ETV Bharat / sports

East Bengal : ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে প্রাইভেট লিমিটেড করা যাবে না, হুঁশিয়ারি কর্তাদের

ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে অচলাবস্থা অব্যাহত রয়েছে ৷ বুধবার ক্লাবের সমর্থকদের বিক্ষোভের পর এবার সরব হচ্ছেন ক্লাব কর্তারাও ৷ তাঁরা জানিয়েছেন, ক্লাবকে কোনওমতেই প্রাইভেট লিমিটেড করা যাবে না ৷ সরব হয়েছেন রাজনীতিবিদরাও ৷

author img

By

Published : Jul 23, 2021, 7:18 AM IST

Updated : Jul 23, 2021, 1:08 PM IST

kolkata
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে প্রাইভেট লিমিটেড করা যাবে না, হুশিয়ারি কর্তাদের

কলকাতা, 23 জুলাই: ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে প্রাইভেট লিমিটেড করতে দেওয়া হবে না । লাল হলুদের প্রাক্তন ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্যের এই বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছে বাকিরা । যা তুলে ধরে ক্লাবের লগ্নিকারীর চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর না করার একজোট মানসিকতা দেখা গিয়েছে । বুধবার কলকাতা ময়দানে যেভাবে একই ক্লাবের দুই পক্ষ আমরা-ওরা মানসিকতা দেখিয়েছে তা নজিরবিহীন ঘটনা । একইসঙ্গে পুলিশের লাঠিচার্জেরও নিন্দা করেছেন তারা । ডিসি সাউথ আকাশ মাঘোরিয়া বলেছেন, করোনাবিধি লঙ্ঘনের কারণে এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে কয়েকজনকে । বুধবার বিকেলের ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক রং লেগেছে।

বিক্ষোভ করতে আসা সমর্থকদের জমায়েত নিতান্তই অগোছালো । অন্যদিকে ক্লাবের মতে সমর্থনে আওয়াজ তোলা মানুষের সিংহভাগ নিয়ন্ত্রিত এবং পরিকল্পিত। তাদের হাতে ছিল নীল-সাদা রিবন । যা ভিড়ের মধ্যে সহজেই চিহ্নিত করা যায়। বিরাট সংখ্যক মহিলারাও ক্লাবের পক্ষে গলা ফাটিয়েছেন । তাদের মধ্যে কার্যকরী কমিটির সদস্যরা যেমন রয়েছেন তেমনি রয়েছেন বহিরাগতরাও । অভিযোগ, বিধায়ক তাপস রায় তাঁর অঞ্চলের আশাকর্মীদের এই বিক্ষোভে পাঠিয়েছিলেন ।

আরও পড়ুন: চুক্তিজট কাটাতে এবার প্রাক্তনীদের দ্বারস্থ ইস্টবেঙ্গল কর্তারা

এই বিষয়ে ক্লাব কর্তারা সরাসরি মুখ খোলেননি । শুধু বলেছেন, একুশে জুলাই না হলে এবং জমায়েত নিয়ন্ত্রণবিধি না থাকলে লেসলি ক্লডিয়াস সরণিতে কালো মাথা ভরিয়ে দিতাম । বিক্ষোভকারীদের ধর্মতলা থেকে ফিরে যেতে হত । ইতিমধ্যেই 18 জন বিধায়ক ক্লাব কর্তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন । এই 18 জনের মধ্যে একজন বিজেপি বিধায়ক রয়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছে । কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র তিন লরি ছেলে পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন কর্তাদের । নিজের একমাসের বিধায়ক মাইনে ক্লাবকে দেওয়ার কথা বলার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার লাল-হলুদ পাঞ্জাবি-ধুতিতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে যান তিনি । ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের এই মারামারি পুলিশের লাঠিচার্জ ঘিরে সমালোচনার ঝড় অব্যাহত রয়েছে ।

সমর্থকদের আবেগকে গলা টিপে মারার চেষ্টার নিন্দা করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী । অবিলম্বে জট কাটিয়ে ইস্টবেঙ্গলের মাঠে ফেরার ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন তিনি । বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ইস্টবেঙ্গলের এই ঘটনার পিছনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন । তিনি বলেন, "ভোটের আগে মন পেতে উদ্যোগী হয়েছিলেন মাননীয়া । এখন প্রশ্ন হল চুক্তি হওয়ার সময় এই ত্রুটি চোখ এড়ালো কীভাবে ।"

এফএসডিও কর্তা তরুণ ঝুনঝুনওয়ালা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে সেদিন সই হয়েছিল । পরবর্তী সময়ে চূড়ান্ত চুক্তিপত্রের বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার আশ্বাসও ছিল । "বলা হয়েছিল দু'বছর লকিং পিরিয়ড রয়েছে । তার মধ্যে যাবতীয় আপত্তি মান্যতা দিয়ে চুক্তি সম্পূর্ণ করতে হবে । এখনও পর্যন্ত নাকি একাধিকবার চূড়ান্ত চুক্তিপত্র পাঠানো হয়েছে ক্লাবকে । প্রতিটি ক্ষেত্রে ক্লাবের আপত্তি মান্যতা দিয়ে বদল করে পাঠানো হলেও কয়েকটি জায়গায় পরিবর্তন করা হয়নি । শেষ যে চুক্তিপত্র পাঠানো হয়েছে তাতে লগ্নিকারীরা নিজেদের পুরানো অবস্থানে অটল রয়েছেন। আর এখানেই আপত্তি।"

কর্তারা বলছেন, মোট 24টি জায়গায় ক্লাবের আপত্তি রয়েছে । যা মেনে নিয়ে স্বাক্ষর করলে ক্লাব শুধু হাতছাড়া হবে না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে বর্তমান কর্মকর্তারা দালাল হিসেবে চিহ্নিত হবেন । ক্লাবের নতুন সদস্য নেওয়া, প্রবেশাধিকার, কোনও অনুষ্ঠান করতে হলে লোগোর জন্য আবেদন, অফিস ঘর সহ পদাধিকারীদের স্থান পরিবর্তন, সমর্থকদের অবাধ প্রবেশের রাশ পড়বে নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করলে ।

কলকাতা, 23 জুলাই: ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে প্রাইভেট লিমিটেড করতে দেওয়া হবে না । লাল হলুদের প্রাক্তন ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্যের এই বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছে বাকিরা । যা তুলে ধরে ক্লাবের লগ্নিকারীর চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর না করার একজোট মানসিকতা দেখা গিয়েছে । বুধবার কলকাতা ময়দানে যেভাবে একই ক্লাবের দুই পক্ষ আমরা-ওরা মানসিকতা দেখিয়েছে তা নজিরবিহীন ঘটনা । একইসঙ্গে পুলিশের লাঠিচার্জেরও নিন্দা করেছেন তারা । ডিসি সাউথ আকাশ মাঘোরিয়া বলেছেন, করোনাবিধি লঙ্ঘনের কারণে এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে কয়েকজনকে । বুধবার বিকেলের ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক রং লেগেছে।

বিক্ষোভ করতে আসা সমর্থকদের জমায়েত নিতান্তই অগোছালো । অন্যদিকে ক্লাবের মতে সমর্থনে আওয়াজ তোলা মানুষের সিংহভাগ নিয়ন্ত্রিত এবং পরিকল্পিত। তাদের হাতে ছিল নীল-সাদা রিবন । যা ভিড়ের মধ্যে সহজেই চিহ্নিত করা যায়। বিরাট সংখ্যক মহিলারাও ক্লাবের পক্ষে গলা ফাটিয়েছেন । তাদের মধ্যে কার্যকরী কমিটির সদস্যরা যেমন রয়েছেন তেমনি রয়েছেন বহিরাগতরাও । অভিযোগ, বিধায়ক তাপস রায় তাঁর অঞ্চলের আশাকর্মীদের এই বিক্ষোভে পাঠিয়েছিলেন ।

আরও পড়ুন: চুক্তিজট কাটাতে এবার প্রাক্তনীদের দ্বারস্থ ইস্টবেঙ্গল কর্তারা

এই বিষয়ে ক্লাব কর্তারা সরাসরি মুখ খোলেননি । শুধু বলেছেন, একুশে জুলাই না হলে এবং জমায়েত নিয়ন্ত্রণবিধি না থাকলে লেসলি ক্লডিয়াস সরণিতে কালো মাথা ভরিয়ে দিতাম । বিক্ষোভকারীদের ধর্মতলা থেকে ফিরে যেতে হত । ইতিমধ্যেই 18 জন বিধায়ক ক্লাব কর্তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন । এই 18 জনের মধ্যে একজন বিজেপি বিধায়ক রয়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছে । কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র তিন লরি ছেলে পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন কর্তাদের । নিজের একমাসের বিধায়ক মাইনে ক্লাবকে দেওয়ার কথা বলার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার লাল-হলুদ পাঞ্জাবি-ধুতিতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে যান তিনি । ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের এই মারামারি পুলিশের লাঠিচার্জ ঘিরে সমালোচনার ঝড় অব্যাহত রয়েছে ।

সমর্থকদের আবেগকে গলা টিপে মারার চেষ্টার নিন্দা করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী । অবিলম্বে জট কাটিয়ে ইস্টবেঙ্গলের মাঠে ফেরার ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন তিনি । বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ইস্টবেঙ্গলের এই ঘটনার পিছনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন । তিনি বলেন, "ভোটের আগে মন পেতে উদ্যোগী হয়েছিলেন মাননীয়া । এখন প্রশ্ন হল চুক্তি হওয়ার সময় এই ত্রুটি চোখ এড়ালো কীভাবে ।"

এফএসডিও কর্তা তরুণ ঝুনঝুনওয়ালা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে সেদিন সই হয়েছিল । পরবর্তী সময়ে চূড়ান্ত চুক্তিপত্রের বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার আশ্বাসও ছিল । "বলা হয়েছিল দু'বছর লকিং পিরিয়ড রয়েছে । তার মধ্যে যাবতীয় আপত্তি মান্যতা দিয়ে চুক্তি সম্পূর্ণ করতে হবে । এখনও পর্যন্ত নাকি একাধিকবার চূড়ান্ত চুক্তিপত্র পাঠানো হয়েছে ক্লাবকে । প্রতিটি ক্ষেত্রে ক্লাবের আপত্তি মান্যতা দিয়ে বদল করে পাঠানো হলেও কয়েকটি জায়গায় পরিবর্তন করা হয়নি । শেষ যে চুক্তিপত্র পাঠানো হয়েছে তাতে লগ্নিকারীরা নিজেদের পুরানো অবস্থানে অটল রয়েছেন। আর এখানেই আপত্তি।"

কর্তারা বলছেন, মোট 24টি জায়গায় ক্লাবের আপত্তি রয়েছে । যা মেনে নিয়ে স্বাক্ষর করলে ক্লাব শুধু হাতছাড়া হবে না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে বর্তমান কর্মকর্তারা দালাল হিসেবে চিহ্নিত হবেন । ক্লাবের নতুন সদস্য নেওয়া, প্রবেশাধিকার, কোনও অনুষ্ঠান করতে হলে লোগোর জন্য আবেদন, অফিস ঘর সহ পদাধিকারীদের স্থান পরিবর্তন, সমর্থকদের অবাধ প্রবেশের রাশ পড়বে নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করলে ।

Last Updated : Jul 23, 2021, 1:08 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.