মুম্বই, 16 নভেম্বর: এক যুগ পর ফের বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রবেশ করেছে ভারতীয় দল ৷ মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডকে রুখে দিয়েছেন বিরাট কোহলি-মহম্মদ শামিরা ৷ ভারতের বোলিং দেখার পর অনেকেই বলতে শুরু করেছেন আসলে বুধবার সেমিফাইনাল ছিল না ছিল 'শামি ফাইনাল' ৷ এহেন রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের সাক্ষী ছিলেন ইংরেজ ফুটবল তারকা ডেভিড বেকহ্যাম ৷ ইংলিশ ফুটবলার ম্যাচের শুরুর আগেই ফুটবলে পা মেলান সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে ৷ বিরাটের সঙ্গেও খোশমেজাজে আলাপচারিতা করতে দেখা যায় তাঁকে ৷ এবার একটা অন্য খবর দিলেন বেকহ্যাম ৷ অনবদ্য পায়ের জাদু, ম্যাজিকের মতো ফ্রি-কিকের জন্যই পরিচিত তিনি ৷ তবে বিসিসিআই টিভি'র সঙ্গে আড্ডা দিতে গিয়ে বেকহ্যাম জানালেন ছোটবেলায় তিনি নাকি ক্রিকেটও খেলতেন ৷
খেলার দুনিয়ায় এমন উদাহরণ কম নেই ৷ ফুটবলকে পেশা হিসাবে বেছে নিতে চেয়েছিলেন ভিভিয়ান রির্চার্ডস, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো ক্রিকেটাররা ৷ আবার দৌড়বিদ উসেইন বোল্টও প্রথম জীবনে হতে চেয়েছিলেন পেস বোলার ৷ স্বপ্ন ছিল ওয়াকার ইউনিসের মতো উইকেট ছিটকে দেওয়ার ৷ বাবা ওয়েলেসলি বোল্ট নিজেও ছিলেন ক্রিকেটভক্ত ৷ কিন্তু তিনি বুঝতে পারেন জামাইকায় খেলে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া বোল্টের পক্ষে মুশকিল ৷ তাই ছেলেকে তিনি ঠেলে দেন 100 মিটার দৌড়ের দিকে ৷
বেকহ্যামের গল্পটাও কিছুটা এক ৷ তিনি বলেন, "আমি স্কুলজীবনে ক্রিকেট খেলতাম ৷ সবসময় ব্যাটার হওয়ারই স্বপ্ন দেখতাম ৷ তবে আমি বোলিং এবং ফিল্ডিং করতেও পছন্দ করি । সেদিক থেকে দেখতে গেলে আমি একজন অলরাউন্ডার ৷ কিন্তু আমি নিজেকে ব্যাটার হিসেবে ভাবতেই ভালোবাসি ৷" প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে নাম করা যেতে পারে হ্যারি কেনেরও ৷ ক্রিকেট নিয়ে ভীষণ আগ্রহী এই ইংরেজ ফুটবলারও ৷
ফুটবল ফ্যান নাকি ক্রিকেট ফ্যান কারা বেশি মন কাড়লেন বেকহ্যামের ৷ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "আগে হলে আমি ফুটবল ফ্যানেদের এগিয়ে রাখতাম ঠিকই ৷ কিন্তু আজ ওয়াংখেড়ে ফ্যানদের দেখার পর আমি আর এই নিশ্চিত করে কিছু দাবি করতে পারব না ৷ আবহাওয়া তাতিয়ে দিয়েছেন অনুরাগীরা ৷ ইলেকট্রিক অ্যাটমোস্ফিয়ার ৷"
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, "স্টেডিয়ামে পা রাখতেই গায়ে কাঁটা দিল ৷ সচিনের সঙ্গে মাঠে নেমেছিলাম তাই হয়তো আরও স্পেশাল মনে হচ্ছিল ৷" এই প্রথমবার ভারতে পা রাখলেন ডেভিড ৷ কিংবদন্তি ফুটবলার তাঁর অভিজ্ঞতার গল্প বলতে গিয়ে বলেন, "এই প্রথমবার আমি ভারতে এলাম ৷ ভাবতেই পারছি না এতদিন সময় লেগে গেল ৷ শেষ পর্যন্ত এখানে এলাম ৷ আবার আসার জন্য তর সইছে না ৷" সচিনের সঙ্গে তাঁর আলাপ প্রসঙ্গে বেকহ্যাম বলেন, "আমার সঙ্গে সচিনের প্রথম আলাপ উইম্বলডনে ৷ ও একজন সেরা খেলোয়াড় ৷ তার চেয়েও বড় মনের মানুষ ৷ ওর সঙ্গে বাড়িতে কিছুটা সময় কাটানো একইসঙ্গে অন্যান্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলাপ করা আমার জন্য দারুণ ছিল ৷"
আরও পড়ুন: