কলকাতা, 1 অক্টোবর : পিতৃপক্ষের শেষ রবিবার কলকাতা ময়দান ফিরছে চেনা ছন্দে ৷ ছুটির দিনে সকালে ভবানীপুর উপনির্বাচনের ফলাফল। দুপুরে আইপিএল ম্যাচ। আর সন্ধ্যায় ডুরান্ড কাপের ম্যাচ। কলকাতাবাসীর কাছে এর চেয়ে প্রিয়, ছুটির দিনে আর কী হতে পারে !
ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপে সেমিফাইনাল ম্যাচ থেকেই দর্শক ফিরেছে মাঠে ৷ স্টেডিয়ামে আসন সংখ্যার অর্ধেক দর্শক নিয়ে ম্যাচ আয়োজনের অনুমতি মিলেছে। আর তাতেই ময়দানে ফিরেছে প্রত্যাশিত উন্মাদনা। রেড রোডের ধারে মহমেডান ক্লাবে ট্রফি প্রবেশের হাতছানি ৷ যে কারণে দেখা গিয়েছে ময়দানের চেনা ছবি ৷ বটতলায় টিকিট নিয়ে হুড়োহুড়ি। কলকাতা ফুটবলে ফের চেনা দৃশ্য ফিরতেই হাসি আয়োজকদের মুখে।
করোনার কারণে গত মরসুমে কলকাতা লিগ, ডুরান্ড কাপ হয়নি। আই লিগ কলকাতায় হলেও দর্শকদের ঢোকার অনুমতি ছিল না। এ মরসুমে খেলা চালু হলেও ডুরান্ড কাপে এসসি ইস্টবেঙ্গল বা এটিকে মোহনবাগানের কেউই খেলেনি। তবে দুই প্রধানের বাইরে তৃতীয় শক্তি মহমেডানকে ঘিরে দর্শকদের উন্মাদনা ফের চোখে পড়ছে। শুক্রবার ময়দানের সাদা-কালো তাঁবুতে সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। রবিবার ডুরান্ড ফাইনালের আগে টিকিটের চাহিদা মেটাতে হিমসিম খাচ্ছেন মহমেডান কর্তারা। সকাল থেকে লম্বা লাইন। টিকিটের জন্য হুড়োহুড়ি। এতটাই চাহিদা যে, ক্লাব কর্তারা ফোন ধরছেন না, চেনা পরিচিতদের মুখোমুখি হতে চাইছেন না।
আরও পড়ুন : আইএসএলের প্রস্তুতি শুরু লাল-হলুদের, গোয়ায় পৌঁছচ্ছেন ফুটবলাররা
আইপিএল চলছে। রবিবার ডুরান্ড ফাইনালের দিনে দুপুরে রোহিত শর্মারা খেলবেন। রাতে নামবেন ধোনিরা। ততে কী ? শুধুমাত্র ফুটবলের টানে তিন প্রধানের দর্শকরা একছাতার তলায়। বাঙালি মেতে রয়েছে ফুটবলেই ৷ যুবভারতীতে খেলা দেখার অনুমতি পেয়েই ছুটে আসছেন প্রচুর মানুষ। সেমিফাইনালে ২৫ হাজার দর্শক এসেছিলেন মহমেডানের খেলা দেখতে। এ বার ফাইনালে মহমেডান বনাম এফসি গোয়া ম্যাচ দেখতে আসবেন প্রায় ৪০ হাজার দর্শক। সেনা কর্তারাও এমনটাই অনুমান করছেন। শুধু মহমেডান নয়, দলে দলে ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগান সমর্থকরাও ভিড় করছেন যুবভারতীতে। গত বারের মতো এ বারেও আইএসএল হচ্ছে গোয়াতে। সমর্থকদের ঢোকার অনুমতি নেই। তাই প্রিয় দলের খেলা সামনে থেকে দেখতে না-পেয়ে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছেন দুই প্রধানের সমর্থকরা।