ETV Bharat / sports

আমার সন্তানরা ফুটবলার হলে অন্তত এক বছর ইস্টবেঙ্গলে খেলুক : মুসা

লাল-হলুদের স্পোর্টস ডে'র দিন মঞ্চমিলন ক্ষেত্র হয়ে উঠল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম ৷ সংবর্ধিত হলেন প্রাক্তনীরা ৷

ইস্টবেঙ্গল
author img

By

Published : Aug 14, 2019, 10:39 AM IST

কলকাতা, 14 অগাস্ট : এ যেন এক মিলন ক্ষেত্র ৷ দেশ-মহাদেশের ব্যবধান ঘুচিয়ে তাঁদের একটাই পরিচয়, প্রত্যেকেই প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক ও কোচ ৷ গতকাল এমনই এক সন্ধ্যার সাক্ষী থাকল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম ৷

চলতি বছরের স্পোর্টস ডে ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ অনুষ্ঠানের বর্ধিত অংশ । আর সেই 100 বছরের পথ চলায় যে অধিনায়ক ও কোচরা দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন তাঁদের এক মঞ্চে সংবর্ধিত করা হল ৷ ছয়ের দশকের সুকুমার সমাজপতি, চন্দন ব্যানার্জি, পরিমল দে'রা যেমন থাকলেন তেমনই মঞ্চ আলো করে রইলেন পরবর্তীকালের অধিনায়করাও ৷ 100 শতাংশ উপস্থিতি বলা যাবে না । তবে সিংহভাগের উজ্বল উপস্থিতিতে নেতাজি ইন্ডোরে চাঁদের হাট বসল । সম্মানিত হলেন শতবর্ষের কোচেরাও । সেখানে উল্লেখযোগ্য অনুপস্থিতি সুব্রত ভট্টাচার্য, ট্রেভর জেমস মরগ্যান এবং বর্তমান দলের কোচ আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেজ় গার্সিয়ার ।
পুরো অনুষ্ঠানে বর্তমান দলকে পরিচয় না করিয়ে দেওয়াও কিছুটা দৃষ্টিকটু । তবে তা চাপা পড়ে গেল ভালোবাসা, আবেগে ৷

অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ অবশ্যই মজিদ বিসকার । কার্যত হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সরিয়ে 32 বছর পরে কলকাতায় পা রেখেছেন । মঞ্চে অন্য প্রাক্তনদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ফেলে আসা সোনালি বিকেলে ফিরে গেলেন তিনি । বললেন, "আমি ভাবিনি আমার জন্য এত সম্মান ভালোবাসা অপেক্ষা করছে ৷" মজিদের আবেগে ঝরা কথাগুলি শোনার যেন ভালোবাসার বিস্ফোরণ হল নেতাজি ইন্ডোরে ৷ শব্দব্রহ্ম তৈরি করে লাল-হলুদ সমর্থকরা জানিয়ে দিলেন, কলকাতা ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়ে একটাই বাদশা ৷ মজিদ বিসকার ৷ জামশিদ নাসিরিকে সংবর্ধিতও করলেন । যা বহু কাঙ্ক্ষিত ছবি ।

একই সুর সুলে মুসার গলায় ৷ তাঁর অধিনায়কত্বে ASEAN কাপ জিতেছে লাল-হলুদ ৷ স্মৃতির সরণি বেয়ে ফিরে গেলেন সেই দিনগুলোতে ৷ সুদূর ঘানা থেকে উড়ে এসেছেন লাল-হলুদের আমন্ত্রণে । পেশাদারিত্বের আঙ্গিক ছেড়ে লাল-হলুদ জার্সিতে এখনও খুঁজে পান প্রাণের টান । স্বপ্ন দেখেন নিজের পরবর্তী প্রজন্মের গায়ে উঠেছে ইস্টবেঙ্গলের জার্সি । বললেন, "আমার সন্তানরা ফুটবল খেললে তাদের বলব অন্তত এক বছর ইস্টবেঙ্গলের জার্সি পরে খেল । বুঝতে পারবে ভালোবাসা-সম্মান কাকে বলে ।" কথা শুনে মনে হচ্ছিল, কোনও আফ্রিকান ফুটবলার নন, এ যেন বাংলার কোনও প্রাক্তন কথা বলছেন ।

অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হয় ইস্টবেঙ্গলের থিম সং । গেয়েছেন অরিজিৎ সিং । পঞ্চ পাণ্ডবের পরিবারের সদস্যদের হাতে শতবর্ষ স্মারক দিয়ে সম্মান জানানো হয় ।
ফুটবল দুনিয়ার বাইরে সাহিত্য, নাটক ও চলচ্চিত্রের তিন কিংবদন্তি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত ও তরুণ মজুমদারকে সম্মানিত করা হয় । গানের মাধ্যমে লাল-হলুদ উদ্যোগকে স্বাগত জানান রুদ্রপ্রসাদ । শীর্ষেন্দুর কথায় "জীবনের একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হল ।" প্রবীণ সাহিত্যিকের এক কথাতেই ফুটে উঠল অনুষ্ঠানের সারমর্ম ৷

কলকাতা, 14 অগাস্ট : এ যেন এক মিলন ক্ষেত্র ৷ দেশ-মহাদেশের ব্যবধান ঘুচিয়ে তাঁদের একটাই পরিচয়, প্রত্যেকেই প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক ও কোচ ৷ গতকাল এমনই এক সন্ধ্যার সাক্ষী থাকল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম ৷

চলতি বছরের স্পোর্টস ডে ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ অনুষ্ঠানের বর্ধিত অংশ । আর সেই 100 বছরের পথ চলায় যে অধিনায়ক ও কোচরা দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন তাঁদের এক মঞ্চে সংবর্ধিত করা হল ৷ ছয়ের দশকের সুকুমার সমাজপতি, চন্দন ব্যানার্জি, পরিমল দে'রা যেমন থাকলেন তেমনই মঞ্চ আলো করে রইলেন পরবর্তীকালের অধিনায়করাও ৷ 100 শতাংশ উপস্থিতি বলা যাবে না । তবে সিংহভাগের উজ্বল উপস্থিতিতে নেতাজি ইন্ডোরে চাঁদের হাট বসল । সম্মানিত হলেন শতবর্ষের কোচেরাও । সেখানে উল্লেখযোগ্য অনুপস্থিতি সুব্রত ভট্টাচার্য, ট্রেভর জেমস মরগ্যান এবং বর্তমান দলের কোচ আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেজ় গার্সিয়ার ।
পুরো অনুষ্ঠানে বর্তমান দলকে পরিচয় না করিয়ে দেওয়াও কিছুটা দৃষ্টিকটু । তবে তা চাপা পড়ে গেল ভালোবাসা, আবেগে ৷

অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ অবশ্যই মজিদ বিসকার । কার্যত হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সরিয়ে 32 বছর পরে কলকাতায় পা রেখেছেন । মঞ্চে অন্য প্রাক্তনদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ফেলে আসা সোনালি বিকেলে ফিরে গেলেন তিনি । বললেন, "আমি ভাবিনি আমার জন্য এত সম্মান ভালোবাসা অপেক্ষা করছে ৷" মজিদের আবেগে ঝরা কথাগুলি শোনার যেন ভালোবাসার বিস্ফোরণ হল নেতাজি ইন্ডোরে ৷ শব্দব্রহ্ম তৈরি করে লাল-হলুদ সমর্থকরা জানিয়ে দিলেন, কলকাতা ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়ে একটাই বাদশা ৷ মজিদ বিসকার ৷ জামশিদ নাসিরিকে সংবর্ধিতও করলেন । যা বহু কাঙ্ক্ষিত ছবি ।

একই সুর সুলে মুসার গলায় ৷ তাঁর অধিনায়কত্বে ASEAN কাপ জিতেছে লাল-হলুদ ৷ স্মৃতির সরণি বেয়ে ফিরে গেলেন সেই দিনগুলোতে ৷ সুদূর ঘানা থেকে উড়ে এসেছেন লাল-হলুদের আমন্ত্রণে । পেশাদারিত্বের আঙ্গিক ছেড়ে লাল-হলুদ জার্সিতে এখনও খুঁজে পান প্রাণের টান । স্বপ্ন দেখেন নিজের পরবর্তী প্রজন্মের গায়ে উঠেছে ইস্টবেঙ্গলের জার্সি । বললেন, "আমার সন্তানরা ফুটবল খেললে তাদের বলব অন্তত এক বছর ইস্টবেঙ্গলের জার্সি পরে খেল । বুঝতে পারবে ভালোবাসা-সম্মান কাকে বলে ।" কথা শুনে মনে হচ্ছিল, কোনও আফ্রিকান ফুটবলার নন, এ যেন বাংলার কোনও প্রাক্তন কথা বলছেন ।

অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হয় ইস্টবেঙ্গলের থিম সং । গেয়েছেন অরিজিৎ সিং । পঞ্চ পাণ্ডবের পরিবারের সদস্যদের হাতে শতবর্ষ স্মারক দিয়ে সম্মান জানানো হয় ।
ফুটবল দুনিয়ার বাইরে সাহিত্য, নাটক ও চলচ্চিত্রের তিন কিংবদন্তি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত ও তরুণ মজুমদারকে সম্মানিত করা হয় । গানের মাধ্যমে লাল-হলুদ উদ্যোগকে স্বাগত জানান রুদ্রপ্রসাদ । শীর্ষেন্দুর কথায় "জীবনের একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হল ।" প্রবীণ সাহিত্যিকের এক কথাতেই ফুটে উঠল অনুষ্ঠানের সারমর্ম ৷

Intro:আমার সন্তান রা ফুটবল খেললে তাদের বলব অন্তত একবছর ইস্টবেঙ্গলের জার্সি পড়ে খেল।বুঝতে পারবে ভালোবাসা সম্মান কাকে বলে। সুদূর ঘানা থেকে উড়ে এসেছেন সুলে মুসা। আশিয়ান কাপ জয়ী দলের অধিনায়ক। পেশাদারিত্ব এর আঙ্গিক ছেড়ে লাল হলুদ জার্সিতে খুজে পান প্রানের টান। স্বপ্ন দেখেন নিজের পরবর্তী প্রজন্মের গায়ে উঠেছে ইস্টবেঙ্গলের জার্সি। স্পোর্টস ডের সান্ধ্য কালীন অনুষ্ঠানে র শেষে নেতাজী ইনডোর স্টেডিয়ামে র বাইরে যখন সুলে মুসা কথা গুলো বলছিলেন মনে হচ্ছিল কোনও আফ্রিকান ফুটবলার নন,এযেন বাংলার কোন প্রাক্তন কথা বলছেন।
চলতি বছরের ইস্টবেঙ্গলের স্পোর্টস ডে ক্লাবের শতবর্ষ অনুষ্ঠানের বর্ধিত অংশ। তাই একশো বছরে জীবিত ইস্টবেঙ্গল অধিনায়কদের এক মঞ্চে সংবর্ধিত করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ষাটের দশকের সুকুমার সমাজপতি,চন্দন ব্যানার্জি, পরিমল দে রা যেমন ছিলেন তেমনই সত্তর, আশি, নব্বই নতুন শতাব্দীর দুই দশকের অধিনায়কেরাও সম্মানিত হলেন। একশো শতাংশ উপস্থিতি বলা যাবে না।তবে সিংহভাগের উজ্বল উপস্থিতিতে নেতাজি ইনডোরে চাদের হাট বসেছিল।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ অবশ্যই মজিদ বিসকার।32বছর পরে কার্যত হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সরিয়ে ইরানিয়ান প্রাক্তনী কলকাতায় পা রেখেছেন। মঞ্চে সকল প্রাক্তনদের সঙ্গে আলাপ চারিতায় ফেলে আসা সোনালি বিকেলে ফিরে গিয়ছিলেন তিনি। "আমি ভাবিনি আমার।জন্যে এত সম্মান ভালোবাসা অপেক্ষা করছে," মজিদের কথায় ফের শব্দব্রহ্ম। এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি জামশিদ নাসিরিকে সংবর্ধিত করেন। যা বহু কাঙ্খিত ছবি।
অধিনায়ক দের সংবর্ধনা মঞ্চে সম্মানিত শতবর্ষের কোচেরাও। সেখানে উল্লেখযোগ্য অনুপস্থিতি সুব্রত ভট্টাচার্য, ট্রেভর জেমস মরগ্যান এবং বর্তমান দলের কোচ আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেস গার্সিয়া র।
সারা অনুষ্ঠানে বর্তমান দলকে পরিচয় না করিয়ে দেওয়া দৃষ্টি কটু। মনে করা হচ্ছে ক্লাব ও বিনিয়োগ সংস্থার সম্পর্কে র টানাপোড়েনে বলি লাল হলুদ জনতা।
অনুষ্ঠানে প্রকাশিত ইস্টবেঙ্গল এর থিম সং। যা গেয়েছেন অরিজিৎ সিং।
পঞ্চপান্ডবের পরিবারের সদস্যদের হাতে শতবর্ষ স্মারক দিয়ে সম্মান জানানো হয়।
ফুটবল দুনিয়ার বাইরে সাহিত্য নাটক ও চলচ্চিত্রের তিন কিংবদন্তী ব্যক্তিত্ব শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত ও তরুন মজুমদারকে সম্মানিত করা হয়। রুদ্রপ্রসাদ গানের মাধ্যমে লাল হলুদ উদ্যোগ কে স্বাগত জানিয়েছেন। শীর্ষেন্দু র কথায় "জীবনের একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হল।" প্রবীন সাহিত্যিক বোধহয় অনুষ্ঠানের সারমর্ম এককথায় ব্যক্ত করলেন।


Body:ইস্টবেঙ্গল


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.