেন।"

প্রশ্নঃ বিমানবন্দরে এত মানুষের ভিড়।কলকাতায় ফিরে অনুভূতি?

মজিদ: কলকাতার মানুষ আজও ভালোবাসে আমাকে।ওদের ভালোবাসা আমাকে নিয়ে এল।

প্রশ্নঃ আপনার কোনও স্মৃতি মনে আছে?

মজিদ: বারো নম্বর জার্সি পড়ে খেলতাম। এখন ওই নম্বরের জার্সি পড়ে কে খেলেন?

বর্তমান দলে কেউ পড়ে না বলতে মজিদ শুধুই বললেন,"ও"!
মনা ভট্টা আমার সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ করেছিল।

প্রশ্ন: লাল হলুদ জার্সিটা মনে আছে?

মজিদ: সার্টেনলি।রংটা ভুলিনি। তবে এবারের জার্সি টা যখন দেখানো হয়েছিল তখন চিনতে পারিনি।

প্রশ্ন: মহমেডান আপনাকে সংবর্ধনা দিতে চায়?

মজিদ: ওরা আমাকে মনে রেখেছে!

এরপর ফোন রেখে দেন মজিদ বিসকার।
ঝড়ঝড়ে ইংরেজি র সঙ্গে হিন্দিটা কোনও রকমে কয়েকটি শব্দ বলতে পারেন।
ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে ময়দানে অভিষেক। বেলা শেষে সাদা কালো জার্সিতে খেলেছিলেন। 16টি ট্রফি জিতেছিলেন।
মজিদ বিসকারের জীবনের কলকাতা পর্ব আলো আধারিতে ভরা। সোনালি বিকেল শেষ হয়েছিল বিয়োগান্তিক পরিনতিতে। বাদশা দিগভ্রষ্ট হয়েছিলেন।
এবার প্রত্যাবর্তন। বাদশা মজিদ দেখলেন তার মুকুট এবং সিংহাসন দুটোই পড়ে আছে।



Body:মজিদ


Conclusion:
Last Updated : Aug 11, 2019, 5:01 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.