চেন্নাই, 8 অক্টোবর: ঈশান কিষাণ, রোহিত শর্মা, শ্রেয়স আইয়ার ৷ টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারের মিলিত স্কোর শূন্য ৷ সেখান থেকে ম্যাচ বের করে আনলেন বিরাট কোহলি ও কেএল রাহুল ৷ দুই ব্যাটারের লড়াইয়ে আপাত সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল ‘মেন ইন ব্লু’ ৷ অজিদের দেওয়া 200 রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে মাত্র 2 রানেই সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন তিন ব্যাটার ৷ সেই ম্যাচই 6 উইকেটে জিতে নিল ভারত ৷ কোহলি ফিরলেও রাহুল অপরাজিত রইলেন 97 রানে ৷
সেখান থেকে ফেরত আসার লড়াইটা শুরু করেন রাহুল-বিরাট ৷ যদিও অজিদের হারের পেছনে দায়ী মিচেল মার্শ ৷ শুরুতেই সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন কোহলি ৷ বল ফলো করে ঠিক জায়গায় এসেও শেষ মুহূর্তে বল রিড করতে পারেননি মার্শ ৷ ওই সময় কোহলি ফিরলে আরও চাপে পড়ে যেত ভারত ৷ জীবন ফিরে পেয়েই গতি কমিয়ে-বাড়িয়ে খেললেন বিরাট ৷ রাহুল শুরুতে উইকেট ধরে খেললেও মাঝপথে গিয়ার বদলে মারমুখী ভঙ্গিতে চলে এলেন ৷ প্রাথমিক ঝটকা দিলেও এই দুই ব্যাটারকে আটকানোর অঙ্ক কিছুতেই বের করতে পারল না অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা ৷
শেষ মুহূর্তে ব্যক্তিগত 85 রানের মাথায় কোহলি ফিরলেও ম্যাচ বের করে নিতে কোনও অসুবিধা হয়নি ভারতের ৷ 97 রানে অপরাজিত রইলেন রাহুল ৷ 8 বলে 11 রান করলেন হার্দিক পান্ডিয়া ৷ প্রথম তিন ব্যাটার ব্যর্থ হওয়ার পরেও যেভাবে ম্যাচ বের করে আনল দলের মিডল অর্ডার, তাতে দলের ব্যাটিং লাইন-আপের শক্তির প্রমাণ আরও একবার দিয়ে দিল ৷
দুই ব্যাটারের সৌজন্যে সহজ ম্যাচ ‘কঠিন’ করে জিতল ভারত ৷ রাহুলের ছেলেদের পরবর্তী ম্যাচ 11 অক্টোবর ৷ আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে নামবে টিম ইন্ডিয়া ৷ তারপরেই 14 অক্টোবর প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ৷ অজি ‘বধ’ করে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে আরও অক্সিজেন পেয়ে গেল ‘মেন ইন ব্লু’ ৷ ফলে বাবরদের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে মানসিক যুদ্ধে খানিক এগিয়ে থাকবে ‘রোহিত অ্যান্ড কোং’ ৷
প্রথম ইনিংসে কুলদীপ-জাদেজার ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত অস্ট্রেলিয়া ৷ টস জিতে ব্য়াট করতে নামা অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটাররা চিপকের বাইশ গজে এদিন কার্যত ধরাশায়ী ৷ সৌজন্যে, মুম্বইকরের ক্রিকেটীয় মস্তিষ্ক ৷ চেন্নাইয়ের শুকনো ও মন্থর উইকেটে তিন স্পিনার নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন রোহিত শর্মা ৷ হিটম্যানের চালেই মাত ‘কামিন্স অ্যান্ড কোং’ ৷ 199 রানে অল-আউট বিশ্বকাপের মঞ্চের সবচেয়ে ধারাবাহিক দল ৷
আরও পড়ুন: কুলদীপের কামাল, জাড্ডুর জাদুতে চিপকে আত্মসমর্পণ অজিদের