কলকাতা, 15 এপ্রিল : করোনা ভাইরাসের ক্রমবর্ধমান লেখচিত্র আশঙ্কা ছড়ালেও বার পূজোর হাত ধরে ময়দান তার চেনা মেজাজে ফিরতে চাইল । বঙ্গীয় ক্যালেন্ডারের নতুন বছরের প্রথম দিন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ক্লাবের মাঠে প্রথা মেনে বারপুজো করল । শুধু দুই প্রধান নয়, কলকাতা ময়দানের আরও কয়েকটি ক্লাব তাদের মতো করে বারপুজোর আয়োজন করেছিল । তবে ইস্টবেঙ্গল সদস্য সমর্থকদের জন্য দরজা খুলেছে ।
নতুন বছরের শুভকামনায় প্রথা মেনে সঙ্কল্প করা হয় । যেহেতু ফুটবল এখন বিনিয়োগ সংস্থার অধীনে তাই ক্লাবের অ্যাকাডেমির ফুটবলাররা বারপূজোতে অংশ নেন । ক্লাব কর্তাদের প্রায় প্রত্যেকে উপস্থিত ছিলেন । তবে ইস্টবেঙ্গলের বারপুজো মানে প্রাক্তন ফুটবলারদের মিলনক্ষেত্র তা এবার সেভাবে দেখা যায়নি । নব্বই দশকের শেষভাগ এবং সাম্প্রতিক কুড়ি বছরে খেলা লাল হলুদ প্রাক্তনীদের দেখা গেল । বর্তমান ফুটবল দলের কাউকে কেন দেখা গেল না এই প্রশ্ন উড়ল ক্লাবের আনাচে কানাচে ।
দেখা যায়নি বিনিয়োগ সংস্থার কোনও প্রতিনিধিকে । ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানিয়েছেন, "বর্তমান দলের ফুটবলারদের এই দিনে ক্লাবে দেখলে ভাল লাগত । তবে কেন তারা এলেন না তা জানি না । শুনলাম বারণ করা হয়েছে । যদিও এই বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করে দেখিনি । তবে আমরা বিনিয়োগ সংস্থাকে বারপূজোতে আমন্ত্রণ জানিয়েছি । তাদের তরফে কোনও অভিনন্দন বার্তা ক্লাবে পৌঁছয়নি । তবে ক্লাবের তরফে বিনিয়োগ সংস্থাকে মিষ্টি পাঠানো হচ্ছে ।"
আরও পড়ুন : 'অভব্য আচরণ', কোহলিকে তিরস্কার আইপিএল কর্তৃপক্ষের
বাংলা ক্যালেন্ডারের নতুন বছরে লাল হলুদ জনতা, বিনিয়োগ সংস্থা এবং ক্লাবের চুড়ান্ত চুক্তি জট ছাড়ানোর খবর জানতে আগ্রহী । শীর্ষকর্তা বলছেন,"এখনও বলার মতো পরিস্থিতি হয়নি । তবে আমরা দীপকজ্যোতি অনুষ্ঠানের দিন যা বলেছিলাম তার পরিবর্তন হয়নি।"
এদিকে চুক্তি পত্রে ক্লাবের তরফে স্বাক্ষরকারী ফুটবল সচিব সৈকত গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘সমাধানের পথ তৈরি করা হচ্ছে । দ্রুত সমস্যা মিটবে । দলগঠন সঠিক পথে এগোচ্ছে ।’’ তাই বারপূজোর উন্মাদনা ইস্টবেঙ্গলের থাকলেও, নতুন মরসুমে বিনিয়োগ সংস্থার সঙ্গে অবস্থান ঘিরে ধোঁয়াশা থাকল ।