ETV Bharat / sports

"শহর কলকাতার জীবন যুদ্ধের মঞ্চ ময়দান", গবেষণায় সোনারপুর কলেজের অধ্যাপক

শহরের মাঝখানে এক বিস্তীর্ণ সবুজ প্রান্তর । প্রায় সাড়ে ছ'মাইল বিস্তৃত এই অঞ্চলটি মূলত বাংলার খেলাধুলোর প্রধান মঞ্চ হলেও তার পিছনে রয়েছে নীরব ইতিহাস । যা নিয়েই গবেষণা করছেন সোনারপুর কলেজের অধ্যাপক শুভ্রাংশু রায় ৷

শহর কলকাতার জীবন যুদ্ধের মঞ্চ ময়দান, গবেষণায় সোনারপুর কলেজের অধ্যাপক
author img

By

Published : Sep 22, 2019, 8:08 PM IST

কলকাতা, 22 সেপ্টেম্বর : কলকাতা ময়দান । শহরের মাঝখানে এক বিস্তীর্ণ সবুজ প্রান্তর । প্রায় সাড়ে ছয় মাইল বিস্তৃত এই অঞ্চলটি মূলত বাংলার খেলাধুলোর প্রধান মঞ্চ হলেও তার পিছনে যে নীরব ইতিহাস রয়েছে তা বেশ চমকপ্রদ । আর ময়দানের এই ইতিহাস নিয়েই গবেষণা করেছেন সোনারপুর কলেজের অধ্যাপক শুভ্রাংশু রায় । ময়দান নিয়ে তাঁর গবেষণাপত্রও জমা দিয়েছেন সম্প্রতি ।

কলা বা বিজ্ঞান বিভাগের ভারী কোনও বিষয় নয় । শুভ্রাংশুবাবুর গবেষণার বিষয় কলকাতা ময়দান । যা অভিনব । তিনি বলছেন, কলকাতা ময়দানে তিন প্রধান ছাড়া আরও অনেক ক্লাব আছে যারা শতবর্ষ অতিক্রম করেছে । ডালহৌসি, রেঞ্জার্স, CCFC বছর সত্তর আগেও ছিল ব্রিটিশ কলোনিয়াল কালচারের প্রতিভু । দেশ স্বাধীন হয়েছে । কিন্তু এই তিন ক্লাব আজও ময়দানে রয়েছে । এবং তারা রয়েছে ব্রিটিশ সংস্কৃতির অংশ হিসেবে নয় বরং বঙ্গীয় খেলাধুলোর চর্চা কেন্দ্র হিসেবে । ফুটবল, ক্রিকেটে এই ক্লাবগুলোর সক্রিয় যোগদান ময়দানের কসমোপলিটান কালচারের উজ্জ্বল উদাহরণ ।

ময়দানের অন্দরমহলে এমন সমস্ত ইতিহাস লুকিয়ে যা শহর কলকাতার রাজনৈতিক-সামাজিক চরিত্রের সাক্ষ্য বহন করে । শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকটি ক্লাব রয়েছে যা বাংলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য বহন করে । উদাহরণ হিসেবে ক্যালকাটা পার্সি ক্লাব, মেকন ইনস্টিটিউট, বুদ্ধিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, আর্মেনিয়ান ক্লাব এবং মুসলিম ইনস্টিটিউট । এরা প্রত্যেকেই একশো বছর অতিক্রম করেছে । ময়দানের সুবিস্তৃত সবুজ সমারোহে অচলায়তন হিসেবে দাঁড়িয়ে নেই । নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী বঙ্গীয় খেলাধুলোয় নিজ সম্প্রদায়ের চিহ্ন বহন করে চলেছে । ময়দানের এই বিবিধের মাঝে মিলনের সংস্কৃতি শুভ্রাংশু রায়কে গবেষণার বিষয় হিসেবে ময়দানকে বেছে নিতে আকৃষ্ট করেছিল ।

ক্লাব সংস্কৃতির পরিচয় এসেছিল ব্রিটিশদের হাত ধরে । ইংরেজদের সঙ্গে পাল্লা দিতে তদানীন্তন বাংলার রাজা, জমিদাররা ক্লাব তৈরি করেছিলেন । ইতিহাস ঘাঁটলে পাওয়া যায় শোভাবাজার ক্লাব, টাউন ক্লাব, শ্রীরামপুর ক্লাবের নাম । সোনারপুর কলেজের অধ্যাপক বলছেন, তিনি ছোটোবেলা থেকে অভিভাবকদের হাত ধরে ময়দানে খেলা দেখতে আসতেন । পরবর্তী সময়ে কলেজে পড়ার সময় ময়দানে এসেছেন । প্রতিবারই ভেদাভেদহীন মঞ্চ হিসেবে কলকাতা ময়দান তাঁর চোখে ধরা পড়েছে । এবং ময়দানের এই চরিত্রটি নতুন নয় । শাসক ইংরেজ যখন সমাজের অন্য পরিসরে নেটিভ বলে ভারতীয়দের দূরে ঠেলছে তখন ময়দানে অন্য ছবি । সেখানে শাসকপক্ষ জাতপাতের বিভেদ করেনি । উলটে নৈপুণ্যের গুনগান গেয়েছে । শুভ্রাংশুবাবুর কাছে ময়দান তাই ল্যান্ড অফ হারমনি । যা বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে প্রাসঙ্গিক । গবেষণাপত্রে এই বিবিধের মাঝে মিলনের ছবি তুলে ধরেছেন তিনি । যা সত্যিই অভিনব ।

কলকাতা, 22 সেপ্টেম্বর : কলকাতা ময়দান । শহরের মাঝখানে এক বিস্তীর্ণ সবুজ প্রান্তর । প্রায় সাড়ে ছয় মাইল বিস্তৃত এই অঞ্চলটি মূলত বাংলার খেলাধুলোর প্রধান মঞ্চ হলেও তার পিছনে যে নীরব ইতিহাস রয়েছে তা বেশ চমকপ্রদ । আর ময়দানের এই ইতিহাস নিয়েই গবেষণা করেছেন সোনারপুর কলেজের অধ্যাপক শুভ্রাংশু রায় । ময়দান নিয়ে তাঁর গবেষণাপত্রও জমা দিয়েছেন সম্প্রতি ।

কলা বা বিজ্ঞান বিভাগের ভারী কোনও বিষয় নয় । শুভ্রাংশুবাবুর গবেষণার বিষয় কলকাতা ময়দান । যা অভিনব । তিনি বলছেন, কলকাতা ময়দানে তিন প্রধান ছাড়া আরও অনেক ক্লাব আছে যারা শতবর্ষ অতিক্রম করেছে । ডালহৌসি, রেঞ্জার্স, CCFC বছর সত্তর আগেও ছিল ব্রিটিশ কলোনিয়াল কালচারের প্রতিভু । দেশ স্বাধীন হয়েছে । কিন্তু এই তিন ক্লাব আজও ময়দানে রয়েছে । এবং তারা রয়েছে ব্রিটিশ সংস্কৃতির অংশ হিসেবে নয় বরং বঙ্গীয় খেলাধুলোর চর্চা কেন্দ্র হিসেবে । ফুটবল, ক্রিকেটে এই ক্লাবগুলোর সক্রিয় যোগদান ময়দানের কসমোপলিটান কালচারের উজ্জ্বল উদাহরণ ।

ময়দানের অন্দরমহলে এমন সমস্ত ইতিহাস লুকিয়ে যা শহর কলকাতার রাজনৈতিক-সামাজিক চরিত্রের সাক্ষ্য বহন করে । শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকটি ক্লাব রয়েছে যা বাংলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য বহন করে । উদাহরণ হিসেবে ক্যালকাটা পার্সি ক্লাব, মেকন ইনস্টিটিউট, বুদ্ধিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, আর্মেনিয়ান ক্লাব এবং মুসলিম ইনস্টিটিউট । এরা প্রত্যেকেই একশো বছর অতিক্রম করেছে । ময়দানের সুবিস্তৃত সবুজ সমারোহে অচলায়তন হিসেবে দাঁড়িয়ে নেই । নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী বঙ্গীয় খেলাধুলোয় নিজ সম্প্রদায়ের চিহ্ন বহন করে চলেছে । ময়দানের এই বিবিধের মাঝে মিলনের সংস্কৃতি শুভ্রাংশু রায়কে গবেষণার বিষয় হিসেবে ময়দানকে বেছে নিতে আকৃষ্ট করেছিল ।

ক্লাব সংস্কৃতির পরিচয় এসেছিল ব্রিটিশদের হাত ধরে । ইংরেজদের সঙ্গে পাল্লা দিতে তদানীন্তন বাংলার রাজা, জমিদাররা ক্লাব তৈরি করেছিলেন । ইতিহাস ঘাঁটলে পাওয়া যায় শোভাবাজার ক্লাব, টাউন ক্লাব, শ্রীরামপুর ক্লাবের নাম । সোনারপুর কলেজের অধ্যাপক বলছেন, তিনি ছোটোবেলা থেকে অভিভাবকদের হাত ধরে ময়দানে খেলা দেখতে আসতেন । পরবর্তী সময়ে কলেজে পড়ার সময় ময়দানে এসেছেন । প্রতিবারই ভেদাভেদহীন মঞ্চ হিসেবে কলকাতা ময়দান তাঁর চোখে ধরা পড়েছে । এবং ময়দানের এই চরিত্রটি নতুন নয় । শাসক ইংরেজ যখন সমাজের অন্য পরিসরে নেটিভ বলে ভারতীয়দের দূরে ঠেলছে তখন ময়দানে অন্য ছবি । সেখানে শাসকপক্ষ জাতপাতের বিভেদ করেনি । উলটে নৈপুণ্যের গুনগান গেয়েছে । শুভ্রাংশুবাবুর কাছে ময়দান তাই ল্যান্ড অফ হারমনি । যা বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে প্রাসঙ্গিক । গবেষণাপত্রে এই বিবিধের মাঝে মিলনের ছবি তুলে ধরেছেন তিনি । যা সত্যিই অভিনব ।

Intro:কলকাতা ময়দান। শহরের মাঝখানে এক বিস্তীর্ণ সবুজ প্রান্তর। প্রায় সাড়ে ছয় মাইল বিস্তৃত এই অঞ্চলটি মূলত বাংলার খেলাধুলার প্রধান মঞ্চ হলেও তার পেছনে নীরব ইতিহাস রয়েছে যা কম চমকপ্রদ নয়। সোনারপুর কলেজের অধ্যাপক শুভ্রাংশু রায় এই ময়দান নিয়ে তার গবেষণা পত্র জমা দিয়েছেন। গবেষণা মানে কলা বিঞ্জান বিভাগের মাথাভারি আলোচনা নয়। গবেষনার বিষয় কলকাতা ময়দান।যা অভিনব। শুভ্রাংশু বলছেন ইস্টবেঙ্গল এবছর তাদের শতবর্ষ পালন করছে। কিন্তু কলকাতা ময়দানে তিন প্রধান ছাড়া আরও অনেক ক্লাব আছে যারা শতবর্ষ অতিক্রম করেছে। ডালহৌসি, রেঞ্জার্স,সিসিএফসি বছর সত্তর আগেও ছিল ব্রিটিশ কলোনিয়াল কালচারের প্রতিভু। দেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু এই তিন ক্লাব আজও ময়দানে রয়েছে। এবং তারা রয়েছে ব্রিটিশ কালচারের অংশ হিসেবে নয় বরং বঙ্গীয় খেলাধুলার চর্চা কেন্দ্র হিসেবে। ফুটবল ক্রিকেটে এই ক্লাবগুলোর সক্রিয় যোগদান ময়দানের কসমোপলিটান কালচারের উজ্বল উদাহরন। শুভ্রাংশু বলছেন ময়দানের অন্দরমহলে এমন সমস্ত ইতিহাস লুকিয়ে যা শহর কলকাতার রাজনৈতিক সামাজিক চরিত্রের সাক্ষ্য বহন করে। শুধু তাই নয় বেশ কয়েকটি ক্লাব রয়েছে যা বাংলার সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের অভিঞ্জান বহন করে। উদাহরণ হিসেবে ক্যালকাটা পার্সি ক্লাব,মেকন ইনস্টিটিউট, বুদ্ধিষ্ট আসোসিয়েশন, আর্মেনিয়ান ক্লাব এবং মুসলিম ইনস্টিটিউট উল্লেখযোগ্য। এরা প্রত্যেক একশো বছর অতিক্রম করেছে। ময়দানের সুবিস্তৃত সবুজ সমারোহে অচলায়তন হিসেবে দাঁড়িয়ে নেই।নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী বঙ্গীয় খেলাধুলায় নিজ সম্প্রদায়ের চিহ্ন বহন করে চলেছে।
ময়দানের এই বিবিধের মাঝে মিলনের সংষ্কৃতি শুভ্রাংশু রায়কে গবেষণার বিষয় করতে আকর্ষিত করেছিল। ক্লাব সংষ্কৃতির পরিচয় এসেছিল ব্রিটিশ দের হাত ধরে। ইংরেজদের সঙ্গে পাল্লা দিতে তদানীন্তন বাংলার রাজা জমিদাররা ক্লাব তৈরি করেছিলেন। উদাহরণ হিসেবে শোভাবাজার ক্লাব, টাউন ক্লাব, শ্রীরামপুর ক্লাবের নাম ইতিহাস ঘাটলে পাওয়া যায়। সোনারপুর কলেজের অধ্যাপক বলছেন তিনি ছোটবেলা থেকে ময়দানের খছলা দেখতে আসতেন অভিভাবক দের হাত ধরে। পরবর্তী সময়ে কলেজে পড়ার সময় ময়দানে এসেছেন। প্রতিবারই ভেদাভেদ হীন মঞ্চ হিসেবে কলকাতা ময়দান তার চোখে ধরা পড়েছে। এবং ময়দানের এই চরিত্র টি নতুন নয়।বরং পুরানো। শাসক ইংরেজ যখন সমাজের অন্য পরিসরে নেটিভ বলে ভারতীয়দের দূরে ঠেলছে তখন ময়দানে অন্য ছবি। সেখানে শাসক জাতপাতের বিরোধিতা নেই।উল্টে নৈপুণ্যের গুনগান রয়েছে। শুভ্রাংশুর কাছে ময়দান তাই ল্যান্ড অফ হারমনি। যা বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে ভীষনভাবে প্রাসঙ্গিক। গবেষণা পত্রে এই বিবিধের মাঝে মিলনের ছবি তুলে ধরেছেন। যা সত্যিই অভিনব।


Body:ময়দান


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.