সিডনি, 6 জানুয়ারি: টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জাানাচ্ছেন ডেভিড ওয়ার্নার ৷ খবর দিয়েছিলেন আগেই ৷ কিন্তু এমন এক রূপকথার মতো সমাপ্তি হয়তো আশা করেননি অনেকেই ৷ তবে স্বপ্নটা নিশ্চয় দেখেছিলেন ডেভির ফ্যানেরা ৷ আর সেই স্বপ্ন সত্যি করে তাঁদের ট্রফি উপহার দিয়ে মাঠ ছাড়লেন ওয়ার্নার ৷ একজন ক্রিকেটারের জীবনে এর চেয়ে আনন্দের আর কিই বা হতে পারে ৷ 3-0 ফলাফলে সিরিজ জিতে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করল অজিরা ৷ 75 বলে 57 রান করে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন এই বাঁ-হাতি ক্রিকেটার ৷
ঘটনা হল. ক্রিকেটের কুলীন ফরম্যাটের জন্য় তাঁকে বেছে নেওয়া হয়নি প্রথমে ৷ অস্ট্রেলিয়া দলে তিনি অভিষেক করেন পাওয়ার হিটার হিসেবেই ৷ কিন্তু দলে নিজেকে প্রমাণ করে 'একম অদ্বিতীয়ম' হয়ে উঠেছেন এই ওপেনার ৷ সুনীল গাভাস্কর তাঁর শেষ টেস্ট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, যখন সবাই ভাবছে আপনি কেন ছেড়ে যাচ্ছেন, ঠিক সেই সময় মাঠ ছাড়াই ভালো ৷ অর্থাৎ ফর্মে থাকতে থাকতেই কেরিয়ার শেষ করার বার্তা দিয়েছিলেন ভারতীয় এই কিংবদন্তি ৷ সেই পথেই হাঁটলেন ওয়ার্নারও ৷ 37 বছর বয়সেই সরে দাঁড়ালেন লাল বলের লড়াই থেকে ৷
শুধু তাই নয়, সন্ন্যাস নিলেন ওডিআই ফরম্যাট থেকেও ৷ গল্পের শেষটা অবশ্য সুন্দর করে সাজালেন ওয়ার্নার ৷ দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে 115 রানে অলআউট করার পর জয়ের জন্য় অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল মাত্র 130 রান ৷ উসমান খোয়াজাকে দ্রুত হারালেও মার্নাস লাবুশেনকে নিয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে দেন ডেভি ৷ প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও অর্ধশতরান পান লাবুশেন ৷
সিডনি টেস্টের প্রথম ইনিংসটা অবশ্য ভালো ছিল না ওয়ার্নারের ৷ শুরুটা ভালো করলেও 34 রানের মাথায় তিনি ধরা পড়ে যান বাবর আজমের হাতে ৷ আগা সলমনের বলে আউট হয়ে তিনি যখন প্যাভেলিয়নের পথ ধরেন তখন কিছুক্ষণের জন্য কথা হারিয়ে ফেলেন তাঁর ভক্তরা ৷
তবে বাঁ-হাতি ব্যাটার পুষিয়ে দেন দ্বিতীয় ইনিংসে ৷ মাঠ ছাড়েন দু'হাত উঁচু করে ৷ এক হাতে ব্যাট আর অন্য হাতে হেলমেট ৷ করতালিতে ভরে যায় গোটা সিডিনি স্টেডিয়াম ৷ মাত্র 56 বলে এদিনও অর্ধশতরান পূর্ণ করে ডেভি বুঝিয়ে দেন আজও প্রতিআক্রমণই তাঁর প্রথম পছন্দ ৷ 53 রানের মাথায় অবশ্য় একবার পায়ে বল লাগার পরও বেঁচে যান তিনি ৷ তবে বাকি ইনিংসে একটুও দাগ ছিল না ৷
আরও পড়ুন: